আমতলী (বরগুনা) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
গরু চুরির মিথ্যা অপবাদ দিয়ে নদী থেকে ট্রলার মাঝি মোশাররফ হাওলাদারকে ধরে এনে গলাচিপা উপজেলার গোলখালী ইউনিয়নের ই্উপি সদস্য আবু সাইদ আকন মারধর করেছে। এর প্রতিবাদ করায় ইউপি সদস্য আবু সাইদ আকনের সহযোগী আলমগীর শাহ প্রতিবেশী আরিফ খাঁন ও তার বাবা নিজাম খাঁন এবং ভাই তামিমকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করছে। রবিবার আমতলী সাংবাদিক ইউনিয়ন কার্যালয়ে মামলার আসামী আরিফ খাঁন সংবাদ সম্মেলন এমন অভিযোগ করেছেন। দ্রুত তাদের বিরুদ্ধে ইউপি সদস্যের সহযোগী আলমগীর শাহ’র দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের দাবী জানিয়েছেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আরিফ খান বলেন, গত ৫ মে গরু চুরির অভিযোগ এনে গোলখালী ইউপি সদস্য আবু সাইদ আকন ও তার সহযোগী আলগমীর শাহ নদী থেকে একটি ট্রলার ধরে আনে। ওই ট্রলারের মাঝি মোশাররফ হোসেন হাওলাদারকে মিথ্যা গরু চুরির অপবাদ দিয়ে ইউপি সদস্য ও তার লোকজন মারধর করে। ইউপি সদস্যের এমন কর্মকান্ডের আমি প্রতিবাদ করি। এতে ইউপি সদস্য সাইদ ক্ষিপ্ত হয়ে তিনি ও তার লোকজন নিয়ে আমার বাড়ীতে মামলা চালায়। গরু চুরির মিথ্যা ও আমার বাড়ী ভাংচুরের ঘটনা ধামাচাপা দিতে ইউপি সদস্য সাইদ তার সহযোগী আলমগীর শাহকে বাদী করে গলাচিপা থানায় ট্রলার মাঝি মোশাররফ হাওলাদার, আমার বাবা নিজাম খাঁন ও আমাকে, আমার ভাই তামিমসহ ছয় জনকে আসামী করে মিথ্যা গরু চুরির মামলা দায়ের করেন। তিনি আরো বলেন, বিএনপি নেতা ইউপি সদস্য আবু সাইদ আকনকে ভোট না দেয়ায় আমার পরিবারকে অহেতুক হয়রানী করতে তার সহযোগী আলমগীর শাহকে দিয়ে এ মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে। দ্রুত এ মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবী জানিয়েছেন আরিফ খাঁন। মিথ্যা মামলার করায় ইউপি সদস্য সাইদ ও তার সহযোগী আলমগীর শাহ শাস্তি দাবী করেছেন তিনি।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী নলুয়াবাগী গ্রামের জাহাঙ্গীর শাহ বলেন, ঘটনার দিন গরু চুরির কোন ঘটনাই ঘটেনি। ইউপি সদস্য আবু সাইদ নদী থেকে আমতলী উপজেলার গাজীপুর বন্দরের একটি ট্রলার ধরে আনে। পরে ট্রলার মাঝি মোশাররফ হোসেনকে ইউপি সদস্য সাইদ গরু চুরির অপরাদ দিয়ে মারধর করে। এর প্রতিবাদ করায় ইউপি সদস্য তার সহযোগী আলমগীর শাহকে বাদী করে আরিফ খাঁন তার বাবা নিজাম খাঁন ও ভাই তামিমকে মিথ্যা গরু চুরির মামলা দিয়েছে।
নলুয়াবাগী সাংগঠনিক ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি মজিবুল হক খলিফা বলেন, ইউপি সদস্য আবু সাইদ নদীর মাঝখান থেকে একটি ট্রলার ধরে আনে। তীরে এনে ওই ট্রলারের মাঝিকে গরু চোর বলে মারধর শুরু করেন। কিন্তু বাস্তবে কোন গরু চুরি হয়নি। ট্রলার মাঝিকে অহেতুক মারধর করা প্রতিবাদ করেন আরিফ খান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ইউপি সদস্য সাইদ তার সহযোগী আলমগীর শাহকে দিয়ে আরিফ খান ও তার পরিবারের লোকজনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়েছে।
মামলার বাদী আলমগীর শাহ বলেন, ইউপি সদস্য সাইদ আমাকে যেভাবে মামলা করতে বলেছে আমি সেভাবে করেছি।
ইউপি সদস্য আবু সাইদ আকন বলেন, আমিতো মামলা করিনি। মামলা করেছে আলমগীর শাহ। এখানে আমার কি করার আছে?
গলাচিপা থানার ওসি শোনিত কুমার গাইন বলেন, মামলা তদান্তধীন রয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এমএইচকে/এমআর