আমতলী (বরগুনা) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
জেলা পরিষদ নির্বাচনে রিটানিং অফিসার বরগুনা জেলা প্রশাসক মোঃ হাবিবুর রহমান একতরফাভাবে লটারীর মাধ্যমে ২ নং ওয়ার্ডের সদস্য পদে হাতি প্রতিকের প্রার্থী আহুরুজ্জামান আলমাছ খাঁনকে বিজয়ী ঘোষনা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার রাত সাড়ে সাতটার দিকে আমতলী সদর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে বরগুনা জেলা পরিষদ ২ নং ওয়ার্ডের সদস্য প্রার্থী মোঃ আবুল বাশার নয়ন মৃধা সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন। তিনি আরো অভিযোগ করেন, আহুরুজ্জামান আলমাছ খাঁনকে বিজয়ী ঘোষনা করতেই রিটার্নিং অফিসার একতরফা লটারী করেছেন। রিটানিং অফিসার ও জেলা প্রশাসকের অবৈধভাবে একতরফা লটারীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানিয়েছেন।
লিখিত বক্তব্যে সদস্য প্রার্থী আবুল বাশার নয়ন মৃধা বলেন, বরগুনা জেলা পরিষদ নির্বাচনে ২ নং ওয়ার্ডের সদস্য পদে আমি ও আমার প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থী আহুরুজ্জামান আলমাছ খান সমান সংখ্যক ভোট পাই। দুই প্রার্থী সমান সংখ্যক ভোট পাওয়ায় প্রিজাইডিং অফিসার মোঃ জিয়াউল হক মিলন বরগুনা জেলা প্রশাসক ও রিটানিং অফিসারের সিধান্ত মোতাবেক তার কার্যালয়ে জেলা পরিষদ নির্বাচন আইনের ২২ এর ৬ ধারায় উভয় প্রার্থী ও এজেন্টএর উপস্থিতিতে লটারীর মাধ্যমে প্রার্থী বিজয়ী ঘোষনার সিদ্ধান্ত নেন। ওইদিন বিকেল সাড়ে চারটায় বরগুনা জেলা প্রশাসক ও রিটানিং অফিসার মোঃ হাবিবুর রহমান আমাকে ও আমার নির্বাচনী প্রধান এজেন্ট মাকসুদা আক্তার জোসনাকে না ডেকেই একতরফা ভাবে লটারী দেন। ওই একতরফা লটারীতে রিটানিং অফিসার অনৈতিক সুবিধা নিয়ে আমার প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থী আহুরুজ্জামান আলমাছ খাঁনকে বিজয়ী ঘোষনা করেছেন। জেলা পরিষদ নির্বাচনী আইন অনুসারে সমান সংখ্যক ভোটের ক্ষেত্রে প্রার্থী ও এজেন্টদের উপস্থিতিতে লটারীর বিধান রয়েছে। কিন্তু রিটানিং অফিসার ওই বিধান লংঘন করে একতরফাভাবে লটারী করেছেন। আমি রিটানিং অফিসারের এমন একতরফা লটারীর ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছি। সোমবার রাতে আমতলী সদর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে টিউবওয়েল প্রতিকের প্রার্থী মোঃ আবুল বাশার নয়ন মৃধা সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন। সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, আমতলী সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ মোতাহার উদ্দিন মৃধা, সহকারী অধ্যাপক ইফতেখার আহম্মেদ তপর প্যাদা, কামরুজ্জমান হিরু, সাবেক উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মোঃ সাইফুল ইসলাম বাদল প্যাদা ও কবির মৃধা।
উল্লেখ্য বরগুনা জেলা পরিষদ নির্বাচনে ২ নং ওয়ার্ড সদস্য পদে চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন। তারা হলেন অ্যাড. আরিফ-উল হাসান আরিফ, মোঃ আবুল বাশার নয়ন মৃধা, নাশির উদ্দিন হাওলাদার ও মোঃ আহুরুজ্জামান আলমাস খাঁন। আমতলী উপজেলা পরিষদ মিলনায়তন কেন্দ্রে শান্তিপুর্ণভাবে ১০৪ জন ভোটারের মধ্যে ১০২ জন ভোটার তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়েছেন। এর মধ্যে আহুরুজ্জামান আলমাছ খান ৪৫, মোঃ আবুল বাশার নয়ন মৃধা ৪৫ এবং অ্যাড. আরিফ-উল - হাসান আরিফ ১২ ভোট পেয়েছেন কিন্তু নাশির উদ্দিন হাওলাদার কোন ভোট পায়নি।
টিউবওয়েল প্রতিক প্রার্থী মোঃ আবুল বাশার নয়ন মৃধার প্রধান এজেন্ট মোসাঃ মাকসুদা আক্তার জোসনা বলেন, রিটানিং অফিসার আমাকে ও আমার প্রার্থীকে না ডেকেই একতরফাভাবে লটারী করে আহুরুজ্জামান আলমাছ খানকে বিজয়ী ঘোষনা করেছেন।
বরগুনা জেলা পরিষদ নির্বাচন রিটানিং অফিসার বরগুনা জেলা প্রশাসক মোঃ হাবিবুর রহমান বলেন, জেলা পরিষদ আইন অনুসারে লটারীর মাধ্যমে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে।
এমএইচকে/এমআর