গলাচিপা (পটুয়াখালী) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
পটুয়াখালীর গলাচিপায় ধারের টাকা না পেয়ে মামলা করেছেন মোসা. মিনারা বেগম (৪৫) নামের এক ভুক্তভোগী নারী। মিনারা বেগম গলাচিপা পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ড সাগরদী রোডের জাহাঙ্গীর হাওলাদারের স্ত্রী। মিনারা বেগম জানান, ২০১৫ সালে মকবুল হাওলাদার ও তার স্ত্রী আকলিমা বেগম এবং আলম সরদার একত্রিত হয়ে তাদের মেয়ের বিবাহের কথা বলে আমাদের কাছ থেকে নগদ ২ লক্ষ ২০ হাজার টাকা ধার নেয়। দেই দিচ্ছি, দিচ্ছি বলে নানা বাহানায় আমাদের টাকা না দিয়ে প্রায় ২ বছর ঘুরাতে থাকে। এ বিষয় মীমাংসার জন্য গলাচিপা থানায় একাধিকবার বসা হলেও সেখানে দুপক্ষের মধ্যে একটি রোয়েদাদ হয়। রোয়েদাদ নামায় উল্লেখ থাকে তারা প্রতিমাসে ১০ হাজার টাকা করে আমাদেরকে পরিশোধ করবে। কিন্তু তারা আমার টাকা না দেয়ার ফন্দি এটে তারা রাতের আঁধারে ঢাকা চলে যায়। এ বিষয়ে মিনারা বেগমের স্বামী জাহাঙ্গীর হাওলাদার বলেন, বাড়িতে জমি বিক্রি করে ঘর তোলার জন্য টাকা এনেছিলাম। আমাদের প্রতিবেশী হওয়ায় তারা তাদের মেয়ের বিবাহের জন্য আমাদের কাছে টাকা ধার চায়। আমরা তাদের মেয়ের দিকে তাকিয়ে উক্ত টাকা ধার দেই। কিন্তু তারা আমাদের টাকা পরিশোধ না করেই ঢাকা চলে যায়। এতে আমার ঘরও তোলা হয়নি আবার টাকাও পাইনি। এতে আমি পথে বসে গেলাম। এ বিষয়ে তাদের কাছে ধারের টাকা পাওয়া প্রতিবেশী পাওনাদার মাহমুদা বেগম, লিমা বেগম, সারমিন বেগম, রুজি বেগম এরা বলেন, তারা আমাদের কাছ থেকেও টাকা ধার নিয়েছে। তারা রাতের আঁধারে আমাদের কাছে না বলে চলে যায়। আমরা বিষয়টি সাবেক মহিলা কাউন্সিলর (৪, ৫ ও ৬নংওয়ার্ড) আঞ্জুমান আরা করুনা বেগম আপাকে জানিয়েছি। তিনি এ সম্পর্কে সবকিছুই জানেন। পরে কোন সুরহা না পাওয়ায় মিনারা বেগম বাদী হয়ে গলাচিপা বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ৪ জনকে আসামী করে একটি সি.আর মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং- সি.আর ৮০৬/১৭। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে উপজেলা যুবউন্নয়ন কর্মকর্তাকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেন। উপজেলা যুবউন্নয়ন কর্মকর্তা মো. মোবাশে^র আলী হাওলাদার পৃথক পৃথক ভাবে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রতিবেদন দাখিল করেন।
গলাচিপা বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সিনিয়র এ্যাডভোকেট মোকলেচুর রহমান খোকন মিয়া বলেন, আমার মক্কেলের ঘটনা সম্পূর্ণ সত্য। আমি আদালতের মাধ্যমে এর সঠিক বিচার পাব।
এসডি/এমআর