গোপালগঞ্জ সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
গোপালগঞ্জে পৌরসভার বড়বাজারের প্রতিনিয়ত রহস্যজনক চুরির ঘটনা ঘটে চলছে। গত সাত দিনে তিনটি মুদি দোকানে দুর্ধর্ষ চুরি সংঘটিত হয়েছে। এতে অন্তত দুই লক্ষাধিক টাকার মালামাল নিয়ে যায় চোররা।
এছাড়া চাউলের দোকান ও পাইকারি ব্যবসায়িদের গুদমেও এসব চুরির ঘটনা ঘটছে। বাজারে নৈশ প্রহরী থাকা সত্বেয় দোকান পাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চুরির ঘটনায় ব্যবসায়িদের মধ্যে আতংক বিরাজ করছে।
বড় বাজারের মুদিমালের পাইকারি ব্যবসায়ি ও মাহিম ভ্যারাইটিস স্টোরের সত্বাধিকারী মোঃ রিপন হোসেন বলেন, গত শনিবার রাতে আমার দোকানসহ তিনটি দোকানে দুর্ধর্ষ চুরি সংঘািটত হয়। চুরির খবর পাওয়ার পর পুলিশকে ঘটনাস্থলে এসে আমার দোকানের সিসি টিভি ক্যামেরার ভিডিও পরীক্ষা করেন এবং এর সত্যতা পান। তবে কাউকে শনাক্ত করতে পারেননি। এরপর আমি বিষয়টি বাজার কমিটিকে জানাই এবং থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করি। নৈশ প্রহরী থাকার পরও প্রতিনিয়ত এসব চুরির ঘটনা রহস্যজনক। তাকে (নৈশ প্রহরী) জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে চুরির রহস্য উম্মোচিত হবে বলে আমার বিশ্বাস। কিন্তু বাজার কমিটির সদিচ্ছার অভাবে নৈশ প্রহরীকে জিজ্ঞসাবাদের আওতায় আনা সম্ভব হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
বড় বাজারের বাবুল স্টোরের সত্ত্বধিকারি মুদি ব্যবসায়ি দিপু মুন্সি ও ফকির স্টোরের সত্বাধিকারি সংগ্রাম ফকির বাজার কমিটির বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, আমাদের দোকান চুরির ঘটনায় নৈশ প্রহরীর আচরণ সন্দেহজনক মনে হওয়ায় কমিটিকে জানাই। কিন্তু কমিটির নেতৃবৃন্দ এতে কোন গুরুত্ব দেননি। বরং বাজার কমিটির অসহযোগিতার কারনে পুলিশ চুরির রহস্য উদঘাটনে সঠিক ভুমিকা রাখতে পারছে না।
এছাড়া বড় বাজারের হীরা ট্রেডার্সের সত্ত্বাধিকারি শিবু মন্ডল, মা লক্ষী চাউল ভান্ডারের মৃণাল সাহা, তরিকুল ভান্ডারের বাবুল মিয়া , ওমর আলী স্টোরের ওমর আলী, গাজী ট্রেডার্সে হিজবুল গাজী, তনু স্টোরের সত্ত্বাধিকারী তনু অভিযোগ করে বলেন, এরআগে আমাদের দোকানেও চুরির ঘটনা ঘটে। বাজার কমিটি তখনও কোন গুরুত্ব দেননি। কমিটির নেতৃবৃন্দের চুপ করে থাকাটাকেও সন্দেহের চোঁখে দেখছেন ব্যবসায়িরা।
বড় বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক এবাদত শেখ বলেন, আমি সভাপতিকে চুরি বন্ধ করার জন্য উদ্যোগ নিতে বলেছি। কারন চুরি বেড়ে যাওয়ার কারনে আমরা প্রত্যেকে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছি। তিনি চোরকে চুরি করতে, আর বাড়ি ওয়ালাকে সজাগ থাকতে বলেন। আমি এখানে কি করতে পারি!
সভাপতি দাউদ আলী শেখ বলেন, আমি বিষযটি আপোস’রফা করার চেষ্টা করছি। ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়িরা যাতে ক্ষতিপূরণ পান সে ব্যবস্থাও আমি গ্রহন করছি। নৈশ প্রহরীর ব্যপারে অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গোপালগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) শীতল চন্দ্র পাল বলেন, ইতোমধ্যে আমরা সিসি ক্যামেরা ফুটেজ সংগ্রহ করেছি। তদন্ত চলছে। বাজারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা বিধানে মালিকদের আরও তৎপর হওয়া প্রয়োজন।
এইচবিএমআর