গোপালগঞ্জে দ্বিতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থীকে বেধরক মারপিটের অভিযোগ!

প্রথম পাতা » ঢাকা » গোপালগঞ্জে দ্বিতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থীকে বেধরক মারপিটের অভিযোগ!
রবিবার ● ২৫ জুন ২০২৩


গোপালগঞ্জে দ্বিতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থীকে বেধরক মারপিটের অভিযোগ!

গোপালগঞ্জ সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার বৌলতলী গ্রামে ৭ বছরের শিশু কোয়েল বিশ্বাসকে মারপিট করে গুরুতর আহত করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশী প্রভাবশালী পলাশ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে। আহত শিশু কোয়েল বিশ্বাস বৌলতলী গ্রামের অর্জুন বিশ্বাসের মেয়ে ও ৬৮নং বৌলতলী সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়ের ২য় শ্রেণীর শিক্ষার্থী। অভিযুক্ত পলাশ বিশ্বাস বৌলতলী গ্রামের নারায়ন বিশ্বাসের ছেলে ও কলপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী  শিক্ষক।

গত সোমবার (২১জুন) সন্ধা ৭টায় ওই শিশুটিকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে মারপিট করে প্রভাবশালী পলাশ বিশ্বাস।  এ ঘটনায় ওই শিশুটির বাবা বাদী হয়ে হয়ে পরদিন  মঙ্গলবার  বৌলতলী পুলিশ  ফাড়িতে অভিযোগ দায়ের করে।

তবে এ ঘটনাকে ধামাচাপা দিতে প্রভাব বিস্তার ও সাংবাদিকদের নিউজ না করার জন্য বিভ্রান্তি ও  অনুরোধ করে পলাশ বিশ্বাসের বংশীয় ভাই বৌলতলী ইউপি সেচ্ছাসেবকলীগে সভাপতি হরিচাঁদ বিশ্বাস।

শিশুটির বাবা অর্জুন বিশ্বাস বলেন, আমার শিশু মেয়ে কোয়েল বিশ্বাস প্রতিবেশী প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক পলাশ বিশ্বাসের শিশু মেয়ের সাথে খেলাদুলা নিয়ে শিশুদের মধ্যে  সামান্য মারামারি হয়। পরে সন্ধায় আমারা কেউ বাড়িতে না থাকায় আমার বৃদ্ধ শাশুড়ী আর আমার শিশু মেয়ে বাড়ি ছিল এবং তখন আমার শাশুড়ির সামনে থেকে আমার শিশু মেয়ের চুলের মুঠি ধরে টানতে টানতে নিয়ে যায় এবং মারপিট করে ।  আমার শাশুড়ী পরে আমাদের খবর দিলে আমারা মেয়েকে খুঁজেতে থাকি ও পরে দেখি আমার মেয়ে কোয়েল কান্না করতে করতে আসতেছে। আমার মেয়েকে গলা টিপে ধরে উঁচু করে ধরে ও কানে মুখে চর থাপ্পড় দিয়ে গুরুতর জখম করে।  আমি দরিদ্র হওয়ার বিচারও পাচ্ছি না।  আমি প্রশাসনের উর্ধতন কর্মকর্তাদের কাছে আমার শিশু মেয়েকে মারপিটের ঘটনায় কঠোর বিচার দাবী করছি।

মারপিটের স্বীকার শিশু মেয়ে কোয়েল বিশ্বাস কান্না জরিত কন্ঠে  বলেন,  আমি আর পলাশ স্যারের মেয়ে  বালির মধ্যে খেলা করছিলাম।  স্যারের মেয়ে আমার চোখেমুখে বালি দিলে আমি তাকে একটা চর দেই৷ পরে সন্ধায় পলাশ স্যার আমাকে বাড়ি থেকে  চুল ধরে টেনে নিয়ে গিয়ে গলা টিপে উঁচু করে ধরে।  তারপর আমার মুখে ও কানে চর থাপ্পড় দেয়।

এব্যাপারে ওই শিক্ষক পলাশ বিশ্বাস অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি তাকে কোন মারপিট করি নাই। তাকে আমার অন্য দাদার বাড়িতে নিয়ে গিয়েছিলাম।

এব্যপারে বৌলতলী পুলিশ ফাঁড়ির আইসি আমিনুল ইসলাম বলেন, আমরা একটা অভিযোগ পেয়েছে।  তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


এইচবি/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ২১:৩৪:৩৯ ● ৩৭৭ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ