দুমকি(পটুয়াখালী) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

পটুয়াখালীর দুমকিতে প্রকাশ্য দিবালোকে হালিমা আক্তার মীম (২০) নামের এক গৃহবধুর হাত পা বেধে ৬মাসের বাচ্চাসহ গায়ে আগুন দিয়ে বাসার দরজা বন্ধ করে পালিয়েছে মুখোশধারী দুবৃত্তরা। ওই গৃহবধুর ডাকচিৎকার ও গোঙ্রানীর শব্দে প্রতিবেশী লোকজন তাদের অগ্নিদগ্ধাবস্থায় উদ্ধার করে বরিশাল শেরে-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টার দিকে উপজেলার নূতনবাজার সংলগ্ন শাহজাহান মুন্সির (দারোগা) ভাড়াটে বাসায় এ ঘটনাটি ঘটেছে।
প্রতিবেশীরা জানায়, দুমকি সাতানী গ্রামের বাসিন্দা মো: জামাল হোসেন প্রিন্স ও হালিমা আক্তার মীম দম্পতি চলতি মাসের ২জুন তারিখে শাহজাহান দারোগার ভাড়াটে বাসায় ওঠে বসবাস করছিল। তাদের ওয়ালিফ নামের ৬মাসের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরের খাবার খেয়ে সবাই যে যার বাসায় বিশ্রাম করছিল। হঠাৎ প্রতিবেশীরা নূতন ভাড়াটে বাসায় চিৎকার ও গোঙ্ড়ানীর শব্দে ছুটে গিয়ে বাইরে থেকে দরজার ছিটকানী বন্ধ পায়। ভেতরে ঢুকে অগ্নিদগ্ধ গৃহবধু হালিমা আক্তার মীমকে হাত পা বাধাঁ গড়াগড়িরত অবস্থায় উদ্ধার করে। শিশু বাচ্চাটিও মারাত্মক ভাবে ঝলসে গেছে। স্থানীয়রা অগ্নিদগ্ধ মা মেয়েকে দ্রুত বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরণ করলে তাদের অবস্থার অবনতি ঘটায় রাতেই ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ণ ইউনিটে স্থানান্তর করা হয়েছে। অগ্নিদগ্ধ গৃহবধু হালিমা আক্তার মীমকে হায় স্বামী হায় স্বামী বলে মুর্ছা যেতে দেখেছেন প্রতিবেশীরা। ঘটনার সময় স্বামী প্রিন্স বাসায় ছিল না বলে জানা যায়। মুখোশধারী দুই দুবৃত্ত হঠাৎ বাসায় ঢুকে গৃহবধু মীমের হাত পা বেধে গায়ে আগুন ধরিয়ে বাইরে থেকে সিটকানী বন্ধ করে পালিয়ে গেছে। এতে গৃহবধুর হাত বুক, পেটসহ শরীরের অনেকাংশ এবং শিশু কন্যা ওয়ালিফের শরীর ঝলসে গেছে। তবে দুবৃত্তদের নাম পরিচয় জানা যায়নি। খবর পেয়ে দুমকি থানার ওসি তদন্ত মাহবুবুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি বলেন, এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ এখনও পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এমআর