কলাপাড়ায় ব্যবসায়ি সমিতির বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ

প্রথম পাতা » পটুয়াখালী » কলাপাড়ায় ব্যবসায়ি সমিতির বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ
সোমবার ● ১০ জুলাই ২০২৩


কলাপাড়ায় ব্যবসায়ি সমিতিতে ভূঁয়া ভোটারসহ অনিয়মের অভিযোগ

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

পটুয়াখালীর কলাপাড়া পৌর ব্যবসায়ী সমিতিতে বিভিন্ন অনিয়ম ও ভূয়া ভোটার করার অভিযোগ উঠেছে। মাত্র একশত টাকায় সমিতি’র ভবনের একটি দোকান ঘর ভাড়া দেয়া হয়েছে। সাবেক কমিটি’র সহ-সভাপতি ওই ঘর ভাড়া নিয়ে এ সুবিধা ভোগ করছেন। এছাড়া ব্যবসায়ী না হওয়া স্বত্বেও নামে-বেনামে ভূয়া ভোটার নিয়ে চলছে নির্বাচনী কার্যক্রম। তবে, ব্যবসায়ী সমিতি’র কাছে কয়েক লক্ষ টাকা পাওনা বাবদ ওই ঘরটি ভাড়া দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সাবেক কমিটি’র দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা। বিষয়টি নিয়ে সাধারন ব্যবসায়ীদের মধ্যে বিরুপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, কলাপাড়া পৌর ব্যবসায়ী সমিতি একটি ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান। ২০০৫ সাল থেকে এ প্রতিষ্ঠানটি নির্বাচন প্রক্রিয়ায় নির্বাচিত কমিটি’র মাধ্যমে পরিচালিত হয়ে আসছে। স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সুখে-দু:খে এ প্রতিষ্ঠানটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছে। এ সমিতিতে ১২’শ ৪৯ জন ভোটার রয়েছে। তবে, বর্তমানে এ প্রতিষ্ঠানটিতে বিভিন্ন ধরনের দ্রুম্ভজালের খেলা চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ব্যবসায়ী সমিতি’র একটি দোকান ঘর সাবেক কমিটি’র সহ-সভাপতি মাও. মো. শহিদুল ইসলামের কাছে মাত্র ১০০ টাকায় ভাড়া দেয়া হয়েছে। দ্রব্য মূল্যের উর্ধ্বগতির বাজারে কিভাবে একটি দোকান ঘর এত কম টাকায় ভাড়া দেয়া হয় এনিয়ে বিভিন্ন ধরনের ক্ষোভ প্রকাশ করছেন সাধারন ব্যবসায়ীরা। এছাড়া ট্রেড লাইসেন্স না থাকলেও ভোটার আইডি কার্ড দিয়েই ব্যবসায়ী সমিতি’র সদস্য করা হয়েছে। বিভিন্ন দোকানের কর্মচারীসহ গ্রামের লোকদের দিয়ে নামে-বেনামে পৌর ব্যবসায়ী সমিতিতে ভূয়া ভোটার করার অভিযোগও রয়েছে। অপরদিকে, সমিতি’র বিভিন্ন নিয়মনীতির যাতাকলে পরে ভোটার তালিকা থেকে বাদ পরেছে অনেক দৃশ্যমান ব্যবসায়ী সদস্যরা। যারা প্রকৃত ব্যবসায়ী হওয়া স্বত্বেও এবারের নির্বাচনে ভোট প্রদান করতে পারছে না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যবসায়ীরা জানান, ভ্যান চালক, অটো চালক ও দোকান কর্মচারীসহ ব্যবসায়ী না হওয়া স্বত্বেও মাত্র ১ হাজার টাকা সদস্য ফি ও ভোটার আইডি কার্ড দিয়েই ব্যবসায়ী সমিতি’র ভোটার হয়েছে। এতে প্রকৃত ব্যবসায়ীদের সম্মান হানি হয়েছে বলে তারা মনে করছেন।
এবিষয়ে সাবেক কমিটি’র সহ-সভাপতি মাও. মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, ব্যবসায়ী সমিতি’র কাছে আমি ১৭ লক্ষ টাকা পাবো। এ টাকা যতদিনে পরিশোধ করতে না পারবে ততদিন ওই দোকান ঘরটি মাসিক ১’শ টাকা করে ভাড়া দিবো। তবে, টাকা পরিশোধ করলে তাদের দোকান তারা বুঝে নিবে। সমিতি’র সাথে এমনটাই চুক্তি হয়েছে বলে তিনি সাংবাদিকদের জানান।
কলাপাড়া পৌর ব্যবসায়ী সমিতি’র সাবেক সাধারন সম্পাদক ফিরোজ সিকদার বলেন, সমিতি’র বিল্ডিং ঘর উঠানোর সময় কিছু টাকা ধার করতে হয়েছে। সেই টাকার জন্য ওই ঘরটি মাসিক ১’শ টাকা চুক্তিতে তাকে ভাড়া দেয়া হয়েছে। তবে, সমিতি’র লোকবল কম থাকায় ভোটার কার্যক্রমে কিছু ভূল-ত্রুটি হতে পারে বলে তিনি জানান।
কলাপাড়া উপজেলা সমবায় অফিসার মো. ফরিদ হোসেন বলেন, এবিষয়ে আমরা কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি। তবে, অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এসকেআর/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ২৩:২১:১৪ ● ৮৬ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ