ছাতক(সুনামগঞ্জ) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
ছাতকে ভয়াবহ বন্যায় মানুষের ঘর-বাড়ি সহ গোলা ভরা ধান,ঘরের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র তলিয়ে নিয়ে বানভাসি মানুষদেরকে নিঃস্ব করেছে । উপজেলা প্রশাসন ১৩টি ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের নামে ১শদ২০ মে,টন চাল বরাদ্ধ করা হলে ও এখনো অধিকাংশ ইউনিয়নে সরকারি ত্রান পায়নি বলে বানভাসীদের অভিযোগ উঠেছে।
জানাযায়,উপজেলার,ইসলামপুর ৮ মে,টন,নোয়ারাই ১০,কালারুকা ৯,উত্তর খুরমা ১০,গোবিন্দগঞ্জ সৈদেরগাও ৮,দোলারবাজার ৮টন,জাউয়াবাজার ৮টন,সিংচাপইর ৯টন,ভাতগাও ৮টন,
কালারুকা ৯টন,চরমহল্লা৯টন,ছাতকসদর ৮টন,ছৈলাআফজলাবাদ ৮টন,দক্ষিন খুরমা ৮টনসহ মোট ১শদ২০ মে টন চাউল বরাদ্ধ ও ১৩শদশুকনা খাবার বিতরন করা হয়েছে।
গত শুত্রুবার ও শনিবার প্রতিটি গ্রামে গ্রামে গিয়ে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ঘর বাড়ি ও পুর্নবাসনের তালিকা নিয়ে চলছে
১৩টি ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের বিরুদ্ধে লুকোচুরি।
এ উপজেলার ঘর-বাড়ি হারিয়ে হাজার-হাজার মানুষের ঠিকানা এখন হচ্ছে খোলা আকাশের নীচে। কেউ-কেউ স্বজনদের বাড়িতে আশ্রয় নেন। আবার কেউ - কেউ আশ্রয় নেন রাস্তা অথবা ব্রিজের ওপর।
মহাসড়ক-উঁচু রাস্তার পাশে পলিথিন- ত্রিপাল দিয়ে ঘর নির্মাণ করে অনেকেই গবাদি পশুসহ বসবাস করছেন। এ চিত্র উপজেলার সকল এলাকায়। উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের সৈদাবাদ,রহমতপুর,গোয়ালগাঁও, ছনবাড়ী, গনেশপুর, বাহাদুরপুর,নোয়াকোট, কুছবাড়ি,হাদা,আশায়ন প্রকল্পের মুজিবনগর,দারোগাখালী,বৈশাকান্দি,রতনপুর,নিজগাঁও,লুবিয়া,পান্ডব,নোয়ারাই ইউনিয়নেরমানিকপুর,টিলাগাঁও,চরভাড়া,গোদাবাড়ি,কুপিয়া,রাজারগাঁও,
কালারুকা ইউনিয়নের দিঘলবন্দ,রামপুর,নুরুল্লাপুর, নৌকাকান্দি, আরতানপুর,জাউয়া বাজার ইউনিয়নের বানায়ত, বড়কাপন,বাগাইড়, বাদেশ্বরী,কপলা, সুড়িগাও,উত্তরখুরমা ইউনিয়নেরদাহারগাও,আলমপুর,গিলাছড়া,তকিরাই,নোয়াগাও,মৈশাপুর,রসুলপুর,ফুরকাননগর,গদারমহল,রুক্কা,চলিতারবাক,নানশ্রী,পলিরটুক, ঘাটপার, দোলারবাজার ইউনিয়নের সুতারখালী,বসন্তপুর, চরমহল্লা ইউনিয়নের কেজাউরা, চরবাড়ুকা,কামরাংগি, ছনুয়া, হাসারুচর, ভাতগাঁও ইউনিয়নের জালিয়া, পাগনারপার,পৌরসভার ভাসখালাসহ বিভিন্ন গ্রামের ঘর- বাড়ি থেকে বন্যার পানি এখন ও নামছে না। হাজার হাজার ঘর-বাড়িতে রয়েছে বন্যার পানি।
স্বরণকালের ভয়াবহ বন্যায় ঘর হারা মানুষ বর্তমানে আশ্রয়হীন ও চরম খাদ্য সংকটে ভুগছেন।খাবার পানি তীব্র পশু পাখির খাদ্য মারাতœক সংকট দেখা দিয়েছে। বন্যায় বসতঘর হারিয়ে নিস্বঃ উত্তর খুরমা ইউনিয়নের দাহার গাও আব্দুল সোবহান ও আলমপুর গ্রামের আপ্তাব আলী ,বন্যায় হাটু পানি ঘরে কিছু মালপত্র গুছিয়ে গরু- বাছুর ও ছেলেদের নিয়ে গ্রামের আরেক বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছি। তার বাড়ির বসতঘরে ও পানি প্রবেশ করে। স্রোত বেড়ে যায়। ওই বাড়ি থেকে গ্রামের আরেক বাড়ির ছাদে গরু নিয়ে যাই। তার বসত ঘরের ভিতরে থাকা ছেলে মেয়েদের বইপত্র ও ভেসে গেছে।
এছাড়া শহরের ভাসখালা গ্রামের ইসলাম উদ্দিন বসত ঘর বন্যার স্রোতে সুরমা নদীতে ভেসে গেছে। ইসলাম উদ্দিন এখন বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন। এ ব্যাপারে তার সঙ্গে আলাপকালে হাউ- মাউ করে কাঁদছে,তার সর্বস্ব হারিয়ে গেছে। ঘরের কোন চিহ্নই নেই।একইভাবে গ্রামের ওয়াতির আলী,ওসমান,নছিব আলী, আবুল কালামের ঘর ও বিধস্ত হচ্ছে।
এব্যাপারে নাজমুল ইসলাম ও আবদুস সাক্তার জানান,প্লাবনে গোটা উপজেলায় ঘর- বাড়ি,রাস্তা -ঘাটের ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হচ্ছে। অনেক রাস্তা-ঘাটের অস্থিত্ব ও নেই। ঘর-বাড়ি হারিয়ে নিস্বঃ হয়ে পড়েছে কয়েক হাজার মানুষ। তারা এখন অন্যেরবাড়ি বা রাস্তায় আশ্রয় নিয়ে অনাহারে- অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছেন।
এব্যাপারে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকতা কে, এ, মাহবুবুর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করে করে বলেন, উপজেলার১৩ ইউনিয়নের সরকারি ভাবে চেয়ারম্যানদের বন্যায় ঘর বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত তালিকা সংগ্রহ কাজ চলছে। এগুলো আসার পর আবারো ও যাচাই বাচাই করে দেখা হবে।
এএমএল/এমআর