ছাতক(সুনামগঞ্জ) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার জালিয়া ছাতারপই “পাগনা বড়বিল” জলমহালের ২০১৮ সালের ৫ ডিসেম্বর থেকে ২০২৩ সাল পযন্ত ইজারা নিয়ে সরকারি লাখ লাখ টাকার রাজস্ব ফাকি দিয়ে আত্মসাৎ করেছেন। চলতি বছরে নগদ ৬ লক্ষ৫০হাজার টাকা সহ অন্যান ভাবে মৎস্য পোনা, দল, বাঁশ, কাটা স্থাপন, নৌকা, জাল দড়ি, ও পাহারাদারের বেতন বহনের জন্য বিনোয়োগ করেন ২০লক্ষ টাকা। পরবর্তিতে সেই টাকা গুলো আত্মসাত করে অংশীদ্বারিত্ব থেকে বঞ্চিত করে জলমহাল অন্যত্র বিক্রয়ের পায়তারা করেন সমিতির দুজন ব্যাক্তি। উপ-ইজারাদার মোজাক্কির আহমদের পেশকৃত অভিযোগপত্র সূত্রে আরো জানা গেছে, পাগনা বড়বিল জলমহাল ইজারা গ্রহণের পূর্বেই ইজারা গ্রহিতা দরিদ্র মিরাশ আলী জলমহালে অর্থ বিনিয়োগের জন্য উপ-ইজারা হস্তান্তরের শর্তে মোজাক্কির আহমেদের শরণাপন্ন হয়েছেন। এ সময় এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে শর্তসাপেক্ষ মোজাক্কির আহমেদ সরল বিশ্বাসে জলমহালে অর্থ বিনিয়োগ করেছেন। কিন্তু সরকারি ভাবে ইজারা চুক্তির নীতিমালা লংঘন করে মিরাশ আলীর নেতৃত্বে অর্থ আতœসাতের চেষ্টা চলছে। বিনিয়োগকারী উপ-ইজারাদার মোজাক্কির আহমেদের সাথে কোন চুক্তিনামায় করেনি। এ বিষয়টি যাতে মোজাক্কির আহমেদের বিশ্বাসযোগ হয় এবং নখদর্পণে থাকে, সে উদ্দেশ্যে মিরাশ আলী জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে ইজারা চুক্তিপত্রে স্বাক্ষরসহ সমগ্র বিষয়ে মোজাক্কিরকে সঙ্গে রাখা হয় ।জলমহালের ইজারাদার মিরাশ আলী মোজ্জাকির আহমদ কে উপ-ইজারা দিয়ে প্রতি বছরে নগদ অর্থ সহ নানা ভাবে বিনোয়োগ করে আসছে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন। এব্যাপাার মোজ্জাকির আহমদ জানান, ২৬লক্ষ৫০হাজার টাকা বিনোয়োগ করেছেন এ বিলের মধ্যে। তারা সুকৌলে অংশীদারিত্ব থেকে বিতাড়িত করেছেন মিরাশ আলী ও লুৎফুর রহমান। জলমহাল অন্যত্র বিক্রয়ের করার পায়তারা করেছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি। সে দীর্ঘদিনের ফিশারির মাছ ক্রয় বিক্রয়ের রশিদ রয়েছে। এছাড়াও প্রায় চার বছর যাবৎ জলমহালে ছাতক উপজেলা মৎস কর্মকর্তার পরামর্শে সমণ্বয়ে ফিসারিতে পোনা মাছ অবমুক্ত করার ভিডিও ফুটেজ রয়েছে। তারপরও তারা সাথে এমন দূর ব্যবহার করেন। সুনামগঞ্জ ডিসি বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করার পর তিনি ছাতক ইউএনও কে তদন্ত পূর্বক দ্রুত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা প্রদান করেন।
এ ব্যাপারে মিরাশ আলী ও লুৎফুর রহমান তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার কবে বলেন, এ বিলটি সাব লীজ মোজ্জকিরকে দেয়ার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন তারা।
এএমএল/এমআর