চরফ্যাশনে সার্ভার বন্ধে একে অপরকে দুষছেন চেয়ারম্যান ও সচিব

প্রথম পাতা » ব্রেকিং নিউজ » চরফ্যাশনে সার্ভার বন্ধে একে অপরকে দুষছেন চেয়ারম্যান ও সচিব
বুধবার ● ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩


চরফ্যাশনে সার্ভার বন্ধে একে অপরকে দুষছেন চেয়ারম্যান ও সচিব

চরফ্যাশন (ভোলা) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

চরফ্যাশন উপজেলার চরমানিকা ইউনিয়ন পরিষদে জন্ম নিবন্ধন ফি বাবদ জনগনের নিকট থেকে আদায়কৃত ছয় লাখ টাকা জমা না দিয়ে আত্মসাত করায় জন্ম নিবন্ধন আইডি বন্ধ করে দিয়েছে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ। ফলে ওই ইউনিয়নের জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন সেবা গত বিশ দিন যাবত বন্ধ রয়েছে। এই ব্যপারে সাবেক সচিব মো. ছিদ্দিকুর রহমান চেয়ারম্যান ও উদ্যোক্তকে দুষে সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, চরমানিকা ইউনিয়নের জন্ম ও মৃত্যুনিবন্ধন ফি বাবদ প্রাপ্ত ছয় লাখ টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেয়নি চেয়ারম্যন ও উদ্যোক্তা । উক্ত টাকা আমার বিরুদ্ধে আত্মসাতের অভিযোগ করা হয়েছে। উদ্যাক্তা মনির হোসেন নিজেই জন্ম নিবন্ধনের কাজ করেন স্ত্রীর আইডি ব্যবহার করে। টাকাও তিনি উত্তোলন করেছেন। আমার স্বাক্ষর ছাড়া জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন বিতরণ করেছে। তা সুবিধা ভোগীদের জন্ম সনদ দেখলেই প্রমাণ মিলবে।
আমি ২২সালের আগষ্ট মাসে পাশ^বর্তী লালমোহন বদরপুর ইউনিয়নে যোগদান করি। তিন বছর চরমানিকা ইউপি চেয়ারম্যান শফিউল্যাহ হাওলাদার আমাকে বাদ দিয়ে গ্রাম আদালতের সাচিবিক দায়িত্ব তৃতীয় ব্যক্তি দিয়ে পরিচালনা করেন। ইউনিয়নে বরাদ্দকৃত ভিজিডি, ভিজিএফসহ অন্যান্য ত্রানের তালিকা প্রস্তুত করণ, উপজেলা খাদ্য গুদাম থেকে মালামাল উত্তোলন ও বিতরণ কার্যক্রম আমাকে বাদ দিয়ে নিজেই করছেন। এমনকি ইউনিয়ন পরিষদে মালামাল রক্ষিত গুদামের চাবিও নিজের কাছে রাখেন। আমাকে বাদ দিয়ে পরিষদের তথ্য উদ্যোক্তা মনিরের স্ত্রী ফাতেমা আক্তার রুমির নামে পাসওয়ার্ড আইডি খুলে জন্ম মৃত্যু নিবন্ধন কাজ করতেন। জন্ম সনদে সচিব হিসাবে আমার স্বাক্ষরের অপশন থাকলেও চেয়ারম্যানের একক স্বাক্ষরে গোপনে জন্ম নিবন্ধন সনদ দেয়ার কারণে বিগত তিন বছর জন সাধারণকে দেয়া জন্ম সনদে সচিবের স্বাক্ষরের অপশন স্বাক্ষও বিহীন রয়েছে দাবী করেছেন।
২০২১ সনের ৩০জুন ওই আইডি দিয়ে চেয়ারম্যান শফিউল্যাহ হাওলাদার তথ্য সেবা কেন্দ্রের উদ্যোক্তা মনিরের মাধ্যমে মোসা, জাকিয়া সুলতানা উর্মি এবং মোহাম্মদ রিফাতুল করিম নামের দুই জন রোহিঙ্গা নাগরিককে জন্ম নিবন্ধন সনদ দেন। এঘটনায় ২০২২সনের ২৩মে ৩৫০নং স্মারকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার চেয়ারম্যান এবং সচিবকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিলে সচিব তার নামে জন্ম নিবন্ধন পাসওয়ার্ড আইডি না থাকার বিষয়টি অবগত হন। পরবর্তীতে সচিবের ভোটার আইডি কার্ড সংগ্রহ করে তার অজান্তে তার নামে জন্ম নিবন্ধন সনদ তৈরি করে জন্ম নিবন্ধন পাসওয়ার্ড আইডি খুলে চেয়ারম্যান তার একক স্বাক্ষরে জনসাধারণকে জন্ম নিবন্ধন দিয়েছেন।
সচিব সিদ্দিকুর রহমান চরমানিকা ইউপি থেকে পার্শ্ববর্তী লালমহন উপজেলায় বদলী হয়ে যাওয়ার চারমাস পর চলতি বছরের ১১ ফেব্রুয়ারী চরমানিকা ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোক্তা মনির ওটিপির জন্য তার কাছে গেলে তিনি তার অজান্তে করা পাসওয়ার্ড আইডির ওটিপি দিতে অস্বিকৃতি জানান। সচিব ওটিপি না দেয়ায় ১৪ ফেব্রুয়ারী চেয়ারম্যান তার বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট জন্ম নিবন্ধন সনদের ৬লক্ষ টাকা এবং তথ্য উদ্যোক্তা মনিরের নিকট থেকে ২লাখ ২৩হাজার টাকা ও অডিট ফি বাবদ ১লাখ ৪০হাজার টাকা নিয়ে আত্মসাতের অভিযোগ করেছেন।
চেয়ারম্যান শফিউল্যাহ হাওলাদার তার বিরুদ্ধে সাবেক সচিব সিদ্দিকুর রহমানের আনিত অভিযোগ অস্বীকার করেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আল নোমান জানান, চেয়ারম্যান শফিউল্যাহ হাওলাদার এবং সাবেক সচিব সিদ্দিকুর রহমানের অভিযোগসমুহ যাছাই করে দেখা হবে।

এএইচ/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ১৯:২৫:০৩ ● ১৪৭ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ