নাজিরপুরে মা বোন ও ভাইকে মারধরের অভিযোগ

প্রথম পাতা » পিরোজপুর » নাজিরপুরে মা বোন ও ভাইকে মারধরের অভিযোগ
বৃহস্পতিবার ● ৬ অক্টোবর ২০২২


নাজিরপুরে মা বোন ও ভাইকে মারধরের অভিযোগ

নাজিরপুর(পিরোজপুর)সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

পিরোজপুরের নাজিরপুরে মা বোন ও ভাইকে মারধরের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) বিকাল ৩টায় উপজেলা প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত ওই সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ভুক্তভোগী, মা লহ্মী রানী ভক্ত ও ছোট বোন স্বপ্না ভক্ত। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ছোট ভাই কলেজ শিক্ষক স্বরুপ ভক্ত। ভুক্তভোগী স্বরুপ ভক্ত উপজেলার শেখমাটিয়া ইউনিয়নের মৌখালী গ্রামের মৃত সুমন্ত কুমার ভক্তের ছেলে।
তিনি  অভিযোগ করে বলেন,  তার বড় ভাই  তাপস ভক্ত পিতার সম্পত্তি আত্মসাৎ করতে পিতার জাল স্বাক্ষর দিয়ে উইল করে নিতে চেষ্টা করেন। এ বিষয়টি আমি (স্বরুপ) আদালতে  জবাব দাখিল করলে বড় ভাই তাপস ভক্ত উইলের মামলাটি গোপনে তুলে নেন। বাড়ির ও বিভিন্ন জমি দখল করে তার নিজস্ব বাহিনী দিয়ে ঘের তৈরী করে মাছের চাষ করছে। এ নিয়ে মা ও ছোট বোন প্রতিবাদ করলে তাদেরও বিভিন্ন সময় মারধর করে। এর জের ধরে গত বুধবার (০৫ অক্টোবর) সকালে আমি এর প্রতিবাদ করলে ভাই ও তার ভাড়াটিয়া বাহিনী আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর করে। এ সময় মা আমাকে রক্ষা করতে গেলে তাকেও মারধর করা হয়। ওই সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত থাকা মা লহ্মী রানী ভক্ত ও ছোট বোন স্বপ্না ভক্ত তাদের মারধরের অভিযোগ করেন। এ ব্যাপারে জানতে থানার অফিসার ইন চার্জ (ওসি) মো. হুমায়ুন কবির জানান, ভাইদের মধ্যে মারধরের ঘটনার খবর শুনে সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছিলো। এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত তাপস ভক্তের সাথে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি জানান, তার মা ও বোন ছোট ভাইর পক্ষে অবস্থান নিয়ে আমাকে সামজিকভাবে হেয়  করতে এমন অভিযোগ দিচ্ছেন। স্বরুপ আমার ছোট ভাই, ওর সাথে জমি-জমা নিয়ে কোন বিরোধ নাই। আমার মাকে আমি কোন মারধর করিনি। গত মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে প্রায় ৩০ জন লোক নিয়ে আমার ঘেরে ঢুকে আমার কর্মচারীকে ভয়ভীতি দেয়। আমার কর্মচারী আমাকে ভয়ভীতির কথা মোবাইলে জানালে আমি পরদিন বুধবার সকালে লোকজন নিয়ে ছোট ভাইর কাছে বিষয়টা জানতে চাইলে সে লোকজনের সামনে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। তখন আমি তাকে দুই- গালে দুইটা চর দেই এর বেশি কিছু হয় নাই।

এএএইচ/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ২৩:৫৮:৫৯ ● ১৪৯ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ