আমতলীতে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজীর মামলা!

প্রথম পাতা » বরগুনা » আমতলীতে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজীর মামলা!
সোমবার ● ৩ এপ্রিল ২০২৩


আমতলীতে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজীর মামলা!

আমতলী (বরগুনা) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

বরগুনার আমতলী উপজেলায় ১০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবীর অভিযোগে গুলিশাখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এইচ এম মনিরুল ইসলাম মনিসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। গত রবিবার মোঃ সানোয়ার হোসেন হানিফ বাদী হয়ে বরগুনা দ্রুত বিচার আদালতে এ মামলা দায়ের করেছেন। আদালতে বিচারক মোঃ মাহবুব আলম মামলাটি আমলে নিয়ে পটুয়াখালী পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তপুর্বক আগামী ২৬এপ্রিল আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
জানাগেছে, আমতলী উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়নের গুলিশাখালী গ্রামে গত ডিসেম্বর মাসে এনবিএম ঝিকঝ্যাক ইটভাটায় ইট নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়। নির্মাণের শুরুতেই গুলিশাখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এইচএম মনিরুল ইসলাম মনির লালিল সন্ত্রাসী সামসু পঞ্চায়েত, জসিম চৌকিদার ও মিরাজ হোসেনসহ ৮-১০ সন্ত্রাসী চেয়ারম্যানের নির্দেশে ভাটার  ম্যানেজার মোঃ সানোয়ার হোসেন হানিফের কাছে ১০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে। এ টাকা দিতে অস্বীকার করে ম্যানেজার। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মনির নির্দেশে ওই সময় সন্ত্রাসীরা ইটভাটা বন্ধ করে দেয় এমন অভিযোগ ইটভাটার ম্যানেজার ও মামলার বাদী সানোয়ার ইসলাম হানিফের। তখন স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপে ইটভাটা চালু হয়। এ ঘটনার জের ধরে শরিবার সন্ত্রাসীরা ওই ইটভাটার ইটবোঝাই ট্রাক আটকে ম্যানোজার সানোয়ার হোসেন হানিফকে মারধর করে এবং তাদের দাবীকৃত ১০ লক্ষ চাঁদা টাকা পরিশোধ করতে নির্দেশ দেন। খবর পেয়ে ইটভাটার লোকজন এসে আহত সানোয়ার হোসেন হানিফকে উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এ ঘটনায় রবিবার বরগুনা দ্রুত বিচার আদালতে সানোয়ার হোসেন হানিফ বাদী হয়ে গুলিশাখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এইচএম মনিরুল ইসলাম মনিকে প্রধান আসামী করে সামসু পঞ্চায়েত, জসিম চৌকিদার ও মিরাজ হোসেনের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আদালতের বিচারক মোঃ মাহবুব আলম মামলাটি আমলে নিয়ে পটুয়াখালী পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্ত করে আগামী  ২৬ এপ্রিল প্রতিবেদন আদালতে দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
ইটভাটার মালিক মোসাঃ জাহানারা ইসলাম বলেন, গুলিশাখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এইচএম মনিরুল ইসলাম মনির নির্দেশে তার লালিত সন্ত্রাসী  সামসু পঞ্চায়েত, জসিম চৌকিদার ও মিরাজ হোসেনসহ ৮-১০ সন্ত্রাসী আমার ইটভাটার  ম্যানেজারের কাছে ১০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে। তাদের দাবীকৃত চাঁদা টাকা না দেয়ার বেশ কয়েকবার সন্ত্রাসীরা ইটভাটা বন্ধ করে দেয়। ওই ঘটনার জের ধরে আমার ইটভাটার ট্রাক আটকে ম্যানেজারকে মারধর করেছে।
গুলিশাখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও মামলার প্রধান আসামী এইচএম মনিরুল ইসলাম মনি বলেন, আমার রাজনৈতিক ইমেজ নষ্ট করতে প্রতিপক্ষের লোকজন ষড়যন্ত্রমুলক আমার নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে।
মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবি মোঃ জামাল হোসেন বলেন, আদালতের বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে পটুয়াখালী পিবিআইকে আগামী ২৬ এপ্রিল তদন্তপুর্বক প্রতিবেদন আদালতে দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।

এমএইচকে/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ২২:০৩:১৩ ● ১০০ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ