পিরোজপুর সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
পিরোজপুরের পৃথক সড়ক দূর্ঘটনায় ৪জন নিহত সহ ৬জনকে গুরুতর আহত অবস্হায় উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে। ঘটনা দুটি ঘটেছে শুক্রবার বিকাল ও সন্ধ্যার পরে পিরোজপুর সদর উপজেলার পিরোজপুর-চরখালী সড়কের শংকরপাশা ও একই উপজেলার ধুপপাশা এলাকায়।
স্হাণীয় প্রত্যক্ষদর্শি সূত্রে জানা গেছে, ওই দিন বিকাল সাড়ে টার দিকে উপজেলার পাড়েরহাট সড়কের শংকরপাশা ইউনিয়নের সামনে সাইক্লোন শেল্টার সংলগ্ন রাস্তায় গ্রামীন পরিবহনের সাথে একটি টমটমের সাথে ধাক্কা লাগে। এতে ওই টমটমে থাকা দুই জন ঘটনা স্হলেই মারা যান এবং একজনকে পিরোজপুর হাসপাতালে নেয়ার পর মারা যান।
নিহতরা হলেন- বাগেরহাট জেলার মোরেলগঞ্জ উপজেলার চোমরা গ্রামের আবুল হোসেন মিনার ছেলে মো. ইয়াসিন মিনা (১৪), কচুয়া উপজেলার আল আমিন মল্লিকের ছেলে মো. শাহিন মল্লিক (১৮) ও কচুয়া উপজেলার মো. বাদশা (১৮)।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ওই দিন বিকালাল ৫টিার দিকে একটি টমটমে করে ২২ জন তরুন বাগেরহাট থেকে বরগুনার পাথরঘটা উপজেলায় একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে যাচ্ছিলেন। এ সময় সদর উপজেলার শংকরপাশার ওই রাস্তায় মঠবাড়িয়া থেকে ঢাকাগামী গ্রামীণ পরিবহণের একটি বাস বিপরীত দিক দিয়ে এসে নসিমনটিকে চাপা দিলে ঘটনাস্হলে দুই যাত্রী মারা যায়। হাসপাতালে নেওয়ার পর আরও একজন মারা যান। বাকিদেরকে খুলনা পাঠানো হয়েছে।
পিরোজপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মো. সোহেল বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্হল থেকে ২ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। জেলা হাসপাতালে নেওয়ার পর একজনের মৃত্যু হয়েছে।
পিরোজপুর সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক রফিকুল ইসলাম বলেন, হাসপাতালে আহত অবস্হায় ৪ জনকে নিয়ে আসা হয়েছিল। এদের মধ্যে মো. ইয়াসিন মিনা নামে একজনের মৃত্যু হয়। বাকিদের খুলনা প্রেরন করা হয়েছে।
এ ছাড়া একই দিন সন্ধ্যা পৌঁনে ৭টার দিকে পিরোজপুর পৌরসভার ধুপপাশা ব্রীজ সংলগ্ন এলাকায় রাস্তার পাশে মনিরুল ইসলাম (৫৫) নামের এক ব্যাক্তির রক্তাক্ত একটি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ওই লাশটির অপর পাশে পরিত্যাক্ত অবস্হায় একটি মোটর সাইকেল পাওয়ায় যায়। লাশটির মাথা থেতলে রক্তাক্ত অবস্হায় পড়ে রয়েছে বলে স্হানীয়রা জানান। ওই লাশটি পৌরসভার কেষ্ট নগর এলাকার মোয়াজ্জেম আলীর পুত্রর। তিরি জেলা সিভিল সার্জন অফিসের কর্মচারী বলে জানা গেছে।
পিরোজপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আ. জ. ম. মাসুদুজ্জামান বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় তিন জন মারা গেছে। ঘাতক বাসটিকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যাবস্হা নেওয়া হবে।আর রাস্তার পাশে যে মরদেহটি পাওয়া গেছে তাও কোন গাড়ি চাপায় মারা গেছেন বলে ধারনা করা হচ্ছে।
আরএইচএম/এমআর
