ছাতক(সুনামগঞ্জ) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড বিত্রুয় বিতরন বিভাগ ছাতক অফিসের তিনজন দুর্নীতিবাজ কর্মচারীকে নানা অনিয়ম, মিটার চুরি ও ঘুষ-দুর্নীতির অভিযোগে বদলী করা হয়েছে। গত ৮ আগষ্ট ঢাকার বিউবো কর্মচারী পরিদপ্তর এর উপ-পরিচালক-৩ রেহানা আক্তারের স্বাক্ষরিত এক আদেশে তাদেরকে বদলী করা হয়।
জানাযায়, এমএলএসএস কাম গার্ড আকতারুজ্জামানের নেতৃত্বে ৫ সদস্যেও একটি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বিউবো বিত্রুয় ও বিতরন বিভাগ ছাতক অফিসে গড়ে উঠেছে নানা অপকর্ম। এ সিন্ডিকেট চত্রেুর কাছে প্রায় ৫০ হাজার গ্রাহকসহ ও প্রকৌশলীরা জিম্মি রয়েছেন। অভিযোগগ্রহনকারী আব্দুর রহমানকে ছাতক থেকে শেরপুর, এমএলএসএস কাম গার্ড আকতারুজ্জামান ও সাহায্যকারি সেকান্দর আলী ছাতক থেকে হবিগঞ্জে বদলী করা করেছেন বিউবো কর্মচারি পরিদপ্তর এর উপ-পরিচালক-৩ রেহানা আক্তার। সিন্ডিকেট চত্রেুর ৫ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হলে ও তিনজনকে ছাতক থেকে বদলী করা হলে ও দুনীতিবাজ সহকারি প্রকৌশলী মাহমুদুল হাসান, লাইনম্যান মমিনুল ইসলাম এখনো বহাল আছেন।
এ লাইনম্যান মমিনুল ইসলাম চার বছর আগে দিনাজপুর জেলার বড় পুকুরিয়া তাপ বিদুৎ কেন্দ্রে তামার তার চুরির অপরাধে ছাতকে বদলী করা হয়ে ছিল। তদন্ত শৃঙ্খলা অধিদপ্তর (বিউবো)র ঢাকা অফিসে মামলা ও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। ছাতক যোগদানের পর থেকে আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে সে। মমিনুল একজন লাইনম্যান হয়ে মিটার রিডিং পদে চাকুরী করছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া যায় এবং অনেক গ্রাহকের কাছ থেকে নতুন মিটারের জন্য টাকা নিয়ে মিটার না দিয়ে হয়রানি করছে মাসের পর মাস। ছাতক পৌর শহরের বিশাল একটি এরিয়ার অন্যের নামে ব্যবহারকরে তাতিকোনা, বৌলা, মঙ্গলপাড়া ও চরেরবন্দ এলাকায় মিটার রিডিং করে এবং অবৈধ লাইন দিয়ে গ্রাহকদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছেন মাসে বড় অংকের টাকা। সে দিনাজপুর জেলার পাবতীপুর উপজেলার হাবড়া গ্রামে কোটি টাকা দিয়ে একটি বিশাল বাড়িও নিমার্ণ করছেন বলে জানাযায়।
এছাড়া গত ২০২১সালে ২ নভেম্বর বিউবো কর্মচারি পরিদপ্তর এর উপ-পরিচালক-১ মোজাম্মেল হক বিদ্যুৎ উন্নয়ন ও বিতরন বিভাগের নোয়ারাই ফিন্ডারের ইনচার্জ সহকারি প্রকৌশলী মাহমুদুল হাসানকে নানা অনিয়ম, ঘুষ-দুর্নীতির ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ছাতক থেকে নরসিংদী জেলার পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল বিদ্যুৎ কেন্দে বদলী করলেও দীর্ঘ ১০ মাস ধরেই রয়েছেন বর্তমান কর্মস্থলে বহাল তবিয়তে। তিনজন দুর্নীতিবাজ কর্মচারির বদলী স্থগিত করতে সহকারি প্রকৌশলী মামুদুর হাসান ঢাকা ও সিলেটের ব্যাপক অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বদলী আদেশে উল্লেখ্য আছে যে ১৬ আগষ্ট অব্যাহতি গ্রহনপুর্বক যথাসময়ে পদস্থিত দপ্তরে যোগদান না করলে অন্যথায় ১৭ আগষ্ট থেকে বর্তমান কর্মস্থল থেকে তাৎক্ষনিক অব্যাহতি প্রাপ্তটি ষ্ট্যান্ড রিলিজ বলে গণ্য হবে।
এব্যাপারে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিউবো কর্মচারি পরিদপ্তর তিনজন কর্মচারিকে বদলীর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ছাতক থেকে একজনকে শেরপুর ও দুজনকে হবিগঞ্জ বদলী করা হয়েছ।
এব্যাপারে সহকারি প্রকৌশলী মাহমুদল হাসান, লাইনম্যান সেকান্দর, অভিযোগগ্রহনকারী আব্দুর রহমান, এমএলএসএস কাম গার্ড আক্তারুজ্জামান ও লাইনম্যান মমিনুল ইসলা কে একাধিকবার তাদের ব্যক্তিগত মোবাইলের কল দিলেও তারা কেউ কল রিসিভ করেনি।
এএমএল/এমআর