ঠিকাদারের গাফিলতিআমতলীতে প্রশাসনিক ভবন নির্মাণে অনিশ্চয়তা!
প্রথম পাতা »
বরগুনা »
ঠিকাদারের গাফিলতিআমতলীতে প্রশাসনিক ভবন নির্মাণে অনিশ্চয়তা!
আমতলী (বরগুনা) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
১০ মাস পেরিয়ে গেলেও আমতলী উপজেলা প্রশাসনিক ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু হয়নি। অভিযোগ রয়েছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স ইফটি-ইসিটিএল প্রাইভেট লিমিটেড’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ মিরাজুল ইসলাম গাফিলতি করে কাজ শুরু করছেন না। উল্টো ঠিকাদার ভবন নির্মাণের জায়গা নির্ধারণ করে না দেয়ার অযুহাত তুলে কাজ করবে না মর্মে জামানত টাকা (পে-অর্ডার) ফেরত চেয়ে উপজেলা প্রকৌশল অফিসে আবেদন করেছেন। এতে অনিশ্চিত হয়ে পরেছে উপজেলা প্রশাসনিক ভবনের নির্মাণ কাজ। আরো অভিযোগ রয়েছে ওই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান আমতলী উপজেলায় বেশ কয়েকটি ব্রীজের কাজ শুরু করে ফেলে রেখেছেন। এতে জনগনের বেশ ভোগান্তি হচ্ছে।
জানাগেছে, আমতলী উপজেলা সম্প্রসারিত প্রশাসনিক ভবন নির্মাণের জন্য উপজেলা প্রকৌশল অফিস সাত কোটি ছাব্বিশ লক্ষ চুয়াত্তর হাজার আট’শ বাইশ টাকা বরাদ্দ দেয়। ভবন নির্মাণের জন্য গত বছর ২৪ ফেব্রুয়ারী এলজিইডি দরপত্র আহবান করে। ছয় কোটি চুয়ান্ন লক্ষ সাত হাজার তিন’শ চল্লিশ টাকা ব্যয়ে ওই কাজ পায় ভান্ডারিয়া উপজেলার হরিনডালা এলাকার মেসার্স ইফটি-ইসিটিএল প্রাইভেট লিমিটেড’র নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। ওই বছর ৮ মে নির্মাণ কাজ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান গত ১০ মাসেও কাজ শুরুই করনি। উপজেলা প্রকৌশল অফিস বেশ কয়েক দফায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষকে কাজ শুরুর চিঠি দিলেও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান তা আমলে নেয়নি। উল্টো গত ৯ মার্চ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ মিরাজুল ইসলাম আমতলী উপজেলা প্রকৌশল অফিস কাজের জায়গা নির্ধারণ করে না দেওয়ার অযুহাত তুলে কাজ করবে না মর্মে জামানত টাকা (পে-অর্ডার) ফেরত চেয়ে আবেদন করেছেন। অভিযোগ রয়েছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ মিরাজুল ইসলামের গাফিলতিতে কাজ শুরু হয়নি। এতে আমতলী উপজেলা প্রশাসনিক ভবনের সম্প্রসারিত ভবনের কাজ অনিশ্চিত হয়ে পরেছে। ১৯৮৮ সালে আমতলী উপজেলা পরিষদ ভবন নির্মাণ করা হয়। বর্তমানে ওই ভবনে স্থান সংঙ্কুলন হচ্ছে না। অতি কষ্টে উপজেলা প্রশাসনের কর্তকর্তা ও কর্মচারীরা দাফতরিক কাজ করছেন এবং জনসাধারণ বেশ বিঢ়ম্বনার শিকার হচ্ছেন। ফলে উপজেলা প্রশাসনিক সম্প্রসারিত নতুন ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নেয় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ। আরো অভিযোগ রয়েছে ওই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান আমতলী উপজেলায় বেশ কয়েকটি ব্রীজের কাজ শুরু করে ফেলে রেখেছেন। এতে জনগনের বেশ ভোগান্তি হচ্ছে।
এ বিষয়ে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স ইফটি-ইসিটিএল প্রাইভেট লিমিটেড’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ মিরাজুল ইসলামের মুঠোফোনে বারবার যোগাযোগ করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।
আমতলী উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ আব্দুল্লাহ আলম মামুন বলেন, কাজ শুরু করতে ওই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে বেশ কয়েকবার চিঠি দিয়েছি কিন্তু ঠিকাদার গাফিলতি করে কাজ শুরু করছেন না। তিনি আরো বলেন জামানত টাকা উপজেলা প্রকৌশলীর অনুকুলে আনতে বাংলাদেশ বাংকের চিঠি দেয়া হয়েছে।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আশরাফুল আলম কাজ এখনো শুরু না করার কথা স্বীকার করে বলেন, ঠিকাদার জামানত ফেরত চেয়ে আবেদনের বিষয়টি আমার জানা নেই। জেনে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বরগুনা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী সুপ্রিয় মুখার্জী বলেন, উপজেলা প্রকৌশলী ঠিকাদারকে ভবনের কাজ শুরু করতে বেশ কয়েকবার চিঠি দিয়েছে কিন্তু ঠিকাদার কাজ শুরু করেনি। এখন উল্টো ঠিকাদার জামানত টাকা ফেরত চেয়ে আবেদন করেছেন।
এমএইচকে/এমআর
বাংলাদেশ সময়: ২২:৩৪:২৮ ●
২২৭ বার পঠিত
(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)