আমতলীতে পিতাকে কুপিয়ে জখম!
প্রথম পাতা »
বরগুনা »
আমতলীতে পিতাকে কুপিয়ে জখম!
বৃহস্পতিবার ● ৬ অক্টোবর ২০২২
আমতলী (বরগুনা) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
বখাটে ছেলে বিশ্বজিৎ হাওলাদার (২৭) বৃদ্ধ পিতা রনজিৎ হাওলাদারকে (৫৬) কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহত পিতাকে স্বজনরা উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে। এ ঘটনার সাথে জড়িত ছেলে বিশ্বজিৎ ও মাতা অনিমা রানীকে (৪৫) পুলিশ গ্রেফতার করেছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে পুলিশ তাদের আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করেছে। আদালতের বিচারক মোঃ আরিফুর রহমান তাদের জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। ঘটনা ঘটেছে আমতলী পৌর শহরের ওয়াবদা এলাকায় বৃহস্পতিবার সকালে।
জানাগেছে, পৌর শহরের ওয়াবদা এলাকায় শারদীয় দুর্গাপুজা অনুষ্ঠানে পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা পার্শ্ববর্তী রনজিৎ হাওলাদারের ছেলে বিশ্বজিৎএর ফ্যান নেয়। পুজা শেষে বৃহস্পতিবার সকালে ওই ফ্যান বাবাকে আনতে বলে ছেলে বিশ্বজিৎ। ফ্যান আনতে বিলম্ব হওয়ায় ছেলে বিশ্বজিৎ বাবাকে গালাগাল করে। বাবা রনজিৎ এর প্রতিবাদ করলে ক্ষিপ্ত হয়ে বখাটে ছেলে বাবাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। এতে তার ডান হাতের বাহুতে গুরুতর জখম হয়। তার ডাক চিৎকারে চাচা ধর্মরাজ হাওলাদার এগিয়ে গেলে তাকেও কুপিয়ে জখম করেছে। দ্রুত বাবা ও চাচাকে স্বজনরা উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে। এ ঘটনায় বাবা রনজিৎ হাওলাদর বাদী হয়ে ছেলে বিশ্বজিৎ হাওলাদার ও স্ত্রী অনিমা রানীকে আসামী করে আমতলী থানায় মামলা দায়ের করেছে। পুলিশ আসামী বিশ্বজিৎ ও অনিমা রানীকে গ্রেফতার করেছে। ওইদিন বিকেলে পুলিশ তাদের আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করেছে। আদালতের বিচারক মোঃ আরিফুর রহমান তাদের জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
বাবা রনজিৎ হাওলাদার বলেন, শারদীয় দুর্গাপুজা অনুষ্ঠানে আনসার ও পুলিশ সদস্যরা ফ্যান নিয়েছিল। ওই ফ্যান আনতে বিলম্ব হওয়ায় আমাকে কুপিয়ে জখম করেছে। তিনি আরো বলেন, আমাকে রক্ষায় আমার ভাই ধর্মরাজ এগিয়ে গেলে তাকেও কুপিয়েছে।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাঃ ফারহান ফারুকী বলেন, আহত রনজিৎ ও ধর্মরাজ হাওলাদারকে হাসপাতালে ভর্তি করে যথাযথ চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
আমতলী থানার ওসি একেএম মিজানুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামী বিশ্বজিৎ ও অনিমা রানীকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এমএইচকে/এমআর
বাংলাদেশ সময়: ০:১৩:৩৪ ●
১৫১ বার পঠিত
(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)