গলাচিপা (পটুয়াখালী) সাগরকন্যা প্রতিনিধি:
পটুয়াখালীর গলাচিপায় হয়রানি মামলা থেকে বাঁচার আকুতি জানিয়েছে মো. বাইজিদ সিকদার (৩৬)। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার রতনদী তালতলী ইউনিয়নের কাজীকান্দা গ্রামের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বড় কাজী বাড়িতে। সম্পত্তিকে কেন্দ্র করে একাধিক হয়নারি মামলা দায়ের করা হয়েছে মো. আবুল কালাম সিকদারের ছেলে বাইজিদ সিকদারের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) বাইজিদ সিকদারের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, “দীর্ঘ ১ বছর ধরে হয়রানি মামলা দিয়ে আমাকে এলাকা ছাড়া করার পরিকল্পনা করছে আমারই নিকট আত্মীয়রা। এখন আমি নিরুপায় হয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছি। একের পর এক হয়রানি মামলা দিয়ে আমাকে নিঃস্ব করে দিচ্ছে আমার প্রতিপক্ষ মোসা. জেসমিন বেগম (৪০), পারভেজ তালুকদার (৪২), পারুল বেগম (৪৫) সহ আরো অনেকে। আমি মারা গেলে আমার সম্পত্তি দখল করে হয়ত তাদের পেট ভরবে। আমি কী এর কোন বিচার পাব না? দেশে কী কোন আইন নাই?”-এই কথা বলে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন সাংবাদিক বাইজিদ সিকদার। তিনি আরো বলেন, প্রতিপক্ষের নিকট আমাদের অনেক জায়গা রয়েছে। আমাদের কবলা রাখা ও পৈত্রিক এসব সম্পত্তি না দেয়ার জন্যই আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন মামলা সাজিয়েছে। আমি সর্বসান্ত হয়ে পথে বসে গেছি। আমি এ থেকে বাঁচতে চাই। এ বিষয়ে মামলার প্রতিপক্ষ জেসমিন বেগম ও পারভেজ তালুকদার বলেন, আমাদের জমি যারা ভোগ দখল করতে চায় আমরা তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছি। এ বিষয়ে বাইজিদ সিকদারের মা আফিয়া বেগম (৬০) জানান, আমি ছয় সন্তানের জননী। আমার শ^শুর স্বামীর পৈত্রিক সম্পত্তি জোর পূর্বক ভোগ দখল করে খাচ্ছে প্রতিপক্ষরা। আমরা বাঁধা দিলে তারা আমার ছেলের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা করে। একমাত্র আমার ছেলের উপার্জনেই চলে আমাদের সংসার। আমার ছেলে যে টাকা উপার্জন করেন তা দিয়ে কোন মতে চলে আমাদের সংসার। আমার ছেলেকে প্রতিপক্ষরা আরও মামলা দেয়ার হুমকি দিচ্ছে। এতে আমার ছেলে এলাকায় কোন কাজ করতে পারছে না। এভাবেই আমরা হয়রানির শিকার। এখন আমার সংসার কীভাবে চলবে ভেবে পাচ্ছি না। এ বিষয়ে ইউপি সদস্য মাসুম বিল্লাহ জানান, বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। এর একটা মীমাংসা হলে ভাল হয়। এ বিষয়ে সংরক্ষিত মহিলা আসনের ইউপি সদস্য রুমা আক্তার বলেন, বাইজিদ সিকদার এলাকার একজন সরল মানুষ। অভাবের সংসারে মামলা খেয়ে সে এখন দিশেহারা। মামলা থেকে তার অব্যহতি পাওয়া উচিৎ। এ বিষয়ে রতনদী তালতলী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি গোলাম মস্তফা খান বলেন, আসলেই বাইজিদ সিকদারের পরিবারটি অসহায় এবং গরিব। বিষয়টি মীমাংসা হলে বাইজিদ সিকদারের পরিবারটি বাঁচতে পারত। উল্লেখ্য জেসমিন বেগম, পারভেজ তালুকদার, পারুল বেগম গং বাইজিদ সিকদারসহ আরো অনেককে বিবাদী করে এনামে বেনামে মামলা করেন। গলাচিপা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি সি.আর নং- ৪৪৫/২২ নম্বর মামলাসহ আরো অনেক মামলা দায়ের করে।
এসডি/এমআর