গৌরনদীতে সিলেট মাজারের সদৃশ গজার মাছ!

প্রথম পাতা » বরিশাল » গৌরনদীতে সিলেট মাজারের সদৃশ গজার মাছ!
বুধবার ● ২৪ আগস্ট ২০২২


গৌরনদীতে সিলেট মাজারের সদৃশ গজার মাছ!

গৌরনদী (বরিশাল) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

বরিশালের গৌরনদী উপজেলার বার্থী ইউনিয়নের ধানডোবা গ্রামের ওয়াছেল বেপারীর পুকুরে সিলেটের শাহজালাল (রহঃ) মাজারের সদৃশ্য বিশাল আকৃতির শত শত গজার মাছ রয়েছে। প্রতিদিন এই মাছ দেখতে দূরদূরান্ত থেকে নানা শ্রেনী পেশার অসংখ্য মানুষ ছুটে আসেন । গজার মাছের জন্য এলাকায় ওই স্থানটি এখন পর্যটক স্পট হিসেবে পরিচিত।
খবর নিয়ে জানাগেছে, বিশেষ বিশেষ দিনে ওই বাড়ির পুকুর পাড়ে গজার মাছ দেখতে উপস্থিত হন শত শত দর্শনার্থী। অসংখ্য পরিবারের সদস্যরা ছুটে আসেন, মানত করেন রোগ মুক্তির আশায়। প্রচলিত বিশ্বাসে তারা গজার মাছের খাবার হিসেবে ছোট ছোট মাছ ও মুরগি নিয়ে আসেন। কোন কোন পরিবারের সদস্যরা বিপদ আপদ থেকে মুক্তি ও রোগব্যাধী থেকে আরোগ্য লাভের আশায় গোসল করেন গজার মাছের ওই পুকুরে। এ মাছ গুলো পুকুরের ঘাটলায় মানুষের টের পেলে কিনারায় চলে আসে। ভয় পায়না বরং আনন্দ উল্লাস করে। মানুষের হাত থেকে খাবার নিয়ে খায়।
ওয়াছেল বেপারীর (পুতি) ও স্থানীয় মোক্তার বাজারের মুদি ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম বলেন, আমার পূর্ব পুরুষ ওয়াছেল বেপারী ছিলেন সিলেটের হযরত শাহজালাল (রহ:) মাজারের ভক্ত। সেই সুবাদে তিনি প্রতি বছর ওরসে প্রতিনিয়ত আসা যাওয়া করতেন। সিলেটের হযরত শাহজালাল (রহ:) মাজারের খাদেমের কাছে শত বছর পূর্বে মাজারের পুকুরের গজার মাছ নিয়ে তিনি (ওয়াছেল) নিজের পুকুরে লালন পালনের আবদার করেন। ওয়াছেল বেপারীর আবদার পূরণ ও তাকে খুশি করতে সিলেট মাজারের খাদেম গ্রামের খালবিল থেকে একজোড়া গজার মাছ ধরে পুকুরে ছেড়ে লালন পালন করতে বলেন। পীর শাহজালাল (রহ:) আর্শিবাদে পুকুরের ছোট মাছ দুটো অলৌকিক কুদরতে হযরত শাহজালাল (রহ:) মাজারের গজাল মাছে পরিনত হবে। ওয়াছেল বেপারী মাজারের খাদেমের কথা বিশ্বাস করে তিনি বাড়িতে ফিরে একজোড়া গজার মাছ ধরে পুকুরে ছেড়ে লালন পালন করেন। সময়ের ব্যবধানে অলৌকিক কুদরতে তার পুকুর গজার মাছে ভরে যায়। সেই শত বছর পূর্ব থেকে আজ অবধি ধানডোবা ওয়াছেল বেপারী বাড়ির গজাল মাছ সিলেট মাজারের গজাল মাছের ন্যায় এলাকার মানুষ ও ভক্তবৃন্দের কাছে পরিচিতি পেয়েছে। তিনি আরও বলেন এই গজার মাছ গুলো হযরত শাহজালাল (রহ:) মাজারের আর্শীবাদের নেয়ামত। তাই আমরা সর্ব সময় গজার মাছের পরিচর্যা ও সংরক্ষন করে থাকি। এ মাছ কেউ ধরে খায়না। মারা গেলে মাটিতে পুতে রাখি।
গৌরনদীর বার্থী ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের (ওই গ্রামের) ইউপি সদস্য মোঃ শিমুল সরদার জানান, ধানডোবা গ্রামের ওয়াছেল কারিকরের বাড়ির পুকুরের গজার মাছ দেখতে প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন আসে। যে কারণে এলাকায় ওই স্থানটি এখন পর্যটক স্পট হিসেবে পরিচিত বলে তিনি জানান।

বিকেএস/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ২০:৫৭:০১ ● ১২৬ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ