ছাতক(সুনামগঞ্জ) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
বৃষ্টি বর্ষণ মেঘালয় থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ছাতকে ১৩টি ইউপি একটি পৌরসভা সহ মোট ৫শতাধিক গ্রাম, দুইশতাধিক প্রাথমিক, ও শতাধিক মাধ্যমিক, মাদ্রাসা শিক্ষা বন্যার পনিতে টুকেছে। পাচঁ লক্ষাধিক মানুষ পানি বন্ধি হয়ে পড়েছে। রাস্তা ঘাট,বাড়ি ঘরে,শিক্ষা প্রতিষ্টিানে পানিতে তলিয়ে যাবার কারনে উচ্চ স্থানে পেপার মিল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৭০টি পরিবার আশ্রয় নিেেয়ছে। ছাতক উপজেলার সাঙ্গে সারাদেশে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ গেছে।
জানায়ায়, গোবিন্দগঞ্জ ও তাজপুর থেকে ১০কিলোমিটার সড়ক এলাকায় তিন ফুট ও চার ফুট পর্যন্ত বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে।
বন্যার পানিতে ছাতক-সিলেট সড়কের কয়েকটি স্থান পানি তলিয়ে যাওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতের চেরাপুঞ্জিসহ আশপাশ এলাকার ৫৪০ মি.মি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। সদরের সাথে ইসলামপুর, চরমহল্লা, ভাতগাও, সিংচাপইড়, উত্তরখুরমা, গোবিন্দগঞ্জ-সৈদেরগাও, ছৈলাআফজলাবাদ, কালারুকা, নোয়ারাই, জাউয়াবাজার, দোলারবাজারসহ ১৩টি ইউনিয়নের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। গত মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত ছাতকে সুরমা, পিয়াইন, চেলা নদীসহ সকল নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি এখানে ব্যাপক আকার ধারণ করছেন। ইতিমধ্যে বন্যায় তলিয়ে গেছে ৫ শতাধিক গ্রাম, শতাধিক পাকা, দেড়শতাধিক কাচা রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি, শতাধিক সরকারি প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বীজতলা ও শতশত একর উঁচু জমির বোরো ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে। হাটবাজার, মাদ্রাসা, শিক্ষা প্রতিষ্টান, বেশীভাগ পাড়া মহল্লায় বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। পৌর শহরের নৌকা চলছে, থানা, উপজেলা পরিষদ এলাকার পানি ঢুকে পড়েছে। উজানে প্রবল বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের কারনে এখানে সুরমা, চেলা ও পিয়াইন নদীতে ব্যাপক হারে পানিবৃদ্ধি পাচ্ছে।
শহরের সকল ক্রাশার মিল বন্ধ। নদীতে কার্গো লোডিং ও আন লোডিং ও বন্ধ হয়ে পড়েছে । এতে হাজারো শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছেন। পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে গত মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত সুরমা-মেঘনা স্টেশন ২৬৮, সুরমা নদীর পানি ছাতক পয়েন্টে বিপদসীমার ২২ সে.মি উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ছাতক ও গোবিন্দগঞ্জ সড়কের
তাজপুর থেকে শহর পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার সড়ক বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মামুনুর রহমান জানান, বন্যার্তদের জন্য শহরের বৌলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, তাতিকোনা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও এসপিপিএম উচ্চ বিদ্যালয় আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ঘোষনা করা হয়েছ। ইতিমধ্যেই এসব আশ্রয় কেন্দ্র
৭০টি পরিবার আশ্রয় নিয়েছে। বন্যার্তদের জন্য ত্রান সামগ্রি বিতরণ কার্যক্রম চলছে।
এএমএল/এমআর