পটুয়াখালীর শুটকী বেড়েছে রপ্তানি চাহিদা

প্রথম পাতা » কুয়াকাটা » পটুয়াখালীর শুটকী বেড়েছে রপ্তানি চাহিদা
সোমবার ● ৬ মার্চ ২০২৩


পটুয়াখালীর শুটকী বেড়েছে রপ্তানি চাহিদা

কুয়াকাটা(পটুয়াখালী) সাগরকন্যা অফিস॥

প্রতি বছরই বাড়ছে রপ্তানি চাহিদা। বাড়ছে বিনোয়গ। তৈরি হচ্ছে নতুন কর্মসংস্থানের। স্থানীয় ক্রেতা পর্যায়েও তৈরি হয়েছে বারো মাসের চাহিদা। শুটকী শিল্পকে নির্ভর করে গড়ে উঠেছে বেশ কয়েকটি ফিড কারখানা। কিন্তু স্থায়ীপল্লী না থাকায় এখনো মৌসুম নির্ভর হয়ে আছে পটুয়াখালীর সম্ভাবনাময় শুটকি শিল্প। এ খাতের প্রবৃদ্ধির জন্য স্থায়ীপল্লীসহ ব্যাংক ঋন প্রাপ্তির দাবী ব্যবসায়ীদের।
বঙ্গোপসাগরের বিশাল মৎস্য সম্পদকে নির্ভর করে পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সৈকতসহ খাপরাভাঙ্গা, আন্ধারমানিক, রাবনাবাদ, বুড়া গৌড়াঙ্গ, অঅন্ধারমানিক নদী তীরে গড়ে ওঠেছে অন্তত: ২ শতাধিক অস্থায়ী শুটকিপল্লী। বিভিন্ন বয়সী নারী, পুরুষ ও শিশুর নিরন্তর শ্রমে প্রতিদিন সকাল থেকে এসব পল্লীতে শুরু হয় শুটকি প্রক্রিয়াজাতকরন। রূপচাঁদা, লইট্যা, পোয়া, সোনাপাতা, ফাইস্যা, মধু ফাইস্যা, শাপলা পাতা, চাপিলা, চিংড়ি, ছুড়ি, ভোল ও কোড়ালসহ প্রায় ৫০ প্রজাতির কাঁচা মাছ সংগ্রহ করে বাঁশের মাচাঁয় রোদে শুকিয়ে শুটকি তৈরী হচ্ছে এসব পল্লীতে। কীটনাশকের ব্যবহার ছাড়াই প্রক্রিয়াজাত করায় পটুয়াখালীর শুটকরী রয়েছে আলাদা সুনাম।
মৎস্য অফিস জানায়, ২০২২সালে প্রায় ৯ হাজার মেট্রিক টন শুটকী স্থানীয় বাজারসহ বিদেশে রপ্তানী হয়েছে। চলতি বছর ১৫ হাজার মেট্রিক টন শুটকী বাজারজাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
শুটকী শিল্পকে নির্ভর করে এ অঞ্চলে তৈরি হয়েছে অর্ধলক্ষাধিক নারী ও পুরুষ শ্রমিকের কর্মসংস্থানের। মৌসুম শেষ হয়ে গেলে বেকার হয়ে এসব শ্রমিকরা। পেশার নির্ভরতার জন্য স্থায়ীপল্লীর দাবী তাদের। শ্রমিক নাজমা বেগম (৪৫) জানান, স্বামীর মৃত্যুর পর চার সন্তান নিয়ে বেশ কস্টে কাটছিল দিন। এখানে কাজ করে যা আয় হচ্ছে তাতে এখন কিছুটা হলেও ভাল হচ্ছেন। হতাশা নিয়ে বলেন, যখন শুটকীর সিজন শেষ হয়ে যায়, তখন অনিশ্চয়তায় বুকটা ভড়ে যায়। অপর শ্রমিক মাজেদা বেগম (৩২) জানান, দিনমজুর স্বামীর একার শ্রমে সংসার টানপোড়নে চলছিল। শুটকী পল্লীতে কাজ করে দৈনিক সাড়ে তিন’শ থেকে ৪শ’ টাকা আয় হচ্ছে।
কলাপাড়া উপজেলা মৎস্য কর্মকতা অপু সাহা জানান, আধুনিক একটি স্থায়ী শুটকী পল্লী নির্মানে উদ্যোগ গ্রহন করা হয়েছে।

জেআর/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ২৩:০৩:১৬ ● ১১৪ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ