আমতলী (বরগুনা) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
উপকুলীয় অঞ্চল আমতলী-তালতলী উপজেলায় চোখ ওঠা (ভাইরাল কনজংটিভাইটি) রোগ দ্রুত ছড়িয়ে পরেছে। ঘরে ঘরে এ রোগ ছড়িয়ে পরায় মানুষের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। এতে চোখের ঔষধের সংঙ্কট রয়েছে। ফার্মেসিতে ঘুরে ঔষধ পাওয়া যাচ্ছে না রোগীর স্বজনরা। দুই একটি ফার্মেসিতে পেলেও তা উচ্চ মুলে বিক্রি করছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।
জানাগেছে, গত এক সপ্তাহ ধরে উপকুলীয় অঞ্চল আমতলী-তালতলীতে মানুষের মাঝে চোখ ওঠা রোড় ছড়িয়ে পরেছে। এ রোগ ছড়িয়ে পরায় মানুষের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। রোগীরা স্থানীয়ভাবে ও হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে। অনেকে ভয়ে ঘর থেকে বের হচ্ছে না। মুঠোফোনে ডাক্তারের পরামর্শ মোতাবেক চিকিৎসা করছেন। গত এক সপ্তাহে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক’শত ৬০ জন রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। কিন্তু অনেক রোগী ভয়ে হাসপাতালে আসছেন না। স্থানীয় সুত্রে জানাগেছে, উপকুলের সর্বত্র এ রোগ ছড়িয়ে পরেছে। প্রতি ঘরে ঘরে চোখ ওঠা রোগ দেখা দিয়েছে। এদিকে চোখ ্ওঠা রোগ ছড়িয়ে পরায় ঔষধ ব্যবসায়ীরা কৃত্রিম সংঙ্কট তৈরি করে বেশী মুল্যে ঐষধ বিক্রি করছে। এক’শ ৪০ টাকার ওডিসিন ( মক্সিফেøাক্সাসিন) ড্রোপ এক’শ ৭০ থেকে এক’শ ৮০ টাকায় বিক্রি করছে।
সপ্তম শ্রেনীর ছাত্রী নাঈমা জান্নাত বলেন, তিন দিন ধরে চোখের ব্যথায় ভুগছি।কোন দিন ভালো হয় জানিনা। ভালোতো স্কুল বন্ধ নইলে কি যে হতো ? আরো বলেন, চোখ ফুলে লাল হয়ে উঠে পানি পড়ছে। তাকাতে পারছি না ও চোখে ময়লা জমছে।
ছোটবগী গ্রামের মোঃ নজরুল ইসলাম ডাকুয়া বলেন, বাড়ীর সকলেই চোখ ওঠা রোগে ভুগছে। হাসপাতালেতো ঔষধ নেই। ফার্মেসিতে ঔষুধ খুজে পাচ্ছি না। দু’একটি ফার্মেসিতে পেলেও তা দাম অনেক। তিনি আরো বলেন, রোগটি ঘরে ঘরে ছড়িয়ে পরেছে।
কাউনিয়া গ্রামের মোটর সাইকেল চালক নজরুল ইসলাম বলেন, চোখ ওঠা রোগীর অভাব নেই। প্রত্যেক ঘরেই চোখ ওঠা রোগী।
মোঃ সবুজ মিয়া বলেন, ফার্মেসি থেকে চোখের ঔষধ ওডিসিন ১৭০ ক্রয় করেছি। কিন্তু ঔষদের লেবেলে লেখা রয়েছে ১৪০ টাকা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ঔষধ ব্যবসায়ী বলেন, বেশ কয়েকদিন ধরে চোখের ঔষধের সরবরাহ নেই। ঔষধ কিনতে আসলেও রোগীর স্বজনদের দিতে পারছি না।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ সুমন খন্দকার বলেন, দ্রুত ছড়িয়ে পরেছে চোখ ওঠা রোগ। গত এক সপ্তাহে এক’শত ৬০ রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে। তিনি আরো বলেন, ্ এ রোগ থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে পরিস্কার পরিছন্ন, চোখে পানি না লাগানো, বারবার চোখে হাত না দেয়া, অসুখ হলে ঘর থেকে বের না হওয়া ও চিকিৎসকের পরামর্শ মোতাবেক চলাসহ সাতটি নিয়ম মেনে চলতে হবে। এ নিয়মগুলো মেনে চললেই চোখ ওঠা রোগ থেকে দ্রুত রক্ষা পাওয়া যাবে। তিনি আরো বলেন, এ রোগ সচারচার থাকলেও গত এক সপ্তাহে অন্তত ১৫-২০ গুন বৃদ্ধি পেয়েছে।
এমএইচকে/এমআর