তজুমদ্দিন (ভোলা) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
ভোলার তজুমদ্দিনে বিভিন্ন সময়ে আট জন বিকাশ ব্যবসায়ীর ষোল লক্ষাধিক টাকা নিয়ে উধাও হয়েছে প্রতারক আবদুল্লাহ আল ইমাম। তজুমদ্দিন থানায় এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন মোঃ বাছেদ নামে এক ভূক্তভোগী। প্রতারক আবদুল্লাহ আল ইমাম শম্ভুপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের ইয়াছিন রত্তনের ছেলে।
অভিযোগ থেকে জানা যায়, উপজেলার শম্ভুপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ খাসেরহাট বাজারের মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবসায়ীগণ মোবাইল ব্যাংকিং এর এজেন্ট ইমামের মাধ্যমে নিয়মিত মোবাইল ব্যাংকিং এর লেনদেন করে আসছে। ১২ ও ১৪ ফেব্রুয়ারি ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীগণ ইমামকে প্রায় ষোল লক্ষাধিক নগদ টাকা প্রদান করে মোবাইলে দেয়ার জন্য। ইমাম মোবাইলে টাকা পাঠাচ্ছি এবং যাচ্ছে বলে তাদেরকে বিভিন্ন অযুহাত দেখায়। ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ইমাম তার দোকানে না এসে গা ঢাকা দেয়। পরে ব্যবসায়ীরা অনেক খোঁজাখুজি করে তাকে না পেয়ে তজুমদ্দিন থানায় লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন।
ভূক্তভোগী ব্যবসায়ীরা জানান, ইমাম দক্ষিণ খাসেরহাট বাজারে তার চাচা লতিফ খলিফার টেইলারিং এর দোকানের এক অংশে গত ২বছর যাবত মোবাইল ব্যাংকিং ও বিকাশ এর এজেন্সি নিয়ে টেলিকম ব্যবসা করত। লতিফ খলিফার সুনামের উপর ব্যবসায়ীরা ইমাম এর চাহিদা অনুযায়ী নগদ অর্থ লেনদেন করতেন যা পরবর্তীতে একাউন্টে রিচার্জ করতো ইমাম। গত ১২ থেকে ১৪ ফেব্রুয়ারি একইভাবে একাউন্টে টাকা রিচার্জ এর কথা বললে সরল বিশ্বাসে টেলিকম ব্যাবসায়ীরা তাকে টাকা দিয়ে দেন। অতঃপর একাউন্টে টাকা রিচার্জ না পেয়ে ইমাম এর মুঠোফোন বন্ধ পেয়ে অনেক খোঁজাখুঁজির পর বুঝতে পারেন অজ্ঞাত স্থানে পালিয়েছে ইমাম। আটজনের মধ্যে খাসেরহাট বাজারে আরজু টেলিকম এর স্বত্বাধিকারী মো. আরজু’র কাছ থেকে ৩ লক্ষ ৪৪ হাজার, জননী টেলিকম এর স্বত্বাধিকারী মো. বাচ্চুর থেকে ৫০ হাজার, কাজী মেডিকেল এন্ড টেলিকম এর মো. শান্ত’র কাছ থেকে ১লক্ষ ১৫ হাজার, জিহাদ মেডিকেল এন্ড টেলিকম থেকে ৪ লক্ষ ৯৩ হাজার, খাসের হাট গ্লাস হাউজ এন্ড টেলিকম এর মো. সবুজ এর ১ লক্ষ৫০ হাজার, বিসমিল্লাহ লন্ড্রী এন্ড টেলিকম এর মো. কাবুল এর কাছ থেকে ৭৫ হাজার, সুমন কসমেটিক এন্ড টেলিকম এর স্বত্বাধিকারী মো. সুমন এর কাছ থেকে ২৫ হাজার, আল মদিনা গার্মেন্টস এণ্ড টেলিকম এর স্বত্বাধিকারী মো. মিজানুর রহমানের কাছ থেকে ২৮ হাজার, নাজিম টেলিকম এর স্বত্বাধিকারী মো. নাজিম এর কাছ থেকে ২৫ হাজার টাকা আতœসাৎ করে পালিয়ে যায়।
ব্যবসায়ীরা আরো জানান, আমরা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। ইমাম আমাদের সাথে প্রতারণা করে আমাদেরকে নিঃস্ব করেছে। আমরা এখন প্রায় পথে বসে গেছি। আমরা প্রসাশনের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি দ্রুত তাকে গ্রেফতার করে আমাদের টাকা ফেরত দেয়া হোক। অথবা তার পরিবার পরিজন আমাদের টাকা ফেরত দিক।
তজুমদ্দিন থানার অফিসার ইনচার্জ মাকসুদুর রহমান মুরাদ জানান, এ ঘটনার একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরএস/এমআর