কলাপাড়া (পটুয়াখালী) সাগরকন্যা অফিস॥
পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার লালুয়া ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধা বাজারে সরকারি রাস্তার উপরে অবৈধ গরুর হাট বসানোর অভিযোগ উঠেছে। ইজারা বিহীন হাটে চোরাই গরু বেচা-কেনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে স্থানীয় গরু ব্যবসায়ীরদের ধারনা। প্রশাসনের নাকের ডগায় বসে অবৈধ গরুর হাট নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে বিরুপ প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা গেছে। এ কারনে উপজেলার ইজারা দেয়া অন্যান্য হাটে বেচা-কেনার পরিমাণ কমে যাওয়ায় লোকসানের সঙ্কা করছেন ইজারাদাররা। রয়েছে সরকারী রাজস্বের ঘাটতির সম্ভাবনা। অবৈধ এ বাজারটি অতিসত্তর বন্ধ করা প্রয়োজন বলে মনে করছেন সচেতন মহল।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার লালুয়া ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধা বাজারে প্রতি সপ্তাহের শনিবার বসে এই হাটটি। স্থানীয়দের কাছে এ বাজারটি শনিবারের বাজার নামে পরিচিতি লাভ করেছে। ওই ইউনিয়নের বানাতী বাজারে একটি গরুর হাট ইজারা দেয়া হয়েছে। তাই শনিবারের হাটে সরকারীভাবে কোন গরুর হাট বসার অনুমতি দেয়া হয়নি। অথচ গত বৈশাখ মাস থেকে স্থানীয় কতিপয় অসাধু ব্যক্তিরা অবৈধ এ গরুর হাটটি বসিয়েছে বলে জানা যায়। অবৈধ হাট হওয়ায় প্রথমদিকে কোন ধরনের চালান-পত্র ছাড়াই গরু বেচা-কেনা করা হত। এতে কোনটি বৈধ বা কোনটি চোরাই গরু তা বোঝার কোন উপায় ছিল না। ফলে বিভিন্ন স্যোশাল মিডিয়ায় এ বাজারে চোরাই গরু বিক্রি হওয়ার গুঞ্জন ওঠে। পরে একেক সপ্তাহে একেক ইজারা দেয়া হাটের রিসিভ কপি দিয়ে গরু বেচা-কেনা করা হয় বলে স্থানীয় সূত্রে জানা যায়।এতে সরকারীভাবে ইজারা দেয়া বানাতী বাজার গরুর হাট,বালিয়াতলীর গাজীর হাট, মহিপুরের গরু হাট, বাবলাতলার হাট, ডালবুগঞ্জের হাট ও পইক্কা হাটসহ পাশ্ববর্তী গরুর হাটগুলোতে বেচা-কেনার পরিমাণ উল্লেখ্যযোগ্য হারে কমে গেছে বলে ইজারাদাররা জানান। ফলে লোকসানের সঙ্কায় রয়েছেন তারা।
উপজেলার লালুয়া ইউনিয়নের চান্দুপাড়া থেকে আগত গরু বিক্রেতা জমির মৃধা ও আলমাছ হাওলাদারসহ একাধীক বিক্রেতা জানান, এলাকার নিকটবর্তী হওয়ায় তারা এ বাজারে গরু বিক্রি করতে আসছেন। তবে ইজারা না থাকায় এ বাজারটি বৈধ নয় বলে তারা স্বীকার করেন।
বানাতী বাজারের ইজারাদার মো.দুদাল বলেন,শনিবারের গরুর হাটের কারনে আমাদের বেচা-কেনা কমে গিয়েছে। এখন প্রতি সপ্তাহের হাটে মাত্র ৪ থেকে ৫ টি গরু বেচা-কেনা হয়। ১৪ লক্ষ টাকায় বানাতী বাজারের ইজারা নিয়েছি এখন ৭ লক্ষ টাকা আসবে কিনা সেই সঙ্কায় রয়েছেন তিনি।
এবিষয়ে কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শংকর কুমার বৈদ বলেন, যদি অবৈধ হয়ে থাকে তা হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এসকেআর/এমআর