কলাপাড়া (পটুয়াখালী)সাগরকন্যা অফিস॥
জমে উঠেছে বৈশাখী লোকজ মেলা। প্রতি বছরের মতো এবারও ঈদের দ্বিতীয় দিন থেকে পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার মাঠে বসেছে বৈশাখী লোকজ মেলা। কলাপাড়া উপজেলা প্রশাসন এ মেলার আয়োজন করেছেন। এতে বিভিন্ন সাংষ্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে গ্রাম্য সংষ্কৃতি তুলে ধরার পাশাপাশি প্রতিদিন লোকজ ও বাউল গানের আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়া এবারের মেলায় দর্শনার্থীদের বাড়তি আনন্দ দিতে যোগ করা হয়েছে নাগর দোলা ও ডিজিটাল নৌকা দোলার খেলনা। রয়েছে ঘোড়া ও ট্রেন গাড়ির দোলনা। মেলার প্রথম দিনেই মাঠে দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভির লক্ষ করা গেছে। এতে ছোট্ট সোনামনিদের সাথে অভিভাবকরাও উপভোগ করছে ঈদের আনন্দ। আগামী পাঁচদিন এ মেলা চলবে বলে উপজেলা প্রশাসন জানিয়েছেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার মাঠ প্রাঙ্গনের চারপাশে হরেক রকম পন্যের পশরা সাজিয়ে বসেছে দোকানীরা। মেলার উত্তর প্রান্তে ষ্টেইজে লোকজ ও বাউল গান পরিবেশন করছেন বাউল শিল্পিরা। মুগ্ধ হয়ে গান শুনছেন মেলায় ঘুরতে আসা দর্শনার্থীরা। কেহ আবার ব্যস্ত রয়েছেন বিভিন্ন ধরনের পন্য কেনা-কাটায়। এদিকে মেলা প্রাঙ্গনের দক্ষিণ পাশে আয়োজন করা হয়েছে বিভিন্ন ধরনের খেলনার। বিকেল গড়ার সাথে সাথে বাড়তে শুরু করে দর্শনার্থীদের ভির। এরমধ্যে ছোট ছেলেমেয়েদের ভিড় ছিলো চোখে পড়ার মতো। অভিভাবকদের উপস্থিতিও ছিলো অনেক। ছেলে মেয়েদের সাথে তারাও আনন্দ উপভোগ করছেন সমানতালে।
নীলগঞ্জ থেকে আগত অভিভাবক আরতি রানি জানান, মাইকিংয়ে মেলার কথা শুনে বাচ্চাদের নিয়ে ঘুরতে এসেছি। লোকসমাগম দেখে খুব ভালো লাগছে।
কলাপাড়া গার্লস কলেজের শিক্ষার্থী লামিয়া জানান, এবারের আয়োজনটা ভালো হয়েছে। বিশেষ করে অনেকগুলো রাইড আনা হয়েছে। কয়েকটি রাইডে উঠেছি, খুব ভালো লাগছে।
ডিজিটাল নৌকা দোলের টিকিট কাউন্টার রুহুল আমিন বলেন, আজ প্রথম দিনেই ভালো সাড়া পেয়েছি। আশা করছি আগামী কয়েকদিন আরো অনেক লোকজনের সমাগম হবে।
খেলনার আয়োজনকারী হিসেবে কলাপাড়া রিপোর্টার্স ক্লাবের সাবেক সভাপতি এস.কে রঞ্জন বলেন, এমন একটি মেলার আয়োজন করায় উপজেলা প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। এবার বৈশাখী মেলার সাথে ঈদের আনন্দও রয়েছে। তাই ঈদের আনন্দকে আরেকটু আনন্দময় করতে এ খেলনাগুলো এনেছি। প্রথম দিনেই ভালো সাড়া পেয়েছি। মেলায় আগত সবাই খুব খুশি হয়েছে। এমন একটি আয়োজনে অংশগ্রহন করতে পেরে খুব ভালো লাগছে।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, বৈশাখী মেলার মাধ্যমে গ্রাম বাংলার লোকজ সংষ্কৃতিকে তুলে ধরা হয়। প্রতি বছরই উপজেলা প্রশাসন বৈশাখী মেলার আয়োজন করে থাকে। এবছরও সেই ধারাবাহিকতা অব্যাহত রয়েছে। মেলায় ঘুরতে আসা দর্শনার্থীরা অনেক আনন্দ উপভোগ করতে পারবেন বলে তিনি আশা ব্যক্ত করেন।
এসকেআর/এমআর