আমতলী (বরগুনা) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
আমতলী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন খাঁনকে কুপিয়ে হত্যা চেষ্টা মামলার ২নং আসামী ছাত্রলীগ নেতা কিশোর গ্যাং লিডার শাহাবুদ্দিন সিহাবকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) উপজেলার রাওঘা গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। সভাপতিকে কুপিয়ে হত্যা চেষ্টার ঘটনার একটি ভিডিও সোমবার রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পরে ঘটনার সাথে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করে শাস্তির দাবী জানিয়েছেন সাধারণ মানুষ।
জানাগেছে, বিগত ১৬ আগষ্ট রাতে আমতলী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন খাঁনকে আল হেলাল মোড়ে প্রকাশ্যে জনসম্মুখে উপজেলা ছাত্রলীগ সহ-সভাপতি সবুজ ম্যালাকার, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ ইসফাক আহম্মেদ তোহা, রাহাত মৃধা, ছাত্রলীগ সদস্য শাহাবুদ্দিন সিহাব ও সন্ত্রাসী রুহুল আমিন ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতারি কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। এ ঘটনার ১৬ দিন পরে বৃহস্পতিবার আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের হয়। ওই মামলার সবুজ ম্যালাকারকে প্রধান আসামী করে উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র মোঃ মতিয়ার রহমান ও তার বড় ভাই উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ মজিবুর রহমানসহ ৮ জনের নামে হত্যা চেষ্টা মামলা দায়ের করা হয়। মামলা দায়েরের পাঁচ দিন পর মঙ্গলবার ২ নং আসামী মোঃ শাহাবুদ্দিন সিহাবকে রাওঘা গ্রাম থেকে স্থানীয় জনতার সহযোগীতায় ডিবি পুলিশ গ্রেফতার করেছে। এদিকে মোয়াজ্জেম হোসেন খাঁনকে কুপিয়ে হত্যা চেষ্টার ঘটনার একটি ভিডিও সোমবার রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে দেখা গেছে মোয়াজ্জেম হোসেন খাঁনকে দুইজন সন্ত্রাসী কোপাচ্ছে। আর তিনি তাদের হাত থেকে নিজেকে রক্ষার চেষ্টা করছেন। ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পরে ঘটনার সাথে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করে শাস্তির দাবী জানিয়েছেন সাধারণ মানুষ।
মোয়াজ্জোম হোসেন খাঁনের ছোট ভাই মোঃ সেলিম খাঁন বলেন, আসামীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ গ্রেফতার করছে না। এ ঘটনার সাথে জড়িত আসামীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবী জানান তিনি।
বরগুনা ডিবির ওসি মোঃ শহীদুল ইসলাম খাঁন বলেন, আসামী শাহাবুদ্দিন সিহাবকে গ্রেফতার করে ডিবির হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আনা হয়েছে।
আমতলী থানার ওসি একেএম মিজানুর রহমান বলেন, মামলাটি বরগুনা ডিবি পুলিশের কার্যালয়ে হস্তান্তর করা হয়েছে। তাই আসামী শাহাবুদ্দিন সিহাবকে ডিবির পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছি।
এমএইচকে/এমআর