ঝালকাঠি সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

জঙ্গি হামলায় ঝালকাঠির দুই বিচারক হত্যার ১৭ বছর আজ। জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবির) বোমা হামলায় ২০০৫ সালের ১৪ নভেম্বর মারা যান জেলা ও দায়রা জজ আদালতের এ দুই বিচারক শহীদ সোহেল আহমেদ ও জগন্নাথ পাড়ে।
দিনটিকে কেন্দ্র করে আজ সোমবার সকালে জেলা ও দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গন থেকে প্রথমে একটি শোক র‌্যালি বের হয়। র‌্যালি সহকারে শহরের পূর্ব চাঁদকাঠি এলাকার বিচারকদ্বয়ের স্মৃতিস্তম্ভে মিলিত হন জজশীপ, জেলা প্রশাসন ও আইনজীবীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ। সেখানে নিরবতা পালনসহ পুষ্পার্ঘ অর্পণ করা হয়। পরে আদালতের শহীদ সোহেল-জগন্নাথ মিলনায়তনে স্মরণসভা ও দোয়া মোনাজাত হয়।
থানা-পুলিশ জানায়, ২০০৫ সালের ১৪ নভেম্বর সকাল ৯টার দিকে সরকারি বাসা থেকে কর্মস্থলে যাওয়ার পথে জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) জঙ্গিরা বিচারকদের বহনকারী মাইক্রোবাসে হামলা চালায়। ঘটনাস্থলেই মারা যান সোহেল আহম্মেদ। পরে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মৃত্যু হয় জগন্নাথ পাঁড়ের। আহত অবস্থায় ধরা পড়ে হামলাকারী ইফতেখার হাসান আল মামুন।
এ ঘটনার পর জেএমবির শীর্ষ নেতারা আটক হয়। জঙ্গিদের ঝালকাঠিতে এনে জেলা জজ আদালতে এ মামলার বিচারকার্য চলে। অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ রেজা তারিক আহমেদ ২০০৬ সালের ২৯ মে সাতজনকে মৃত্যুদন্ড দেন।
উচ্চ আদালতে সেই রায় বহালের পর ২০০৭ সালের ২৯ মার্চ ৬ শীর্ষ জঙ্গির মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয়। তাঁরা হলেন জেএমবি প্রধান শায়খ আবদুর রহমান, সেকেন্ড ইন কমান্ড সিদ্দিকুল ইসলাম ওরফে বাংলাভাই, সামরিক শাখা প্রধান আতাউর রহমান ওরফে সানি, উত্তরাঞ্চলীয় সমন্বয়কারী আবদুল আউয়াল, দক্ষিণাঞ্চলীয় সমন্বয়কারী খালেদ সাইফুল্লাহ ও বোমা হামলাকারী ইফতেখার হাসান আল মামুন।

কেই/এমআর