নেছারাবাদে ব্রিজ নির্মাণ কাজ ফেলে রাখায় এলাকাবাসীর দুর্ভোগ
প্রথম পাতা »
পিরোজপুর »
নেছারাবাদে ব্রিজ নির্মাণ কাজ ফেলে রাখায় এলাকাবাসীর দুর্ভোগ
নেছারাবাদ (পিরোজপুর) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
নেছারাবাদের সুটিয়াকাঠি ইউনিয়নে ব্রিজ নির্মানের কাজ দুই বছর ধরে ফেলে রাখায় চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীসহ সাধারন মানুষ। উপজেলার নান্দুহার ইউনাইটেড বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পাশে ব্রিজটি নির্মানের জন্য ২০২০ সালের এপ্রিল মাস থেকে ভাঙা হয়েছে। চলাচলের জন্য বিদ্যালয়ের সামনে একটি অস্থায়ী কাঠের সাঁকো নির্মান করা হয়। সে সাঁকোও এখন ভেঙে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পার হতে হচ্ছে বিদ্যালয়ের ৫শতাধিক শিশু শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসী।
নান্দুহার ইউনাইটেড বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মনিরুল ইসলাম জানান, সুটিয়াকাঠি থেকে গৌরঙ্গের বাজার সড়কটি অত্যান্ত গুরুত্বপুর্ন। ওই সড়কটির সাথে সংযোগ রয়েছে বানারীপাড়ার বিশারকান্দি হয়ে টুঙ্গিপাড়ার। ওই সড়কের ২৭০০মিটার চেইনেজে বিদ্যালয়ের পাশে ২৩ মিটার দীর্ঘ ব্রিজটি নির্মানের জন্য স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর ‘দেশের দক্ষিনাঞ্চলের আয়রন ব্রিজ পুনঃনির্মান/পুনর্বাসন (আইবিআরপি)’ প্রকল্পের আওতায় প্রকল্প গ্রহন করে। নির্মানের কার্যাদেশ পায় খুলনার টুটপাড়া এলাকার মেসার্স জিয়াউল ট্রেডার্স। ২০২০ সালের এপ্রিল মাসে কাজ শুরু করে। নির্মানের জন্য ওই সময়ের ব্রিজটি ভেঙে বিদ্যালয়ের সামনে একটি অস্থায়ী সাঁকো নির্মান করে দেন। এরপর তারা কিছু পাইল নির্মান করে হঠাৎ কাজ বন্ধ করে মালামাল নিয়ে চলে যায়। আর তারা কাজের স্থানে ফিরে আসেনি। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের সাথে যোগাযোগ করা হলেও কোন ফলাফল হচ্ছে না। ইতোমধ্যে অস্থায়ী সাঁকোটিও ভেঙে নড়বরে হয়ে গেছে। বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সুপারী গাছ দিয়ে কয়েকবার জোড়া তালি দিয়ে শিক্ষার্থীসহ লোকজন চলাচল ব্যবস্থা করা হলেও বর্তমানে এর অবস্থা অত্যান্ত নাজুক। ওই সাঁকো দিয়ে প্রতিদিন জীবনের ঝুকি নিয়ে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, শিশু, বৃদ্ধ চলাচল করছে। প্রতিদিন বিদ্যালয় শুরু ও ছুটির সময় একজন শিক্ষককে দাড় করিয়ে রাখতে হয়। যেহেতু একটি গুরুত্ব সম্পন্ন ব্রিজ সে কারনে সার্বক্ষনিক লোকজন চলাচল করে। যে কোন সময় বড়ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। সে কারনে ব্রিজটি দ্রুত নির্মান করার জন্য বিভিন্ন দফতরে যোগাযোগ করেও কোন লাভ হচ্ছে না।
এ বিষয়ে স্বরূপকাঠির স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের উপজেলা প্রকৌশলী শেখ তৌফিক আজিজের সাথে কথা বললে তিনি জানান, ওই প্রতিষ্ঠানের পক্ষে মো. মাসুম কাজটি শুরু করে ফেলে রেখেছেন। বহুবার তাকে মৌখিক ও চিঠির মাধ্যমে তাগিদ দেওয়া সত্যেও তিনি কাজ করছেন না। যেহেতু কাজটি পিরোজপুরের নির্বাহী প্রকৌশলীর দফতর থেকে কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছিল সে কারনে কার্যাদেশ বাতিলসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য পিরোজপুর এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলীর বরা বরে সুপারিশ পাঠানো হয়েছে।
আরএ/এমআর
বাংলাদেশ সময়: ২২:০৭:০১ ●
৩৩৩ বার পঠিত
(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)