চরফ্যাশনে জালিয়াতি করে জমি আত্মসাতের অভিযোগ

প্রথম পাতা » ভোলা » চরফ্যাশনে জালিয়াতি করে জমি আত্মসাতের অভিযোগ
সোমবার ● ১২ সেপ্টেম্বর ২০২২


---

চরফ্যাশন সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার আবদুল্লাহপুর ইউনিয়নে শিবারচর মৌজায় ভুয়া দলিল দিয়ে নামজারী সৃজন করে ২২ একর ৮৫ শতাংশ জমি হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে শাহাজাহান মুন্সিগংদের বিরুদ্ধে। এই ব্যপারে জমির ওয়ারিশ সূত্রে মালিক সিরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে চরফ্যাশন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সিআর ৪৩৬/২২ স্থানীয় সংসদ সদস্যের নিকট ও চরফ্যাশন সহকারী কমিশনার (ভূমি) নিকট ৬৯৯ মিসকেইস ২১-২২ দায়ের করেছে।
মামলা ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শিবারচর মৌজায় ৩৯৮ খতিয়ানে ২৬একর ১০ শতক জমি রয়েছে। তার মধ্যে দু’পরিবারের ওয়ারিশের হির্সা মোতাবেক ১৩একর ৫শতক করে পেয়েছেন। শাহাজানগংরা যে পরিমান জমি পাবে তার থেকে বেশি পরিমান জমি বিক্রি করেছেন।
শিবারচর মৌজায় এসএ ৩৯৮ খতিয়ানে ২৬ একর ১০ শতাংশ জমির মালিক ছিলেন সংখ্যালঘু সুধির রঞ্জন। মৃত্যুর আগে তার ভোগদখলীয় ওই জমি এস আলমের নিকট ২একর ৬১, ইউনুস পাটোয়ারী ২একর ৬১, আবদুর রহমান ২ একর ৬১, নজির আহমেদ মুনসি ১৬ একর ৫, আবুল হোসেন ২ একর ৬১ ও আবুল বাসার ২ একর ৬১ শতাংশ সমুদয় ওই জমি বিক্রি করে যান। বিক্রিত ওই জমি খরিদ সুত্রে মালিক হয়ে ভোগদখলে বিদ্যমান ছিলেন। দীর্ঘ সময় ভোগদখলে থাকার পর সুধির রঞ্জনের মুত্যুর পর তার চার সন্তান ওই বিক্রিত জমির মালিকানাদাবী করেন এবং খরিদা মালিকদেরকে উচ্ছেদের হুমকি দেন। জমি দখল নিয়ে বিপত্তি শুরু হলে এস আলমসহ ৬জন জমির খরিদা মালিক বাদী হয়ে ১৯৭০ সনে আদালতে দেওয়ানী মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ শুনানী শেষে বিজ্ঞ আদালত ওই মামলায় খরিদা মালিক এসআলমসহ ৬ জনের পক্ষের রায় প্রদান করেন। বিজ্ঞ আদালতের রায়ের অনুকুলে খরিদা মালিকরা নিজেদের নামে নামজারী করে নিজেদের মধ্যে আপষপন্টনের মাধ্যমে ভোগদখল ও চাষ আবাদ করে আছিলেন।
খরিদা মালিক নজির আহম্মেদর মৃত্যুর পর তার ওয়ারিশ সাহজাহান মুনসিসহ অপর চার সন্তানের নামে বাবার ওয়ারশি ১৩ একর ৫ শতাংশ জমিসহ খরিদা অপর মালিদের ১৩ একর ৫ শতাংশ জমি ভুয়া দলিলের মাধ্যেমে নামজারী মোকদ্দমা করে নিজেদের নামে খতিয়ান সৃজন করে হাতিয়ে নেন। এতেই ক্ষান্ত হননি তারা । ওয়ারিশদের ভোগদখলীয় ১৩ একর ৫ শতাংশ ইতিপূর্বে বেচা-বিক্র শুরু করেছেন। বিষয়টি নজরে আসার পর খারিদা মালিক আবুল বাসারের ওয়াররিশ তার ভ্রাতপুত্র সিরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে নামজারী খতিয়ান সংশোধন করার জন্য উপজেলা সহকারী কমিশনার বরবারে আবেদন করেন। ওই আবেদন বিচারাধীন রয়েছেন।
জমির ওয়ারিশ সূত্রে মালিক মো সিরাজুল ইসলাম বলেন, শাজাহান মুন্সি, আলমগীর মুন্সি ও নাজিম মুন্সি ২০১৯সালে ৩২০৯দলীল নং’এ ৩ একর, ১৯৮৪সালে ১৭০৫ দলিলনংয়ে ৭.৮৩ ও ১৯৯৮সালে ১৯১৭নং দলিলে ১.৯২জমি ভূয়া জাল দলীল দেখিয়ে নাম জারি করে বিক্রি করেছেন। ওই জমির নকল কপি উঠালে ওই শিবারচর মৌজার অস্তিস্ত খুঁজে পাওয়া যায় না। তা বিভিন্ন মৌজা ও অন্য দাতা গ্রহীতার নাম পাওয়াা যায়। তারা জাল জালিয়াতির দলিল দিয়ে ভুমি অফিসকে ভুল বুঝিয়ে নামজারী করেন। ফলে আমি উক্ত নামজারি বাতিল চেয়ে সহকারী কমিশনার ভূমির কাছে ৬৯৯নং মিস-কেইস করেছি। তহসীলদার রিপোর্টও আমার পক্ষে এসেছে। আমি আদালতের কাছে সঠিক বিচার দাবী করছি।

বাংলাদেশ সময়: ১৫:০৩:৩৪ ● ৪১৩ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ