নাজিরপুরে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট

প্রথম পাতা » পিরোজপুর » নাজিরপুরে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট
রবিবার ● ২৫ জুন ২০২৩


নাজিরপুরে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট

নাজিরপুর(পিরোজপুর) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে পিরোজপুরের নাজিরপুরে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট। সবাই নিজ সামর্থের মধ্যে পছন্দের কোরবানির পশু কিনতে ছুটছেন এক হাট থেকে অন্য হাটে। এখন পছন্দের পশু কেনাই যেন সবার কাছে মুখ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। কোরবানি উপলক্ষে জমে উঠেছে উপজেলার দীঘিরজান বাজারের পশুর হাট।
সপ্তাহের প্রতি শনি ও মঙ্গলবার বসে এ গরুর হাট। নাজিরপুর উপজেলায় ৩টি গরুর হাটে পশু কেনা-বেচা করেন বিভিন্ন জেলার ক্রেতা-বিক্রেতারা। ছোট-বড় গরুসহ বিভিন্ন সাইজের পশু নিয়ে ভিড় জমিয়েছেন স্থানীয় খামারি ও ব্যবসায়ীরা। এদিকে ক্রেতা-বিক্রেতার হাঁকডাকে নাজিরপুরে কোরবানির হাট এখন বেশ সরগরম। তবে হাটে পশু বেশি থাকলেও গোখাদ্যসহ দ্রব্যমূল্য বেশি হওয়ায় পশুর দামও বেশ চড়া। বিক্রেতারা জানান, গোখাদ্যের দাম গত বছরের তুলনায় দ্বিগুণ হওয়ায় গবাদিপশু পালন ব্যয়বহুল হয়ে পড়েছে। দাম বেশি হওয়ায় মাঝারি সাইজের গরুর প্রতি আগ্রহ বেশি ক্রেতাদের। শনিবার (২৪ জুন) নাজিরপুর উপজেলার দীঘিরজান বাজারে ১২ মণ ওজনের লালু নামের এক গরু এনেছেন উপজেলার উত্তর বানিয়ারির চিন্ময় বসু নামের এক বিক্রেতা। ক্রেতারা গরুটির দাম দুই লাখ ৬৫ হাজার বললেও দাম হাঁকছেন চার লাখ টাকা। তবে গত বছরের তুলনায় এবার গরুর দাম অনেক বেশি বলে অভিযোগ ক্রেতাদের। আর বিক্রেতারা বলছেন, গো-খাদ্যের দাম বাড়ায় এবং পশু স্বল্পতার কারণে দাম বেশি। আব্বাস আলী নামের একজন ক্রেতা বলেন, গতবছর যে গরু ৮০ হাজার টাকায় পাওয়া গেছে, সেই গরুর দাম এ বছর ১ লাখ ২০ হাজার টাকা চাচ্ছেন ব্যাপারীরা। ক্রেতা মিন্টু ইসলাম বলেন, হাটে অনেক গরু তবে দাম অনেক বেশি। পশু কিনতে হিমশিম খেতে হচ্ছে আমাদের। নাইম শেখ নামের একজন গরুর বেপারী বলেন, গো-খাদ্যের দাম অনেক বেড়েছে। গরু লালন-পালনে খরচ বেশি হচ্ছে। ন্যায্য দাম না পেলে আমাদের লোকসান হবে। তবে গরুর দাম একটু বেশি হওয়ায় গতবছরের তুলনায় বিক্রি কম। দীঘিরজান বাজারের গরুর হাটের ইজারাদার মো. নিজামুদ্দিন জানান, দেশের বিভিন্ন প্রন্ত থেকে এখানে ক্রেতা-বিক্রেতার সমাগম হয়। হাটে পশুর উপস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। আশা করি সামনের হাটে আরো বেশি গরু উঠবে। তবে বাড়তি দামের কারণে বেচা-কেনা একটু কম হচ্ছে। এই হাটে খাজনা অনেক কম। উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা. তরিকুল ইসলাম জানান, উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিস থেকে মেডিক্যাল টিম রাখা হয়েছে। এ ছাড়া প্রয়োজনে যে কোনো সময় খামারি ও ব্যবসায়ীদের সেবার জন্য হটলাইন চালু রয়েছে এবং হাটগুলো মনিটরিং করা হচ্ছে।

এএএইচ/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ২১:১৩:০৭ ● ১০৫ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ