গলাচিপায় নদী ভাঙনে বিলীন হচ্ছে তিন গ্রাম

প্রথম পাতা » পটুয়াখালী » গলাচিপায় নদী ভাঙনে বিলীন হচ্ছে তিন গ্রাম
বুধবার ● ৩ আগস্ট ২০২২


গলাচিপায় নদী ভাঙনে বিলীন হচ্ছে তিন গ্রাম

গলাচিপা (পটুয়াখালী) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

পটুয়াখালীর গলাচিপায় নদীর ভাঙনে ডাকুয়া ইউনিয়নের তিনটি গ্রামের অন্তত: দুই কিলোমিটার এলাকা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। রামনাবাদ নদীর তীরবর্তি ইউনিয়ন ডাকুয়ার তিনটি গ্রাম আটখালী, ডাকুয়া ও হোগলবুনিয়ায় রয়েছে ইউনিয়ন পরিষদ ভবনসহ দুইশত কোটি টাকার সরকারি বেসরকারি স্থাপনা। বর্ষা মৌসুমেই নদীগর্ভে চলে যাবে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি প্রখ্যাত সাংবাদিক আলতাফ মাহামুদের সমাধিস্থল।
সারা বছর চলে নদী ভাঙন। বর্ষা মৌসুমে ভাঙনের তীব্রতা আরও বেড়েছে। এলাকাবাসী জানায়, গলাচিপা নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধের উপর কার্পেটিং সড়ক নির্মাণের মাধ্যমে উপজেলা সদর থেকে উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন ও দশমিনা উপজেলার সাথে সড়কপথে যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে। নদী শাসনের কোনো ব্যবস্থা করা না হলে বর্ষা মৌসুমেই নদী গর্ভে চলে যাবে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি প্রখ্যাত সাংবাদিক আলতাফ মাহামুদের সমাধি স্থল। ভাঙনের মুখে রয়েছে ডাকুয়া ইউনিয়ন পরিষদ ভবন, আটখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, আটখালী প্রাথমিক বিদ্যালয়, জৈনপুরী পীর সাহেবের খানকা, আটখালী কমিউনিটি ক্লিনিক, গলাচিপা-কলাগাছিয়া সংযোগ সড়কের একাংশ, গলাচিপা-চরচন্দ্রাইল সংযোগ সড়কের একাংশ। এছাড়া তেঁতুলতলা বাজার, দুইশত বছরের পুরনো জমিদার বাড়ি, ৫টি মসজিদ, মাদ্রাসা, ২টি মন্দির, অসংখ্য বাড়িঘর ও ফসলি জমি। নদী ভাঙন রোধ কিংবা নদী শাসনের কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করে পানি উন্নয়ন বোর্ড দুইবার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধ নির্মাণ করেছে। কয়েক বছরে গলাচিপা নদীর ভাঙনে বাস্তুহারা হয়েছে শতাধিক পরিবার। ইতিমধ্যে এক কিলোমিটার বেড়িবাঁধ বিধস্ত হয়েছে। জোয়ারের লোনা পানি প্রবেশ করায় ফসলের ক্ষতি হচ্ছে। ইউপি সদস্য শাহ আলম মৃধা, হারুন হাওলাদারসহ এলাকাবাসী জানায়, আমরা আর বোড়িবাঁধ চাই না। প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটাই দাবি, নদী শাসনের মাধ্যমে ভাঙন রোধ করে আমাদের বাড়িঘর রক্ষা করার ব্যবস্থা করুন। ডাকুয়া ই্উনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ রায় জানান, দ্রুত নদী শাসন ও ড্রেজিং করে নদীর গতি পথ পরিবর্তনের উদ্যোগ গ্রহণ করা না হলে ডাকুয়া ইউনিয়ন পরিষদসহ প্রায় দুইশত কোটি টাকার সরকারি ও ব্যক্তি মালিকানার সম্পদ গলাচিপা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে।
জরুরি ভিত্তিতে এখানে জিও ব্যাগ ফেলে নদী ভাঙন বন্ধ করা দরকার। পটুয়াখালী-৩ (দশমিনা-গলাচিপা) এলাকার সংসদ সদস্য এস এম শাহজাদা জানান, গলাচিপা নদীর ভাঙনের হাত থেকে  গুরুত্বপূর্ণ এ জনপদ রক্ষা করার জন্য তিনি এ বিষয়ে জাতীয় সংসদে বক্তব্য উপস্থাপন করেছেন। দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে ডিও লেটার দিয়েছেন। এ ব্যাপারে একাধিক বার সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীর সাথে দেখা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে অনুরোধ করেছেন।


এসডি/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ০:১১:০৪ ● ২০২ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ