কাউখালীতে বাল্য বিয়ের দায়ে বর-কনের পিতা ও কাজীর অর্থদন্ড
প্রথম পাতা »
পিরোজপুর »
কাউখালীতে বাল্য বিয়ের দায়ে বর-কনের পিতা ও কাজীর অর্থদন্ড
কাউখালী(পিরোজপুর)সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
পিরোজপুরের কাউখালীতে পৃথক দুটি বাল্যবিয়ে পড়ানোর দায়ে এক নিকাহ রেজিস্টার(কাজী),বর ও কনের পিতাকে ৩২ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
শুক্রবার (৭ অক্টোবর) উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোছা.খালেদা খাতুন রেখা ওই আদালত পরিচালনা করেন।
জানাগেছে. উপজেলার চিরাপাড়া-পারসাতুরিয়া ইউনিয়নের পার সাতুরিয়া এলাকায় শুক্রবার শহিদুল ইসলামের মেয়ে (১৬) কে রাজশাহীর গোদাঘাড়ীর হানিফ আলীর ছেলে ইছারব এর সাথে বিয়ের আয়োজন চলছিল এ সংবাদ পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোছা,খালেদা খাতুন রেখা উপস্থিত হন, এসময় বিয়ের কাজ সম্পন্ন করে ফেলে নিকাহ রেজিস্টার হাবিবুর রহমান। উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ সময় কনের জম্ম নিবান্ধন দেখেন। কনের বয়স না হওয়ায় সত্যতা মেলে । এ সময় নিকাহ রেজিস্টার(কাজী) হাবিবুর রহমান ভ্রাম্যমান আদালতের কাছে অপরাধ স্বীকার করে নেন। পরে কাজী হাবিবুর রহমান কে দশ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং লাইসেন্স বাতিলের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে এবং মেয়ের বয়স ১৮ বছর না হওয়া পর্যন্ত ঘর-সংসার করবে না মর্মে মুচলেকা নিয়ে নেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য,অভিযুক্ত নিকাহ রেজিস্ট্রার হাবিবুর রহমানকে গত ২০২১সালের ২০ মে শিয়ালকাঠী গ্রামে একটি বাল্যবিয়ে পড়ানোর অভিযোগে ভ্রাম্যমান আদলত ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছিল।
অপর দিকে একই ইউনিয়নের সুবিদপুর গ্রামে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে স্কুল পড়ুয়া এক শিক্ষার্থীর বাল্য বিবাহ বন্ধ করা হয়েছে। শুক্রবার (৭অক্টোবর) দুপুরে অভিযান চালিয়ে ১৫ বছর বয়সী ওই কিশোরীর বিবাহ বন্ধ করেন ইউএনও।
ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা.খালেদা খাতুন রেখা বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পেরে আমরা ওই কিশোরীর বিয়ে বন্ধ করেছি। কিশোরীর পিতাকে দশ হাজার টাকা এবং সেীদি প্রবাসী বরের পিতাকে দশ হাজার জরিমানা করা হয়েছে।ওই কিশোরী প্রাপ্ত বয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দিবেন না এমন মুসলেকা দিয়েছেন ওই কিশোরীর পিতা। এবং জম্ম সনদ জালিয়াতির সাথে সম্পৃক্ততা থাকার জন্য দুজনকে দুই হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমান আদালত।
আরএইচআর/এমআর
বাংলাদেশ সময়: ২২:০৪:০৭ ●
৩২০ বার পঠিত
(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)