গলাচিপা (পটুয়াখালী) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
পটুয়াখালীর গলাচিপায় কাঠের সেতু পেয়েই খুশিতে আত্মহারা গ্রামের মানুষ। উপজেলার চিকনিকান্দী ইউনিয়নের উত্তর কালারাজা গ্রামের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে এই কাঠের সেতু নির্মাণ করা হয়।
সোমবার (১২ ডিসেম্বর) বিকাল ৩ টায় উপজেলা আওয়ামী লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ও চিকনিকান্দী ইউনিয়ন পরিষদের বারবার নির্বাচিত সুযোগ্য সফল চেয়ারম্যান সাজ্জাদ হোসেন রিয়াদ। আগে নড়বড়ে বাঁশের সাঁকো আবার কখনো খেয়া নৌকায় পারাপার হতো গ্রামের মানুষ। তবে এখন আর তাদের কষ্ট করে পারাপার হতে হবে না। কাঠের পাটাতন দিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে একটি সেতু। এতেই খুশি এলাকাবাসী।
উপজেলার রামনাবাদ নদীর একটি শাখা এ ইউনিয়নের ভেতর দিয়ে বয়ে গেছে একটি খাল। খালটি এলাকাবাসীর কাছে কমলাকান্ত খাল হিসেবে পরিচিত। জানা গেছে, দীর্ঘ দিন গ্রামের মানুষ যাতায়াতে বাঁশের সাঁকো কিংবা খেয়া নৌকা ব্যবহার করত। গ্রামের লোকজন খাল দিয়ে খেয়া পার হয়ে উপজেলা শহরসহ হাট-বাজার, স্কুল-কলেজে যাতায়াত করত। অনেক পুরাতন হওয়ায় সেটিও এক সময় ভেঙে যায়। এতে এলাকাবাসীর দুর্ভোগ বেড়ে যায়। অবশেষে কাঠের সেতু নির্মাণ হওয়ায় এলাকাবাসী খুশি। এখন তারা এলাকায় একটি পাকা সেতু নির্মাণের দাবি করছেন।
সরেজমিনে সেতু এলাকায় দেখা যায়, সংযোগ সড়কে খালের ওপর ১২ ফুট প্রস্থ এবং ১৬০ ফুট দৈর্ঘ্যরে সেতুটি কাঠের তক্তার পাটাতন ও খুঁটি দিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে। সেতুটি ব্যবহার করে প্রতিদিন ১ হাজার মানুষ পারাপার হতে পারবে। ওই এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে খাল পার হয়ে গ্রামের লোকজন এখন সহজে উপজেলা শহরে যাতায়াত করে থাকেন। এ খাল পার হয়েই কালারাজা প্রাথমিক বিদ্যালয়, কালারাজা হাট হোসাইনিয়া সিনিয়র মাদ্রাসা, কলাগাছিয়া, খারিজ্জমা, কালারাজা বাজার, চিকনিকান্দী ইউনিয়ন ও ভূমি অফিসসহ উপজেলা সদরে আসতে হয়।
ইউপি সদস্য মো. অলিউল্লাহ ইসলাম বলেন, আমাদের দিনে বেশ কয়েকবার এ খাল পার হতে হয়। এ খাল পার হয়েই বাজার-ঘাট করতে হয়। কাঠের সেতু হওয়ায় আমরা অনেক খুশি। কালারাজা হাট হোসাইনিয়া সিনিয়র মাদ্রাসার দাখিল দশম শ্রেণির ছাত্র তরিকুল ইসলাম বলেন, সেতু হওয়ায় আমরা অনেক খুশি। আগে ২ কিলোমিটার বেশি ঘুরে আমাদের মাদ্রাসায় যেতে হতো। এখন সহজে খাল পার হয়ে মাদ্রাসায় যেতে পারব। ইউনিয়ন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল ইসলাম ফকির ও সাধারণ সম্পাদক হাবীব বিশ^াস বলেন, আগে কাঠের পুল না থাকায় গ্রামের মানুষের অনেক কষ্ট হত। এমনকি রোগীকে জরুরী ভিত্তিতে হাসপাতালে নিতে বিড়ম্বনা পেতে হত। এখন কাঠের পুলটি হওয়ায় আমরা অনেক সন্তুষ্ট।
চিকনিকান্দী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাজ্জাদ হোসেন রিয়াদ বলেন, এলাকাবাসীর দীর্ঘ দিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের নিজস্ব অর্থায়নে সেতুটি নির্মাণ করেছি। এতে আমাদের প্রায় ১ লাখ ৬০ হাজার টাকার মতো খরচ হয়। তবে এখানেই শেষ নয়, আমি চেষ্টা করব আগামীতে এখানে একটি পাকা সেতু নির্মাণ করে দেওয়ার।
এসডি/এমআর