কুয়াকাটা (পটুয়াখালী) সাগরকন্যা অফিস॥
কলেজ পর্যায়ে পটুয়াখালী জেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নির্বাচিত হয়েছে কুয়াকাটা খানাবাদ ডিগ্রি কলেজ। জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ-২০২২ উপলক্ষে শ্রেষ্ঠ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নির্বাচনের জন্য ১৪টি ক্যাটাগরির প্রতিযোগিতায় শীর্ষে থাকায় ওই কলেজকে শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বৃীকৃতি দিয়েছে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসনও শিক্ষা বিভাগের গঠিত বাছাই কমিটি।
শিক্ষা অফিস সুত্রে জানাগেছে, জেলার শ্রেষ্ঠ কলেজ নির্বাচনের জন্য প্রতিষ্ঠানের ফলাফল,পাশকরা শিক্ষার্থীদের সংখ্যা,প্রতিষ্ঠানের মোট শিক্ষার্থীর পরিমান,শিক্ষকও শিক্ষার্থী অনুপাত,কর্মরত শিক্ষকগণের শিক্ষাগত যোগ্যতা, ভৌত অবকাঠামো,প্রশাসনিক ও আর্থিক শৃঙ্খলা, জাতীয় দিবসসমূহ পালন, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের জন্য সুপেয় পানিও স্যানিটেশন ব্যবস্থা, গ্রহন্থগার, বিজ্ঞানাগার,শিক্ষার পরিবেশ,মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুমসহ,কম্পিউটার ল্যাবের ব্যবহার রয়েছে এসব বিষয়ের ওপর মূল্যায়ন করা হয়েছে। ২০০০ সালে প্রতিষ্ঠিত কুয়াকাটা খানাবাদ কলেজটি গুনগত শিক্ষার পাশাপাশি সহশিক্ষা কার্যক্রমে জেলার অন্যসব প্রতিষ্ঠান থেকে এগিয়ে রয়েছে। প্রতিষ্ঠানে চালু রয়েছে বিএনসিসি নৌ শাখা,্স্কাউট প্রেগ্রাম, কেকেসি ডিবেটিং সোসাইটি. ইংলিশ ল্যাগুয়েজ ক্লাব,কন্ঠস্বর বাচিক চর্চাকেন্দ্র, শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব। প্রতি বৃহস্পতিবার শিক্ষার্থীরা সহশিক্ষা কার্যক্রমে অংশ শেষে বিশ^সাহিত্য কেন্দ্রের ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরী থেকে বই সংগ্রহ করে বাড়ি ফেরে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। ওই কলেজের সহকারি অধ্যাপক আবুল কালাম খাঁন জানিয়েছেন, জেলে, কৃষক ও নি¤œ আয়ের বাবা-মায়ের সন্তানদের পরম মমতায় গত বাইশ বছর ধরে পাঠদানসহ মানবিক মানুষ গড়তে কাজ করছেন তারা। দ্বাদশ শ্রেনীর শিক্ষার্থী মীম ও একাদশ শ্রেনীর শিক্ষার্থী সুরাইয়া বেগম জানিয়েছেন, তাদের বাবার মৃত’্যতে শিক্ষকরা তাদের পাশে দাড়িয়েছেন। শিক্ষা উপকরণসহ বেতনভাতা মওকুফ করছে প্রতিষ্ঠান।গরীব ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের প্রনোধণা স্বরুপ শিক্ষা উপকরণসহ বেতনভাতা মওকুফের ব্যবস্থা রেখেছেন এমনটা জানিয়েছেন ওই প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি হাসিনা বেগম। জেলার শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান হওয়ার অনুভূতি জানতে চাইলে সভাপতি বলেন, শ্রেষ্ঠ হওয়া বড় কথা নয়, বরং সবাই মিলে একত্রে কাজ করাটাই আসল কথা।
কুয়াকাটা খানাবাদ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ সিএম সাইফুর রহমান বলেন, প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের নিবিড় পর্যবেক্ষন, ছাত্র-ছাত্রীদের অধ্যবসায়, শিক্ষকদের পাঠদানের কৌশল এবং সর্বোপরী অভিভাবকদের সচেতনতাই এ ফলাফল এন দিয়েছে।
কুয়াকাটা খানাবাদ ডিগ্রি কলেজের প্রতিষ্ঠাতা আলহাজ¦ জহিরুল ইসলাম খানের কাছে এ সফলতার প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি বলেন, জীবনের অধিকাংশ সময় প্রবাস জীবন কাটিয়েছি। বন্ধুরা ভোগ্য পন্যের কারখানা তৈরীর পরামর্শ দিয়েছিল। তাদের কথা না রেখে আমি মানুষ তৈরীর কারখানায় আজ সফলতা পেয়েছি।
কেএআর/এমআর