আমতলী সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
বরগুনার পায়রা নদীর বুড়িরচর থেকে শনিবার সন্ধ্যায় কুমির আটক করেছে এলাকাবাসী। বন বিভাগ কর্তৃপক্ষ বেল্লাল মৃধার বাড়ী থেকে মৃত্যু অবস্থায় কুমিরটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য প্রাণী সম্পদ হাসপাতালে প্রেরণ করেছে। কুমিরটি ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি লম্বা। ওজনে ১৬ কেজি।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, পায়রা নদী সংলগ্ন বুড়িরচর এলাকার নাপিতখালী গ্রামের সতীশ চন্দ্র হাওলাদারের ছেলে নিশোক হাওলাদার শনিবার সন্ধ্যায় নদীর পাড়ে ঘুরতে যায়। ওইখানে চরে একটি কুমির দেখতে পায় সে। কুমিরটি দেখে তার ডাক চিৎকারে স্থানীয় বেল্লাল মৃধা,সুনীল, পলাশ গাজী, সাগর, সোহেল, লিটন, জাহাঙ্গির, মামুন, পারভেজ, ছগির ও বাহাদুরসহ ১০/১২ জন ছুটে আসে। তারা কুমিরটিকে জাল দিয়ে আটক করে পার্শ্ববর্তী বেল্লাল মৃধার পুকুরে রশি দিয়ে বেঁধে রাখে। দ্রুত সময়ের মধ্যে কুমির আটকের খবর সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে। কুমিরটি দেখার জন্য দুর দুরান্ত থেকে শত শত মানুষ ছুটে এসে ওই বাড়ীতে ভীর জমায়। খবর পেয়ে বরগুনা বন বিভাগ কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থলে এসে কুমিরটি মৃত্যু অবস্থায় উদ্ধার করে। তারা কুমিরটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বরগুনা প্রাণী সম্পদ হাসপাতালে প্রেরন করেছে। ২০১৭ সালের পায়রা নদীতে কুমির আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ওই সময়ে কুমির আতঙ্কে জেলেরা নদীতে প্রায় ১ মাস মাছ ধরা বন্ধ করে দিয়েছিল। পরে মৎস্য বিভাগের আশ্বাসে জেলেরা নদীতে মাছ ধরা শুরু করে। শনিবার সন্ধ্যায় পায়রা নদীর চর থেকে কুমির আটক করায় জেলেদের মাঝে আবার আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। অনেক জেলে কুমির আটকের খবর পেয়ে নদীতে মাছ ধরা বন্ধ করে দিয়েছেন।
রবিবার খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কুমির আটকের খবর পেয়ে পায়রা নদীতে জেলেরা মাছ ধরা বন্ধ করে দিয়েছে। তাদের মাঝে আতঙ্ক একটি কুমির ধরা পরলেও নদীতে আরো কুমির রয়েছে।
নাপিতখালী গ্রামের সতীশ চন্দ্র হাওলাদারের ছেলে নিশোক চন্দ্র হাওলাদার জানান, শনিবার সন্ধ্যায় পায়রা নদীর পাড়ে ঘুরতে গিয়ে চরে একটি কুমির দেখতে পাই। কুমিরটি দেখে ডাক চিৎকার দিলে স্থানীয় ১০/১২ জন ছুটে আসে। পরে কুমিরটি জাল দিয়ে আটক করে বেল্লাল মৃধার পুকুরে রশি দিয়ে বেঁধে রেখে বন বিভাগ কর্তৃপক্ষকে খবর দেই। তারা আসার পূর্বেই কুমিরটি মারা গেছে।
বরগুনা বন বিভাগের বন কর্মকর্তা মোঃ মতিউর রহমান বলেন, পায়রা নদী থেকে একটি কুমির আটক করেছে এলাকাবাসী। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মৃত্যু অবস্থায় কুমিরটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বরগুনা প্রাণী সম্পদ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্ত শেষে কুমিরটির চামড়া সংরক্ষণ করে এবং মাংশ মাটি চাপা দেয়া হবে। তিনি আরো বলেন, তদন্ত করে কুমিরটি যদি কেউ মেরে ফেলে থাকে তার বিরুদ্ধে বন আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।