আমতলী (বরগুন) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
তালতলী উপজেলার সোনাকাটা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও মারধরের ঘটনায় ৩২জন আহত হয়েছে। নৌকার প্রার্থী সুলতান ফরাজীর অভিযোগ স্বতন্ত্র প্রার্থী ইউনুস ফরাজীর সমর্থকরা বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ও নির্বাচনী অফিস ভাংচুর করেছে। স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের হামলার নৌকার ১৫ সমর্থক আহত হয়েছে। ইউনুস ফরাজী অভিযোগ নৌকার প্রার্থী সুলতান ফরাজীর সমর্থক মালেক আকনের নেতৃত্বে শতাধিক সন্ত্রাসী ধারালো অস্ত্র নিয়ে তার সমর্থকদের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়েছে এবং অফিস ভাংচুর করেছে। এতে তার ১৭ সমর্থক আহত হয়। আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে তালতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনা ঘটেছে শনিবার সন্ধ্যায় ফকিরহাট এলাকায়। এ ঘটনায় দুই পক্ষই মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
জানাগেছে, উপজেলার ফকিরহাট বাজারে শনিবার সন্ধ্যায় যুবলীগের একটি বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করে। বিক্ষোভ মিছিল শেষে যুবলীগ নেতারা নৌকা প্রতীকের নির্বাচনী অফিসে অবস্থান নেয়। ওই অফিসের পাশে একটি দোকানে স্বতন্ত্র প্রার্থী ফরাজী ইউনুসের সমর্থকরা নৌকা প্রতিক নিয়ে কটুক্তি করে। এ ঘটনায় নৌকার সমর্থকরা প্রতিবাদ করে। এ নিয়ে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও মারধরের ঘটনা ঘটে। নৌকা প্রার্থী মোঃ সুলতান ফরাজী অভিযোগ করেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী ইউনুস ফরাজীর ছেলে সজিব ফরাজী নেতৃত্বে ২-৩ শতাধিক নেতাকর্মী তার নির্বাচনী অফিসে হামলা চালিয়ে বঙ্গবন্ধু, প্রধানমন্ত্রীর ছবি ও অফিস ভাংচুর করেছে। সুলতার ফরাজী আরো অভিযোগ করেন, স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকরা নির্বাচনী অফিস ভাংচুর করেই খ্যান্ত হয়নি অফিসের পাশেই উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তৌফিকুজ্জামান তনু’র রয়েল ফিস নামক একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে ক্যাশ বাক্স ভেঙ্গে প্রায় ৫ লাখ টাকা লুটপাট করে নিয়েছে এবং ৫ টি মোটর সাইকেল ভাংচুর করেছে। অপর দিকে ইউনুস ফরাজী অভিযোগ করেন, নৌকার সমর্থকরা তার নেতা কর্মীদের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়েছে অফিস ভাংচুর করেছে। তিনি আরো বলেন, আমার সমর্থকদের মামলা দিয়ে ফাঁসাতে পরিকল্পনা মাফিক নৌকা প্রার্থীর সমর্থকরা তাদের নির্বাচনী অফিস তারাই ভাংচুর করেছে। দুই পক্ষের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও হামলায় অন্তত ৩২ জন আহত হয়েছে। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে বরিশাল, বরগুনা ও তালতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। দু’পক্ষের আহত নেতা কর্মীরা হলো হাফেজ ফরাজী, হোসেন হাওলাদার, মনির খান, আল আমিন, মজিবর খান, মোঃ রাসেল, কামাল, লাল চান, শহিদুলম কামাল হোসেন, নিজাম মোল্লাম রুবেল, হানিফ মোল্লা, আলমগীর তালুকদার, রিফাত, স্বপন ও রাহাত। এ ঘটনায় রবিবার দুই পক্ষই মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
তালতলী থানার ওসি কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, খবর পেয় ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনা হয়েছে। এ ঘটনায় কোন পক্ষই অভিযোগ দেয়নি। তিনি আরো বলেন, এ ঘটনায় দুইপক্ষই মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
এমএইচকে/এমআর