নির্বাচনে কারচুপি বন্ধে ইভিএম’র ব্যবহার প্রয়োজন: সিইসি

প্রথম পাতা » জাতীয় » নির্বাচনে কারচুপি বন্ধে ইভিএম’র ব্যবহার প্রয়োজন: সিইসি
শুক্রবার ● ৮ মার্চ ২০১৯


নির্বাচনে কারচুপি বন্ধে ইভিএম’র ব্যবহার প্রয়োজন: সিইসি

ঢাকা সাগরকন্যা অফিস॥

নির্বাচনে কারচুপিসহ পরিবেশ ক্রমান্বয়ে অবনতির দিকে যাচ্ছে উল্লেখ করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা বলেছেন, আমাদের কঠোর পদক্ষেপ নিতে হয়। তারপরও সামাল দেওয়া যায় না। তাই কারচুপি রোধে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের গুরুত্ব অনেক বেশি।
নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে (ইটিআই) পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ (টিওটি) কর্মশালায় শুক্রবার (৮ মার্চ) তিনি এসব কথা বলেন। কেএম নূরুল হুদা বলেন, পরিবেশ-পরিস্থিতি ক্রমান্বয়ে অবনতির দিকে যাচ্ছে এবং আইন আরও কঠোর হচ্ছে। এখন আমাদের আচরণবিধি তৈরি করতে হয়, নির্বাচনে আইন প্রণয়ন করতে হয়, আমাদের কঠোর পদক্ষেপ নিতে হয় তারপরও সামাল দেওয়া যায় না। এ অবস্থা থেকে উত্তরণ দরকার। কোন দেশে আছে সেনাবাহিনী নির্বাচন পরিচালনার জন্য নিয়োজিত হন? নির্বাচন করতে যাবেন রাজনৈতিক দল যারা দেশ পরিচালনা করবেন।
জনগণ দেশের মালিক, তারা ভোট দিতে যাবেন এবং আমরা যারা দায়িত্বে থাকবো, আমরা নির্বাচন পরিচালনা করবো। ভোটাররা ভোট দেবেন, ভোট দিয়ে চলে যাবেন, কোনো সমস্যা থাকবে না। কে. এম. নুরুল হুদা বলেন, ‘এই সমাজের মধ্যে অনিয়ম একটা একটা অনুপ্রবেশ করে, একে প্রতিহত করার জন্য আরেকটা পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হয়। এখন আমরা চিন্তা করেছি কী, এগুলোর আর দরকার নাই, ইভিএম শুরু করে দেব। ইভিএম শুরু হবে সুতরাং রাতে আর বক্স ভর্তি করার সুযোগ থাকবে না। এই উত্তরণ একেকটা, উত্তরণ বলেন অধ:পতন বলেন- এইরকম সামাজিক ব্যবস্থার মধ্যে এসে যাচ্ছি’, যোগ করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার।
তিনি আরো বলেন, কারা সেজন্য দায়ী, কাদের কী করা যাবে, সেই দীক্ষা-শিক্ষা দেওয়ার ক্ষমতা আমাদের কমিশনের নেই। এবং সেভাবে বলারও কোনো সুযোগ নেই যে, কী কারণে এগুলো হচ্ছে। রাজনৈতিক দলগুলোকে নির্বাচনমুখী করতে উদ্যোগী হতে হবে বলে চতুর্থ পর্বের উপজেলা নির্বাচনের দায়িত্বপ্রাপ্ত এই কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন সিইসি। তিনি আরো বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোকে নির্বাচনমুখী করার ব্যাপারে আপনাদের ভূমিকা রয়েছে। সুষ্ঠু নির্বাচনমুখী করার জন্য আপনাদের ভূমিকা রয়েছে। সেক্ষেত্রে আপনাদের অবদান আশা করি আপনাদের থাকবে।
সিইসি বলেন, যারা নির্বাচনের দায়িত্বে থাকবেন তাদের কোনো পক্ষ নেই। তাদের দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন পরিচালনা করা। কে কোন দল করে, কে কোন মত করে, কে কার আত্মীয়, কার প্রভাব বেশি, কার কি রাজনৈতিক পরিচয় এসব বিবেচ্য বিষয় হবে না। সম্পূর্ণভাবে নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত করাই দায়িত্ব। নির্বাচন হবে স্বচ্ছ, এতে গোপনীয় কিছু নেই। শুধু গোপনীয় একটি কক্ষ আছে, যেখানে ভোটার গিয়ে ভোট দেবেন। এ ছাড়া নির্বাচন পরিচালনার সব তথ্য জনগণের জন্য উন্মুক্ত। তিনি আরও বলেন, নির্বাচন সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না। যিনি হেরে যাবেন তার কাছে নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না। যিনি জিতে যাবেন তার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে। এই হেরে যাওয়া ও জিতে যাওয়ার মধ্যে আপনাদের যেন কোনো গাফিলতি না থাকে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এবার পাঁচ ধাপে দেশের ৪৯২ উপজেলায় ভোটগ্রহণ করবে ইসি।
প্রথম ধাপে ১০ মার্চ, দ্বিতীয় ধাপে ১৮ মার্চ, তৃতীয় ধাপে ২৪ মার্চ, চতুর্থ ধাপে ৩১ মার্চ ও পঞ্চম ধাপে ১৮ জুন ভোটগ্রহণ করবে কমিশন। অনুষ্ঠানে ইটিআইয়ের ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এফএন/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ১৬:০৫:০২ ● ৪০৫ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ