সাগরকন্যা আন্তর্জাতিক ডেস্ক ॥
চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী উত্তেজনা এড়িয়ে পাকিস্তান ও ভারতকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। স্বল্প পরিসরের বিমানযুদ্ধ সর্বাত্মক লড়াইয়ে রূপ নিতে পারে এমন আশংকার প্রোপটে কাশ্মীর সংকট প্রশ্নে পাকিস্তানী পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে তিনি তার ‘গভীর উদ্বেগের’ কথা ব্যক্ত করেন। খবর এএফপি’র। গতকাল বৃহস্পতিবার চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এ অচলাবস্থার সর্বশেষ পরিস্থিতির ব্যাপারে হাল নাগাদ তথ্য দিতে গত বুধবার শাহ মেহমুদ কুরেশির প্রতি গত বুধবার আহবান জানানোর পর ওয়াং ই’র মন্তব্য আসলো।

ওয়াং কোরেশিকে বলেন, পরমাণু মতাধর প্রতিবেশী এ দুই দেশ ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা পরিস্থিতি এড়াতে তাদের দেয়া প্রতিশ্রুতি আন্তরিকভাবে বাস্তবায়ন এবং সংযত থাকবে বলে তিনি আশা করছেন। মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে একথা বলা হয়। ভারত ও পাকিস্তান গত বুধবার একে অন্যের যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার ঘোষণা দেয়ার পর থেকেই নাটকীয়ভাবে চির প্রতিদ্বন্দ্বী এ দুই দেশের মধ্যে চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় উভয়প পরস্পরের বিরুদ্ধে যুদ্ধের হুমকি দেয়। ভারত শাসিত কাশ্মীরে পাকিস্তান ভিত্তিক জঙ্গি গ্রুপ জইশ-ই-মোহাম্মদের (জেইএম) দাবি করা হামলায় অনেক সৈন্য নিহত হওয়ার পর নয়াদিল্লি এর প্রতিশোধ নেয়ার অঙ্গীকার করে। গত মঙ্গলবার ভারত জানায়, তাদের দেশের বিমানবাহিনী পাকিস্তানের অভ্যন্তরে জেইএম জঙ্গি গ্রুপের একটি ঘাঁটিতে হামলা চালায়।

১৯৭১ সালের পর এই প্রথমবারের মতো বিভক্ত কাশ্মীর ভূখন্ডে এ হামলা চালানো হলো। পাকিস্তানের অন্যতম ঘনিষ্ঠ মিত্র দেশ চীন বৃহৎ অবকাঠামো প্রকল্পের অংশ হিসেবে ইসলামাবাদকে শত শত কোটি ডলার দেয়। আর এই বৃহৎ প্রকল্পের আওতায় বালুচিস্তানের আরবীয় সমুদ্র বন্দর গয়াদারের সাথে চীনের পশ্চিমাঞ্চলীয় জিনজিয়াং প্রদেশের সাথে সংযোগ গড়ে তোলার চেষ্টা করা হচ্ছে। জাতিসংঘের তৈরী করা সন্ত্রাসীদের নামের তালিকায় জেইএমনেতা মাসুদ আজহারের নাম অন্তর্ভূক্ত করতে গত বুধবার ব্রিটেন, ফ্রান্স ও যুক্তরাষ্ট্র জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রতি আহবান জানিয়েছে। সন্ত্রাসীদের নামের তালিকায় আজহারের নাম অন্তর্ভূক্ত করা হলে আন্তর্জাতিক ভ্রমণের েেত্র তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করার এবং তার সম্পদ জব্দ করার সুযোগ পাওয়া যাবে।