আমতলীতে ভোটের দ্বন্দে চাল বঞ্চিত জেলেরা!

প্রথম পাতা » বরগুনা » আমতলীতে ভোটের দ্বন্দে চাল বঞ্চিত জেলেরা!
সোমবার ● ২৭ মার্চ ২০২৩


আমতলীতে ভোটের দ্বন্দে চাল বঞ্চিত জেলেরা!

আমতলী (বরগুনা) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

ভোট না দেয়ায় ইউপি সদস্য আব্দল লতিফ মুন্সি প্রকৃত ইলিশ জেলেদের চাল দেয়নি বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।  জেলে মোঃ সাইদুর রহমান, মন্নান ফকির ও জলিল মিয়া এমন অভিযোগ করেছেন।  সোমবার চাল না পেয়ে অন্তত শতাধিক জেলে খালি হাতে বাড়ী ফিরে গেছেন। ঘটনা ঘটেছে আমতলী উপজেলার আড়পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের উত্তর ঘোপখালী ও বালিয়াতলী গ্রামে। জেলেদের অভিযোগ ইউপি সদস্য মোঃ আব্দুল লতিফ মুন্সি  স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে প্রকৃত জেলেদের চাল না নিয়ে ব্যবসায়ী ও কৃষকদের চাল দিয়েছেন। ইউপি সদস্য ব্যবসায়ী ও কৃষককে চাল দেয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, আমি তাদের নাম দেয়নি চেয়ারম্যান দিয়েছেন।
জানাগেছে, জাটকা ইলিশ শিকার বন্ধে সরকার মার্চ ও এপিল মাসে জাটকা ইলিশ শিকার জেলেদের জন্য চাল বরাদ্ধ দিয়েছেন। প্রতি মাসে জেলেরা ৪০ কেজি করে চাল পাবে। সোমবার আমতলী উপজেলার আড়পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের উত্তর ঘোপখালী ও বালিয়াতলী জেলেদের মাঝে চাল বিতরন করা হয়। জেলেদের অভিযোগ ভোট না দেয়ার কারনে ইউপি সদস্য আব্দুল লতিফ মুন্সি স্বজনপ্রীতি করে জাটকা জেলে নয় এমন জেলেকে চাল নিয়েছেন। এতে প্রকৃত জেলেরা চাল না পেয়ে ওই ইউনিয়নের অন্তত শতাধিক জেলে বাড়ী ফিরে গেছেন। জাটকা জেলেদের চাল দেয়ার নির্দেশনা থাকলেও ইউপি সদস্যদের চাল বিতরনের তালিকায় ছিল ব্যবসায়ী ও কৃষকরা। খোজ নিয়ে জানাগেছে, একই পরিবারের একাধিক মানুষ চাল পেয়েছেন কিন্তু প্রকৃত পক্ষে তারা ইলিশ জেলে নয়।  ইব্রাহিম  ও জসিম নামের দুই ভাই ফেনি থাকেন তারাও চাল পেয়েছেন।  কৃষক হাসান ইলিশ জেলে নয় কিন্তু তিনি  চাল পেয়েছেন।
জেলে সাইদুর রহমান, মন্নান ফকির ও জলিল বলেন,  ইউপি সদস্য আব্দুল লতিফ মুন্সিকে যারা ভোট দিয়েছেন তিনি তাদের চাল দিয়েছেন। আমরা প্রকৃত ইলিশ জেলে হওয়া সত্ত্বেও ভোট না দেয়ার কারনে তিনি চাল দেয়নি। তারা আরো বলেন, মোয়াজ্জেম, মোজাম্মেল, ইব্রাহিম, জসিম, হাসান, মিলন মিয়া ও রুহুল আমিনকে চাল দেয়া হয়েছে তারা ইলিশ জেলে নয়। তারা অনেকেই ব্যবসায়ী ও কৃষক। তারা আরো বলেন, মোনসের মিয়া জেলে নয় তার পরিবারে পাঁচজনকে চাল দেয়া হয়েছে। ইউপি সদস্য তার এলাকার এমন অনেককে চাল দিয়েছেন।
ইউপি সদস্য ভোট না দেয়ার কারনে চাল দেয়নি এমন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার ওয়ার্ডে জেলে তালিকায় নাম রয়েছে ২৩৫ জনের। কিন্তু আমি নাম পেয়েছি মাত্র ১১০ জনের। তাই কিছু হের ফের হয়েছে। তিনি আরো বলেন, যাদের চাল দিয়েছি তারা সবাই জেলে। তবে প্রকৃত ইলিশ জেলে কিনা এমন প্রশ্নের সদুত্তর দিতে পারেনি তিনি।
আড়পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোসাঃ সোহেলী পারভীন মালা বলেন, প্রকৃত জেলেদের মাঝে চাল দেয়া হয়েছে। তবে তালিকা করেছে ইউপি সদস্যরা। প্রকৃত ইলিশ জেলে আছে কিনা তারাই জানেন।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এমএইচকে/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ২২:১৬:৩২ ● ৯০ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ