কাউখালী(পিরোজপুর) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
প্রতি বছরের ন্যায় ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে এ বছরও অনুষ্ঠিত হল কাউখালী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের স্টুডেন্টস কাউন্সিল নির্বাচন।
বৃহস্পতিবার(২জুন) এ নির্বাচনকে ঘিরে শুধুমাত্র কোমলমতি শিশুরাই নয়,দলমত নির্বিশেষে সকল অভিভাবকদের মধ্যেও উৎসাহ উদ্দীপনার কমতি ছিলনা। কে জিতবে? কে হারবে? এই নিয়ে সারাদিনের উৎকন্ঠা শেষে অবশেষে “হার জিত চিরদিন থাকবে, তবুও এগিয়ে যেতে হবে”- এই গান গাইতে গাইতে বিজয়ের কেতন উড়াল সাতজন ক্ষুদে শিক্ষার্থী। রায় মেনে নিল সকলেই। সামান্য মন খারাপ হলেও ক্ষনেক পরে সবাই একসাথে হাসতে হাসতে বাড়ি চলে গেল। অনেক অভিভাবকের মুখে বলতে শোনা গেল, বড়দের নির্বাচনেও যদি এমন হত !
এ নির্বাচনে তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীরাই ভোটার এবং ওরাই প্রার্থী। এই বিদ্যালয়ের ভোটার সংখ্যা ছিল ২৬৩ জন। এর মধ্যে ছাত্র ভোটার ১২৯ ও ছাত্রী ভোটার ১৩৪ । এই নির্বাচনে ভোট প্রদান করে ২০৬ জন। ভোটার উপস্থিতির হার ছিল ৭৮ %। সকাল ৯.০০টা থেকে দুপুর ১.০০ টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ শেষে ফলাফল গণনা করা হয়। এতে নির্বাচিত সাতজন কাউন্সিলর হল- তৃতীয় শ্রেণির দেবষ্মিতা সাহা মৌলি , সৃজন মিস্ত্রী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত এবং চতুর্থ শ্রেণির ফাতেমা জামান মিমু- ৯৯ ভোট, স্বস্তিক দাস-৬৯ ভোট পঞ্চম শ্রেণির আফরিন জাহান প্রাণ-১০৮ ভোট , ইয়াছিন মোল্লা-৮২ ভোট ও সুদীপ্ত সমদ্দার- ৭৪ ভোট।
কাউখালী সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জনাব মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন করে বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের এ ভোট যুদ্ধ বর্তমান সরকারের একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুব্রত রায় বলেন, ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে গণতান্ত্রিক মনোভাব গড়ে উঠবে। তারা গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ শিখবে এবং ভবিষ্যতে জাতির নেতৃত্বদানে উদ্বুদ্ধ হবে।
এই নির্বাচনের সবচেয়ে ভাল দিক হচ্ছে, শিক্ষার্থীরাই নির্বাচন কমিশনার, প্রিজাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসার, পোলিং এজেন্ট ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্ব পালন করে থাকে। নির্বাচন কমিশনার পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী তাযকিয়া আনজুম জানান, আজকের এই দায়িত্ব পালনের মধ্য দিয়ে আমি গণতন্ত্র, নির্বাচন ইত্যাদি অনেক কিছু শিখেছি।
প্রিজাইডিং অফিসার আফিফ কবির সাদিক ও সাদিয়া সিদ্দিকী মুন্না বলেন, আজকের এই নির্বাচনী কাজ করতে গিয়ে ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া সম্পর্কে বাস্তব অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছি । এটা আমাদের ভবিষ্যতে অনেক কাজে আসবে।
আরএইচআর/এমআর