আমতলী (বরগুনা) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
আমতলী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি .সাবেক ছাত্রলীগ ও যুবলীগ সভাপতি মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন খাঁনকে ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীরা কুপিয়ে জখমের ঘটনার সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার দাবীকে বিক্ষোভ সমাবেশ কর্মসুচী পালন করা হয়েছে। বুধবার রাত ৮ টার দিকে আমতলী চৌরাস্তায় উপজেলা আওয়ামীলীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ ও শ্রমিকলীগ নেতাকর্মীরা এ কর্মসুচী পালন করেন।
উপজেলা আওয়ামীলীগ অস্থায়ী কার্যালয় এসএম প্লাজ্রা সামনে থেকে ঘটনার সাথে জড়িত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার দাবীতে নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ শুরু করে। শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে বাঁধঘাট চৌরাস্তায় শেষ হয়। পরে ওই স্থানে উপজেলা যুবলীগ সভাপতি জিএম ওসমানী হাসানের সভাপতিত্বে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামীলীগ যুগ্মসাধারণ সম্পাদক গাজী সামসুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আলমগীর কবির, দপ্তর সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন ফকির, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাহিদুল ইসলাম মিঠু মৃধা, যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাহিদ দেওয়ান, পৌর যুবলীগ সভাপতি এ্যাড. আরিফ-উল হাসান আরিফ ও ছাত্রলীগ সহ-সভাপতি মোঃ আব্দুল মতিন খাঁন প্রমুখ।
উল্লেখ্য গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে আটটার দিকে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন খাঁনকে আল হেলাল মোড়ে উপজেলা ছাত্রলীগ সহ-সভাপতি সবুজ ম্যালাকার, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ ইসফাক আহম্মেদ তোহা, রাহাত মৃধা, ছাত্রলীগ সদস্য শাহাবুদ্দিন সিহাব ও সন্ত্রাসী রুহুল আমিন ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতারি কুপিয়ে হাত, মাথা গুরুতর জখম করে। সন্ত্রাসীদের এমন কর্মকান্ডে শত শত লোকজন প্রত্যক্ষ করে। কিন্তু সন্ত্রাসীদের ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করতে সাহস পায়নি। এ ঘটনায় পর থেকে উত্তাল আমতলী শহর। গত দুই দিন ধরে আওয়ামীলীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ ও শ্রমিকলীগ নেতাকর্মীরা সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার দাবীতে সড়ক অবরোধ বিক্ষোভ সমাবেশ কর্মসুচী পালন করে আসছে। বুধবার রাতে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার দাবীতে আওয়ামীলীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ ও শ্রমিকলীগ নেতাকর্মীরা এ কর্মসুচী পালন করেন। বর্তমানে মোয়াজ্জেম হোসেন খান বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
মোয়াজ্জেম হোসেন খাঁনের ছোট ভাই সেলিম খাঁন বলেন, উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) পৌর মেয়র মোঃ মতিয়ার রহমান ও তার ভাই উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান আমার ভাইকে চিরতরে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দিতেই তাদের সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে কুপিয়ে হাত ও মাথায় গুরুতর জখম করেছে। তিনি আরো বলেন, তারা দুই ভাই বিএনপি রাজনীতি ছেড়ে আওয়ামীলীগ রাজনীতিতে জড়িয়ে আমতলীতে অপরাধের স্বর্গরাজ্য কায়েম করতেছেন॥ তাদের ওই অপরাধের প্রতিবাদ করার দরুন আমার ভাইকে তারা কুপিয়েছে।
আমতলী উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) পৌর মেয়র মতিয়ার রহমান সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার পরিবারের কেউ এ ঘটনার সাথে জড়িত নয়।
আমতলী থানার ওসি একেএম মিজানুর রহমান বলেন, এখনো অভিযোগ পাইনি। সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার চেষ্টা অব্যহত আছে।
এমএইচকে/এমআর