চরফ্যাশনে অনুপস্থিত দাতার দলিল রেজিষ্ট্রির অভিযোগ

প্রথম পাতা » ব্রেকিং নিউজ » চরফ্যাশনে অনুপস্থিত দাতার দলিল রেজিষ্ট্রির অভিযোগ
বুধবার ● ২৬ অক্টোবর ২০২২


চরফ্যাশনে অনুপস্থিত দাতার দলিল রেজিষ্ট্রির অভিযোগ

চরফ্যাশন (ভোলা) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

দাতা কুয়েত প্রবাসে দলিল হয়ে যায় চরফ্যাশন সাব-রেজিষ্ট্রে অফিসে। দলিল লেখক মো. শরীফ পাটওয়ারীর মাধ্যমে এমন ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। জমি হল উপজেলার জিন্নাগড় মৌজায়।
সূত্রে জানাযায, ভোলা জেলার তজুমদ্দিন উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের খাশেরহাট গ্রামের কামাল মিয়া কুয়েত প্রবাসে বসবাস করেন। ৫ বছর পূর্বে একবার এসে চলে গেছে। স্থানীয় চরফ্যাশন সাব-রেজিষ্টার অফিস আওতায়ধীন দলিল লেখক পৌর ৮নং ওয়ার্ডের মো. ফারুকের ছেলে মো. শরীফ পাটওয়ারী সনদ নং ২২৬ এর মাধ্যমে জাল জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে রেজিষ্ট্রি হয়েছে। জমি রেজিষ্টারী বিধিমালায় রয়েছে গ্রহীতা না থাকলেও জমির দাতা থাকা বাধ্যতা মূলক। দাতা কি পরিমান জমি বিক্রি করেছেন এবং টাকা বুঝিয়ে পেয়েছেন কিনা এমন প্রশ্ন তোলেন সরাসরি সাব-রেজিষ্টার নিজেই। দাতা সঠিক তথ্য উপাত্য দেয়ার পর জমি দলিল হয়। কিন্ত উক্ত দাতা সৈয়দ কামাল উদ্দিন কুয়েত প্রবাসে থেকে কিভাবে বিধিবর্হিভূত ভাবে ১০ অক্টোবর/২০২২ তারিখে ২১লাখ ৮৩হাজার টাকা বহায় মূল্যের জমি রেজিষ্ট্রে হয়েছে। যার দলিল নং ৭২৮২। জিন্নগড় মৌজার জমির পরিমান ৩৬শতক।
দাতার ঠিকানা ভোলা জেলার তজুমদ্দিন উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের খাশেরহাট গ্রামে।
এই ব্যপারে প্রবাসী দাতার ছেলে মো. রাশেদ বলেন, আমার পিতা সৈয়দ কামাল উদ্দিন কুয়েত প্রবাসে থাকেন। ৫ বছর পূর্বে দেশে এসেছিলেন, কয়েকদিন অবস্থান করে চলে গেছেন। জমি দলিল হয়েছে তবে আমি গ্রহীতার নাম জানিনা।

এই ব্যপারে দলিল লেখক মো. শরীফ জানান, দলিলটা মোস্তাফা পাটওয়ারী লেখেছেন। আমি দলিলটা রেজিষ্ট্রারীর জন্যে উপস্থাপন করেছি। দাতা কামাল উদ্দিন আলোচিত হিসাবে তার নামটি মনে আছে গ্রহীতার নাম আমার মনে নেই।
চরফ্যাশন উপজেলা সাব-রেজিষ্ট্রার নুরআলম সিকদারের সাথে মুুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

এএইচ/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ২১:২১:১৫ ● ২২২ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ