চরফ্যাশন (ভোলা) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
চরফ্যাশন উপজেলার প্রধান শিক্ষক আব্বাস উদ্দিনের বিরুদ্ধে সাংবাদিক মাইনুল ইসলামের বাসা ১১লাখ টাকা লুটের ঘটনায় সাভার থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বিষয়টি ঢাকার আশুলিয়া থানার ওসি নিশ্চিত করেছেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার আমিনাবাদ ইউনিয়নের মাদারতলি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্বার উদ্দিন ও নুরাবাদ গ্রামের মনিরুল ইসলামসহ ৯জনে একত্রিত হয়ে সাংবাদিক মাইনুল ইসলামের ভেন্ডাবর আরইবি রোড, কামাল হোসেন এর ভাড়াটিয়া বাসা ঘর লুট করে। ওই সময় মাইনুল ইসলাম জেল হাজতে ছিল। তার স্ত্রী রোকসানা বেগম বাসায় ছিলনা। বাড়ীর মালিক কামাল হোসেনের সহযোগিতা নিয়ে এ বাসা লুটপাট করেছে বলে এজহারে উল্লেখ করা হয়েছে। রোকসানা বেগম বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় আমিনাবাদ ইউনিয়নের মাদারতলি সরকারি প্রাথামিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্বাস উদ্দিন, ও তার সহযোগি মনিরুল ইসলাম, দক্ষিণ মাদ্রাজ গ্রামের আবুল কালাম, বাসার মালিক কামাল হোসেনসহ মোট ৯জনকে আসামী আশুলিয়া থানায় মামলা ১২ মে রুজু করা হয়েছে।
মামলার বাদী রোকসানা বেগম বলেন, প্রধান শিক্ষক আব্বাস উদ্দিন এক সময় আমি কোস্ট ট্রাস্ট এনজিওতে চাকুরী করা অবস্থায় পিয়ন হিসাবে আমার ব্যাগ টানছে। আমাকে পরবর্তীতে প্রলোভন দেখিয়ে মজিবনগর একটি স্কুলে চাকুরী দেয়ার নামে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। আমার চাকুরীটা অন্য লোকের কাছে বিক্রি দিয়েছেন। এতেও ক্ষ্যন্ত হয়নি। পরবর্তীতে আমাকে ও আমার স্বামীর বিরুদ্ধে চেক জালিয়াতি ও প্রতারণার মামলা দিয়ে হয়রানী করেছে। আমার স্বামী সাংবাদিক মাইনুল ইসলাম ১৪ মাস জেল হাজতে ছিল। চরফ্যাশনে স্থানীয়ভাবে প্রভাব খাটিয়ে জেল দিয়েছে। ওই সময় আমাকে হয়নারী করা হয় আমি বাসা থাকতে পারিনি। এই সুবাধে আমার ঢাকার আশুলিয়ায় ভেন্ডাবর আরইবি রোড কামালের বাড়ীতে আমি ভাড়া ছিলাম ওই বাসায় লুট-পাট করে ১১লাখ ৩১হাজার টাকার মালামাল নিয়ে যায়। আমি তাদেরকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার জন্যে জোর দাবী জানাই।
স্থানীয় জণৈক প্রধান শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার সত্বে বলেন, এক সময় আব্বাস উদ্দিন রক্স প্রকল্পের আনন্দ স্কুল ও নতুন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয় করণ করে দিবে বলে অনেকের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন এমন অভিযোগ ছিল।
এই ব্যপারে প্রধান শিক্ষক আব্বার উদ্দিনকে একাধিকবার ফোন করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এএইচ/এমআর