আমতলীতে নেশাদ্রব্যের খাবারে ৮নারী শিশু অসুস্থ!

প্রথম পাতা » বরগুনা » আমতলীতে নেশাদ্রব্যের খাবারে ৮নারী শিশু অসুস্থ!
বৃহস্পতিবার ● ২২ জুন ২০২৩


আমতলীতে নেশাদ্রব্যের খাবারে ৮নারী শিশু অসুস্থ!

আমতলী (বরগুনা) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

দুর্বৃত্ত্বদের নেশা জাতীয় দ্রব্য মেশানো খাবার খেয়ে তিন পরিবারের ৮ শিশু ও নারী পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ঘটনা ঘটেছে আমতলী উপজেলার বেতমোর গ্রামে বুধবার রাতে।
জানাগেছে, উপজেলার বেতমোর গ্রামের ব্যবসায়ী নাশির তালুকদারের ঘরে দুর্বৃত্ত্বরা খাবারের সাথে নেশা জাতীয় দ্রব্য দেয়। মঙ্গলবার রাতে ওই খাবার খেয়ে তার স্ত্রী ফরিদা ইয়াসমিন, পুত্রবধু লামিয়া ও নাতি ফাহিম হোসাইন জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। নাশির তালুকদার রাত ১০ বাড়ী ফিরে তার ঘরের সকলকে অজ্ঞান অবস্থায় দেখতে পায়। দ্রুত স্বজনরা তাদের উদ্ধার করে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসেন। ওই রাতেই একই গ্রামের আতাউর রহমানের ঘরের খাবারে দুর্বৃত্ত্বরা নেশা জাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে রাখে। ওই খাবার খেয়ে একই অবস্থায় ইয়াসমিন, সাফা ও সারিফা অজ্ঞান হয়ে পড়ে। তাদেরকে বৃহস্পতিবার সকালে স্বজনরা উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে। ওই হাসপাতালের কর্তৃব্যরত চিকিৎসক ডাঃ মেহেরীন আশ্রাফ তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করেছে। এ ঘটনার একদিন আগে মঙ্গলবার রাতে একই গ্রামের লোকমান তালুকদারের ঘরের খাবারে দুর্বৃত্ত্বরা নেশা জাতীয় দ্রব্য দেয়। ওই খাবার খেয়ে হাজেরা খাতুন ও রাবেয়া বেগম জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। তাদেরকেও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে তারা সবাই পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
অসুস্থ্য লামিয়া বলেন, ঘরের পাতিলে রেখে দেয়া দুধ খাওয়ার পরপরই পরিবারের আমরা তিনজন অসুস্থ্য হয়ে পরেছি। এরপর কি হয়েছে জানিনা?
নাশির তালুকদার বলেন, দুর্বৃত্ত্বরা ঘরের খাবারের সাথে নেশা জাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে রেখে গেছে। ওই খাবার খেয়ে আমার পরিবারের তিনজন জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছে। একই ভাবে আমার দুই প্রতিবেশী পরিবারের ৬ জন জ্ঞান হারিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ মেহেরীন আশ্রাফ বলেন,  অসুস্থ্যদের পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। ধারনা করা হচ্ছে খাবারের সাথে নেশা জাতীয় দ্রব্য খাওয়ায় এ অবস্থা হয়েছে।
আমতলী থানার ওসি একেএম মিজানুর রহমান বলেন, খবর পেয়েছি। রহস্য উদঘাটন করে দ্রুত দায়ীদের শাস্তির আওতায় আনা হবে।

এমএইচকে/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ২০:৩৪:২৬ ● ৯১ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ