তালতলীতে কাজ না করেই ব্রীজের টাকা লোপট!

প্রথম পাতা » বরগুনা » তালতলীতে কাজ না করেই ব্রীজের টাকা লোপট!
শনিবার ● ২২ অক্টোবর ২০২২


তালতলীতে কাজ না করেই ব্রীজের টাকা লোপট!

আমতলী (বরগুনা) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

কাজ না করেই ব্রীজের তিন লক্ষ নব্বই টাকার টাকা ঠিকাদার মিনহাজুল আবেদীন মিঠু লোপট করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ব্রীজ নির্মাণ না করায় ভোগান্তিতে পরেছে তালতলী উপজেলার কড়াইবাড়িয়া ইউনিয়নের উত্তর ঝাড়াখালী গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ। টাকা লোপটের ঘটনায় এলাকাবাসীর মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
জানাগেছে, ২০১৯-২০ অর্থ বছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) আওতায় এক প্যাকেজে একটি টয়লেটে, টিউবওয়েল ও একটি আয়রণ ব্রীজের জন্য ৬ লাখ ২৫ হাজার টাকা বরাদ্দ হয়। ওই প্যাকেজের মধ্যে উপজেলার কড়ইবাড়িয়া ইউনিয়নের উত্তর ঝাড়াখালী গ্রামের আমজেদ বয়াতী বাড়ির সামনে একটি আয়রণ ব্রীজ নির্মানের জন্য ৩লাখ ৯০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। ওই প্যাকেজ নির্মাণ কাজ পায় তালতলী উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মিনহাজুল আবেদীন মিঠু ও তার সহযোগী  সোহেল। নিয়মানুসারে ওই অর্থবছরের জুন মাসের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা। কিন্তু ঠিকাদার টয়লেট ও টিউবওয়েল নির্মাণ করলেও ব্রীজ নির্মাণ না করেই পুরো প্যাকাজের টাকা তালতলী উপজেলা প্রকৌশলীর দপ্তর থেকে তুলে নেন। গত তিন বছরে পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদার ব্রীজ নির্মাণ করেনি।
শনিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখাগেছে, কাগজপত্র অনুযায়ী গত তিন অর্থবছর আগে কড়ইবাড়িয়া ইউনিয়নের উত্তর ঝাড়াখালী গ্রামের আমজেদ বয়াতী বাড়ির সামনে একটি লোহার আয়রন ব্রীজ নির্মাণ করা হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে সেই ব্রীজের কোন অস্তিত্ব নেই। অথচ ওই ব্রীজের কাজ সমাপ্ত দেখিয়ে প্রকল্পোর পুরো টাকা তুলে নিয়েছেন উপজেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক ঠিকাদার মিনহাজুল আবেদীন মিঠু ।
ঝাড়াখালী গ্রামের লিটন হাওলাদার ও নান্নু হাওলাদার বলেন, তিন বছর আগে বয়াতী বাড়ির সামনে  লোহার আয়রন ব্রীজ নির্মাণের দরপত্র হয়েছে। ঠিকাদার এসে খাল মেপে গেছেন কিন্তু এখনো ব্রীজ নির্মাণ করেনি। এতে এলাকার মানুষের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
সাবেক ইউপি সদস্য জালাল গাজী বলেন, সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম আলতাফ হোসেন আকন এডিপির বরাদ্দে বয়াতি বাড়ীর সামনে একটি আয়রন ব্রীজের স্কীম দেন। কিন্তু তিন বছরেও ব্রীজটি নির্মাণ হয়নি।
উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ঠিকাদার মিনহাজুল আবেদিন মিঠু ব্রীজ নির্মাণ কাজ না করে টাকা উত্তোলনেরে কথা স্বীকার করে বলেন, এলজিইডি অফিসে পে-অর্ডার জমা দেয়া আছে। শুকনো মৌসুমে ব্রীজ নির্মাণ করা হবে।
সদ্য বিদায়ী উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী আহম্মদ আলী পে-অর্ডার রেখে পুরো বিল দেয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, ঠিকাদার উপজেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক মোঃ মিনহাজুল আবেদীন মিঠু শুকনো মৌসুমে ব্রীজ নির্মাণ করে দিবেন।
তালতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসএম সাদিক তানভীর বলেন, ব্রীজ নির্মাণ কাজ না করে টাকা লোপটের বিষয়ে খতিয়ে দেখে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এমএইচকে/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ২০:২৯:২৫ ● ১৮৮ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ