গোপালগঞ্জ সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
অসহায় পরিবারের সহযোগিতা করে অপরাজনীতি শিকার কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা ও সাবেক জেলা পরিষদের সদস্য মানবিক নেতা, সচ্ছ রাজনীতিবিদ ও বিশিষ্ঠ সমাজ সেবক দেবদুলাল বসু পল্টু। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে বলে জানান তিনি।
কাল্পনিক বিবাহের ঘটনা রচিত করে তার বদনাম ও রাজনৈতিক ক্যারিয়ার ধংস করার খেলায় মেতেছেন শিলা হালদার নামের একটি মেয়ে। শিলা হালদার কোটালিপাড়া উপজেলার রামশীল গ্রামের চিত্তরঞ্জন হালদারের মেয়ে।
শিলা হালদারের একাধিক ছেলের সাথে প্রেমের সম্পর্কের তথ্য পাওয়া যায় তার গ্রামের বাড়িতে।
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার আওয়ামীলীগ নেতা ও সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য দেবদুলাল বসু পল্টুর রাজনৈতিক ক্যারিয়ার ও সম্মানহানি করার এই অপচেষ্টার প্রতিবাদও করেন তিনি।
দেবদুলাল বসু পল্টু বলেন, আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শে রাজনীতি করি। সর্বদা অসহায় দরিদ্র পরিবারে পাশে রয়েছি। আমি দীর্ঘদিন জেলা পরিষদের সদস্য হিসেবে কাজ করেছি ও এলাকার উন্নয়নে সর্বদা নিয়োজিত রয়েছি। আমার এলাকার সকল দরিদ্র ও অসহায় পরিবারের পাশে থেকে তাদের উন্নয়নে কাজ করেছি। আমার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার ধ্বংস করার জন্য রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ওই পরিবারকে নিয়ে আমার বিরুদ্ধে অপরাজনীতি করছে।
তিনি আরও বলেন, কোটালিপাড়া উপজেলার রামশীল গ্রামের চিত্তরঞ্জন হালদারের মেয়ে শিলা হালদার কিছু অসাধু রাজনৈতিক ব্যাক্তির সহযোগিতায় আমার বিরুদ্ধে একটি কাল্পনিক বিবাহের ঘটনা রচিত করে একটি অভিযোগ করেছে। ওই পরিবারটি তাদের অসহায়ত্ব ও চিত্তরঞ্জন হালদারের চিকিৎসা কথা জানিয়ে আমার নিকট সাহায্য চায়। তখন আমি তার চিকিৎসা নিজ খরচে করিয়ে দেই। তাদের অসহায়ত্বের জন্য তাদেরকে আমি সহযোগিতা করি। সেই পরিবারের সদস্য এমন ঘৃন্য মনোভাবাপন্ন হয়ে আমার নামে এমন অভিযোগ করবে ভাবতে পারিনি। আমি এর তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ করছি। এই অপরাজনীতি বন্ধ করার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও রাজনৈতিক অভিভাবকদের সহযোগিতা কামনা করছি।
শিলা দালদারের পিতা চিত্তরঞ্জন হালদার বলেন, ৫ বছর আগে আমার দাতের চিকিৎসার জন্য দেবদুলাল বসু পল্টুর কাছে সহয়তা কামনা করেছিলাম। তখন তিনি আমাকে ঢাকায় হাসপাতালে চিকিৎসা করিছিলেন। তখন আমার মেয়ে শিলা হালদার সাথে ছিল। সে সময় মোবাইল নাম্বার আদান প্রদান করে রেখে তাদের মধ্যে সম্পর্ক তৈরী হয় বলে আমার ধারণা। তিন মাস আগে আমি জেনেছি এবং আমি আমার মেয়েকে বুঝিয়েছি যে মা তোমার এখনও সময় আছে। তুমি ফিরে এস অন্য জায়গায় বিবাহ করো।
তিনি আরও বলেন, এর আগেও পটুয়াখালি একটা ছেলের সাথে প্রেমের সম্পর্কে জরিয়ে ছিল আমার মেয়ে। তাদের মধ্যে নিজেরা সমাধান হয়ে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। সে ঘটনাটিও আমরা অনেক পরে জেনে ছিলাম।
এ ব্যাপারে শিলা দালদার বলেন, আমারা চার বছর আগে প্রেমের সম্পর্ক করে ঘরে ভিতরে শ্রী কৃষ্ণকে স্বাক্ষী রেখে আমরা বিবাহ করি। সেই থেকে ঢাকায় ভাড়া বাড়িতে আমরা থাকতে ছিলাম।
বিবাহে কোন স্বাক্ষী, ধর্মীয় রিতিনিতি, কোন কোর্ট ম্যারেজ হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের বিবাহে কোন বড় মন্দিরে হিন্দু পুরহিত রেখে বা স্বাক্ষী রেখে হয়নি। কোন কোর্ট ম্যারেজ করা হয়নি। শুধু মাত্র আমার ঘরের ভিতরে ছোট আসনে ভগবান শ্রী কৃষ্ণকে স্বাক্ষী রেখে বিবাহ হয়।
এইচবি/এমআর