ছাতক(সুনামগঞ্জ) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
সুনামগঞ্জের ছাতকে সিএনজি চালিত শ্রমিক জালালপুর ও গোবিন্দগঞ্জ শ্রমিকদের মধ্যে দুই গ্রুপের মধ্যে জালালপুর ভাঙ্গা কালভার্ট রান্তা পারাপারে সময় গাড়ি থেকে প্রকাশ্যে চাদা তোলা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া বাধে।
এ ঘটনায় উভয় পক্ষের মধ্যে পথচারি, যাত্রী, চালক সহ ২০ ব্যক্তি আহত হয়েছেন। এ ঘটনার খবর পেয়ে হাইওয়ের থানার ওসি সেলিম উদ্দিনের নেতৃত্বে এক দল পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পৌছে কঠোর হস্তক্ষেপে ভয়াবহ সংঘষের হাত থেকে এলাকাবাসি রক্ষা করেছে। মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ সৈদেরগাও ইউপির সিলেট সুনামগঞ্জ সড়কের জালালপুর ভাঙ্গা কালভার্টের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, ছাতক উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ-সৈদেরগাঁও ইউনিয়নের জালালপুর-দোলারবাজার হয়ে লামা রসুলগঞ্জ পর্যন্ত একটি সড়ক রয়েছে। এ সড়কের সাথে সংযোগ রয়েছে পার্শ্ববর্তী জগন্নাথপুর উপজেলার। গোবিন্দগঞ্জ-সৈদেরগাঁও, দোলারবাজার, দক্ষিণ খুরমা, ভাতগাঁও, সিংচাপইড়সহ জগন্নাথপুরের দুদ লাখো মানুষ এ সড়ক দিয়ে যাতায়াত করে আসছে।
ভাঙ্গা কালভার্টের নিচে দিয়ে সিএনজি চালিত শ্রমিকরা বন্ধ রাস্তা চলাচলে একটি অস্থায়ী রাস্তা তৈরি করেন শ্রমিকরা । এ রাস্তার উপর দিয়ে সিএনজি চলাচল করছেন প্রতিদিন । এখানে গাড়ি পারাপারে নামে শ্রমিক সংগঠনের নাম ব্যবহার করে প্রতিদিন শত শত সিএনজি চালিত গাড়ি থেকে হাজার টাকা উত্তোলন করছেন শ্রমিক নামধারী কয়েকজন। এখানে চাদা তোলার ঘটনায় পুলিশ ও র্যাব বাহিনীর একাধিক মামলা দায়ের করেন শ্রমিকদের বিরুদ্ধে।
গত মঙ্গলবার সকাল থেকে আব্দুল কাহার,সিরাজ,ফরিদ,নইব আলী ও সাজুসহ ২৫জনের নেতৃত্বে সিলেট সুনামগঞ্জ মহা সড়কে জালালপুর ভাঙ্গা কালভার্ট রাস্তা স্থান পারাপারে সময় প্রতিটি গাড়িটি সিএনজি ২০টাকা ও পিকাপ ২০০টাকা করে চাদা করছেন।
এখানে কোন ধরনের টাকা পয়সা না তোলার জন্য অনুরোধ করেন এলাকাবাসির লোকজন।
এ নিয়ে দুজন শ্রমিকদের কথাকাটা কাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।
এ ঘটনার জের ধরেই গোবিন্দগঞ্জ সিরাজ ও
জালালপুর সেবুল পক্ষদ্বয় সঙ্গে দফা দফা ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও হামলা হয়।
এ হামলার ঘটনার প্রতিরোধ করতে গিয়ে গোবিন্দগঞ্জ শ্রমিক কাহার সিরাজ ও জালালপুর শ্রমিক বাবুল সেবুল পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, লুটপাট ও ভাংচুর হয়।
পরে গোবিন্দগঞ্জ ট্রাফিক পয়েন্ট আইলকারি গ্রামের পান সিগারেট এক ক্যবিন ভাংচুর,তার ক্যাশে নগদ টাকা পয়সা,সিগারেট লুটপাটের অভিযোগ করেছেন কয়েছ আহমদ।
আহতরা হলেন,শ্রমিক সিরাজ,কামরান,হাবিব,আব্দুল আলী,জমির,লায়েক,সামিরুল,আনর,রইছ আলী,আব্দুল কাহার,জাবেদ,মাসুম,ও আব্দুল জব্বার, পথচারি যাত্রীসহ ২০জন আহত হয়েছেন। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
এ খবর পেয়ে জয়কলস থানার হাইওয়ের ওসি সেলিম আহমদে নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হন।
পরে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সুন্দর আলী,শ্রমিক সংগঠনের চেয়ারম্যান আফতাব উদ্দিন,সাধারন সম্পাদক জমসিদ আলী,
সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইউপি মেম্বার নানু মিয়া,অর্থসম্পাদক সুহেল আহমদ,সুনামগঞ্জ পরিবহন শ্রমিক শাথার সাংগঠনিক সম্পাদক রজব আলীসহ এলাকার ব্যক্তিগতদের নিয়ে
দুই পক্ষের বিরোধ শালিশের মাধ্যমে রাতেই শেষ করা হবে নিশ্চিত করেন ইউপি চেয়ারম্যান সুন্দর আলী ।
এখন জালালপুর দোলাবাজার ও গোবিন্দগঞ্জ সড়ক যোগাযোগ বন্ধ থাকলে এক ঘন্টা পর সচল করে দেয়া পুলিশ,ইউপি চেয়ারম্যান শ্রমিক নেতাসহ এলাকাবাসীর লোকজন।
এব্যাপারে হাইওয়ের থানার ওসি সেলিম উদ্দিন এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,গাড়ি পারাপারে নামে টাকা তোলার ঘটনায় হাতাহাতির ঘটে। তবে এখন পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। তবে ভাঙ্গা কালভার্ট দিয়ে গাড়ি চলছে। কেউ গাড়ি আটকিয়ে টাকার করলেই উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এএমএল/এমআর