দুমকি (পটুয়াখালী) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
পটুয়াখালীর দুমকিতে দু’টি স্লুুইজগেট আকেজোঁ আভ্যন্তরীণ পিরতলা খালের অব্যাহত দখল ভরাটে ৫কি.মিটার বিস্তৃত খালের স্বাভাবিক পনি প্রবাহ বন্ধ থাকায় শ্রীরামপুর ইউনিয়নের অন্তত: ৫শ’ হেক্টর কষি জমির ইরি-বোরা ও রবি ফসলের চাষাবাদ মারাত্মক হুমকির মুখে রয়েছে।
উপজলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নর জানের খালে গাবতলী স্লুইজগেট থেকে পিরতলা বাজার হয়ে পাতাবুনিয়া নদী এবং খুরমাতলা থেকে আংগারিয়া স্লুইজগেট হয়ে পায়রা নদীর সংযোগের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এ খালের জোয়ার-ভাটার স্বাভাবিক পানি প্রবাহ আটকে থাকায় শ্রীরামপুর ও আংগারিয়া ইউনিয়নের অন্তত: ৯শ’ হেক্টর জমিতে ফসলের চাষাবাদ মারাত্মক ভাবে ব্যবহত হচ্ছে। এতে দু’ইউনিয়নের অন্তত: তিন সহাস্ত্রাধিক কষিজীবি পরিবার প্রতিবছর আউশ, আমন, ইরি-বোরা ও রবি ফসলে মার খাচ্ছেন। খালের উভয় প্রান্তে পাউবো’র স্লুইজগেট দু’টি অকেজোঁ এবং বন্ধ থাকায় আভ্যন্তরীণ কষি জমিতে পানি ওঠা-নামা করতে পারছে না। অপর দিকে পানির প্রবাহ না থাকায় বিগত কয়েক বছরে বিভিন্ন স্থান ভরাট হতে হতে অস্তিত্বের সংকট দেখা দিয়েছে। এসুযোগে পিরতলা বাজার এলাকায় খালের বেশীর ভাগ প্রভাবশালীদের দখলে চলে যাওয়ায় এটিকে আর খাল বলার উপায় নেই। এমন অবৈধ দখল-দুষণে মৃতপ্রায় খালের দু’পারের শত শত হেক্টর ফসলী জমিতে শুষ্ক মৌসুমে সেচ সংকট আর বর্ষা মৌসুমে কত্রিম জলাবদ্ধতায় কষকরা তাদের ফসলে মার খেতে খেতে চাষাবাদের আগ্রহ হারাতে বসেছে। শ্রীরামপুর গ্রামের ৪নং ওয়ার্ডের বাসিদা আমির হোসেন গাজী (৬০) জানান, বষ্টির মৌসুমে আমনের ফলন নস্ট হয়েছে। একই অভিযাগ, ৩নং ওয়ার্ডের কৃষক মোসলেম খান (৫৫) রাজাখালী ৬নং ওয়ার্ডের কষক নুরু হাওলাদার (৫৮), জলিশা গ্রামের কৃষক আবদুল হাই (৪৫)সহ অনেক কৃষকের। তাদের দাবি আবদ্ধ খালটি খুলে দেয়া এবং জোয়ার-ভাটায় পানি-উঠানামা স্বাভাবিক হলে ফসলের চাষাবাদে কৃষকরা উপকৃত হবে। তাই অবিলম্বে পাউবো’র অকেজোঁ স্লুইজগেট দু’টি দ্রুত মেরামত এবং খালের অবৈধ দখলমুক্ত করে স্বাভাবিক পানি প্রবাহের জন্য খুলে দিতে হবে।
এ প্রসঙ্গ শ্রীরামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো: আমিনুল ইসলাম সালাম বলেন, অকেজোঁ স্লুইজগেট দু’টি দীর্ঘদিন যাবৎ বন্ধ থাকায় খাল ভরাটের পাশাপাশি বিভিন্ন স্থানে বেখল হয় মারাত্মক সংকট সৃষ্টি হয়েছ। খাল পানি চলাচল বন্ধ হওয়ায় এলাকায় কষকরা আউশ-আমন, ইরি-বোরো ও রবি শস্যের চাষাবাদ করতে পারছে না। ক্ষেতের পানি উঠা-নামা করতে না পারায় এবং কত্রিম জলাবদ্ধতায় ফসল হানি ঘটছে। আবার শুষ্ক মৌসুমে খালের পানি শুকিয়ে যাওয়ায় সেচ সংকটে ইরি বোরো ও রবি ফসলের আবাদ করতে পারছে না। তাই কৃষক বাঁচাতে অকেজোঁ স্লুইজগেট দু’টি সংস্কার ও খুলে দেয়া অত্যন্ত জরুরী। তিনি আরও বলেন পাউবো কর্তপক্ষের কাছে বহু বার আবেদন নিবেদন করলেও বরাদ্দ সংকটসহ নানা অযুহাতে সময় ক্ষেপন করছে।
এ বিষয় পটুয়াখালী পানি উনয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) মোশাররফ হোসেন বলেন, অকেজোঁ স্লুইজগেট সংস্কার প্রকল্প প্রস্তাব ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দের অনুমোদন প্রাপ্তি সাপেক্ষে দ্রুততার সাথে কাজ শুরু করা হব।
এমআর