ছাতক(সুনামগঞ্জ) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
সুনামগঞ্জ-৫, ছাতক- দোয়ারাবাজার আসনের সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিক বলেছেন, আওয়ামীলীগে অনুপ্রবেশ করা ছাত্রশিবির কর্মী কৌশলে আওয়ামীলীগের সর্বনাশ করে যাচ্ছে। সে নৌকার কান্ডারি হতে চায়, এদের বিরুদ্ধে আমাদের রুখে দাঁড়াতে হবে। যারা আওয়ামীলীগের নাম ভাঙ্গিয়ে আঙ্গুল ফুলে বটবৃক্ষ হয়েছে এবং আওয়ামীলীগের নেতা- কর্মীদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে, তাদেরকে আর ছাড় দেয়া হবে না। তিনি বলেন, আওয়ামীলীগ ও সরকারের উন্নয়নের বাঁধাদানকারী দালালদের প্রতিহত করা হবে। স্বাধীনতা বিরোধিদের নিয়ে গঠিত এ চক্র সরকারের উন্নয়ন এবং আওয়ামীলীগের বিরোধিতা করে যাচ্ছে। তারা সারা বছর আওয়ামীলীগের লেবাস ধারন করে থাকলেও নির্বাচনের সময় তারা নৌকা ডুবাতে ব্যস্থ হয়ে উঠে। কিন্তু বার-বার নৌকাকে বিজয়ী করে ছাতক- দোয়ারার মানুষ তাদের এ অপকর্মের দাঁতভাঙ্গা জবাব দিয়েছে। স্বাধীনতা বিরোধী এ চক্রের অতীত ইতিহাস কখনো ভালো ছিলো না। স্বাধীনতার প্রতীক নৌকা ও জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের উপর আস্থাশীল ছাতক-দোয়ারার আওয়ামী পরিবারকে বিভক্ত করতে প্রতিনিয়তই নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে চিহ্নিত এ গোষ্টি। তাদের মদদে হয়রানী ও বিভ্রান্ত করতে বিভিন্ন জটিল মামলায় আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের আসামী করে ফায়দা লুঠে নিচ্ছে তারা। তাদের সঞ্চিত পাহাড়সম কালো টাকা ব্যবহার করে আওয়ামীলীগ নেতা-কর্মীদের নির্যাতন করা হচ্ছে।
তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে আরো বলেন, সম্প্রতি ঘটে যাওয়া একটি হত্যাকান্ডের ঘটনায় তার ভাতিজা তানভির সহ আওয়ামীলীগ নেতা-কর্মীদের আসামী করা হয়েছে। স্বাধিনতা বিরোধি এ গোষ্টিটি রাজনৈতিক মাঠ দখলে নিতে এসব অপকর্মের পথ বেচে নিয়েছে। শান্ত ছাতক শহরকে অশান্ত করার চেষ্টা করছে তারা। তিনি বলেন, মিথ্যা মামলা থেকে আওয়ামীলীগ নেতা- কর্মীদের নাম প্রত্যাহার এবং সব অপকর্ম থেকে সরে না দাঁড়ালে স্বাধীনতা বিরোধি এ গোষ্টিকে কঠোরভাবে প্রতিহত করা হবে।
রোববার (৪ জুন) দুপুরে নৈরাজ্যবাদী বিএনপি, জামাত ও তাদের দোসরদের দেশ বিরোধি ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল ও গণ সামবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমপি মানিক এসব কথা বলেন। পৌর আওয়ামী লীগের আহবায়ক, সাবেক পৌর মেয়র আলহাজ্ব আব্দুল ওয়াহিদ মজনুর সভাপতিত্বে ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক সৈয়দ আহমদের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন,
দোয়ারাবাজার উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ইদ্রিছ আলী বীর প্রতীক, ছাতক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান, দোয়ারা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান দেওয়ান আল তানভির আশরাফি চৌধুরী বাবু, ছাতক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আবু সাদাত লাহিন, ছাতক পৌরসভার প্যানেল মেয়র তাপস চৌধুরী, জেলা পরিষদ সদস্য আব্দুল খালিক, ইউপি চেয়ারম্যান আওলাদ হোসেন মাষ্টার, আলহাজ্ব সুন্দর আলী, বিল্লাল আহমদ, আবু বক্কর, ওদুদ আলম, আমিরুল হক, ইজ্জত আলী, প্রবাসী আওয়ামীলীগ নেতা সেলিম সিদ্দীকি, জেলা স্বেচ্ছাসেক লীগের সহ সভাপতি নেতা বাবুল রায়, ছাতক পৌর আওয়ামী লীগ নেতা ছাব্বির আহমদ প্রমুখ।
সভা শেষে মুহিবুর রহমান মানিক এমপির নেতৃত্বে হাজার- হাজার নেতা কর্মীরা শহরে একটি বিশাল বিক্ষোভ মিছিল বের করে। এর আগে ছাতক ও দোয়ারার বিভিন্ন এলাকা থেকে খন্ড-খন্ড মিছিল ছাতক শেখ রাসেল মিনি ষ্টেডিয়ামে সভা মঞ্চে এসে জড়ো হয়। বেলা বাড়ার সাথে সাথে খন্ড মিছিরের সংখ্যা বাড়তে থাকে।
এক পর্যায়ে গোটা পৌর শহর মিছিলে-মিছিলে ভরে উঠে। মিছিলকারীরা লায়েক হত্যা মামলায় ষড়যন্ত্রমুলক ভাবে জড়ানো জেলে থাকা এমপির ভাতিজা ইশতিয়াক রহমান তানভির, সাবেক স্বেচ্ছাবকলীগ নেতা সাদমান মাহমুদ সানি, আওয়ামী লীগ নেতা আলাউদ্দিন সহ নিরপরাধ ব্যাক্তিদের নিঃশর্ত মুক্তি এবং প্যানেল মেয়র তাপস চৌধুরীর নাম মামলা থেকে প্রত্যাহারের দাবী জানান।
সমাবেশ এবং মিছিলে ছাতক-দোয়ারা উপজেলার সকল ইউনিয়ন, ছাতক পৌর সভার সকল ওয়ার্ডের আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং জনপ্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এএমএল/এমআর