গৌরনদী (বরিশাল) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
৭০ হাজার টাকা যৌতুকের দাবিতে বরিশালের উজিরপুরে নিপা হালদার (১৮) নামে এক নববধুকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করেছে তার স্বামী ও শ^শুর বাড়ির লোকজন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে (নিপা) গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভতি করা হয়েছে।
নিপার দাদা নির্মল হালদার জানান, গত ১৪ মে উজিরপুর উপজেলার বামরাইল ইউনিয়নের হস্তিসুন্ড গ্রামের মৃত অক্ষয় মন্ডলের ছেলে দুলাল মন্ডলের (৩৫) সঙ্গে গৌরনদী উপজেলার বার্থী গ্রামের নিলকান্ড হালদারের কন্যা নিপা হালদারের (১৮) সামাজিক ভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের সময় কনের বাবা নগদ ১ লাখ টাকা, ২ ভরি স্বর্ণালংকার, ফ্রিজসহ তিন লক্ষাধিক টাকার মামলাল যৌতুক দেয়।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন নববধু নিপা হালদার জানান, বিয়ের পর থেকে তার স্বামী দুলাল মন্ডল বন্ধকী জমির টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য আরো ৭০ হাজার টাকা যৌতুক দাবি করে আসছিল। দাবিকৃত যৌতুকের টাকা বাবার বাড়ি থেকে এনে দিতে অস্বীকার করায় তাকে প্রায় শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতো তার স্বাশী দুলাল। ৭০ হাজার টাকা যৌতুকের দাবিতে গত ১৬ জুন বিকালে তার স্বামী ও ভাসুর গৌরাঙ্গ মন্ডলসহ শ^শুর বাড়ির লোকজনে তাকে (পিনা) শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে। ওইদিন রাতে স্বামী দুলাল তাকে বেদম মারপিট ও তার (নিপা) মাথা ধরে দেয়ালের সঙ্গে একাধিকবার আঘাত করে মারাত্মক ফুলা জখম করে। এ সময় আত্মচিৎকার করলে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে তাকে রক্ষা করে বাবার বাড়িতে মোবাইলৈ খবর দেয়। শুক্রবার সকালে তার দাদা নির্মল হালদার নাতি জামাই’র বাড়িতে এসে তাকে (নিপা) স্থানীয় গণ্যমান্যদের কাছে নিয়ে তার জখমের চিহু দেখায়। আহত অবস্থায় তাকে শুক্রবার দুপুরে গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে রিলিজ নিয়ে পাষান্ড স্বামী ও শ^শুর বাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করবো।
অভিযুক্ত স্বামী দুলাল মন্ডল সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার বিরুদ্ধে মামলা করলে আমিও স্ত্রীর বিরুদ্ধে ১০ লাখ টাকা নিয়ে যাওয়ার মামলা করবো। দুলাল নিজেকে বামরাইল ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক দাবি করে আরো বলেন, আমার দাদা শ^শুর আমার স্ত্রীকে (নিপা) নিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয়দের কাছে মিথ্যা বদনাম রটিয়ে আমার ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে।
এএস/এমআর