কলাপাড়ায় ৬শ’ ১০শিক্ষকের ৫মাসের বেতন দাবি

প্রথম পাতা » পটুয়াখালী » কলাপাড়ায় ৬শ’ ১০শিক্ষকের ৫মাসের বেতন দাবি
সোমবার ● ৩০ মে ২০২২


কলাপাড়ায় ৬শ’ ১০শিক্ষকের  ৫মাসের বেতন দাবি

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) সাগরকন্যা অফিস॥

 

 

 পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ৩০৫ শিখন কেন্দ্রের ৬১০ জন শিক্ষক- শিক্ষিকা  ৫ মাস বেতন পাচ্ছেনা । ঈদের আগে বেতন ভাতা না পাবার কারনে ৬১০ পরিবারে পবিত্র ঈদুল ফিতরের আনন্দ ম্লান হতে যাচ্ছে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর আওতায় মৌলিক সাক্ষরতা প্রকল্প কলাপাড়া উপজেলায় বাস্তবায়নপ্রকল্পে ৩০৫ শিখন কেন্দ্রের ৬১০ জন শিক্ষক শিক্ষিকা  এবছর জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে  নিয়োগ দেয়া হয়। চাকরির মেয়াদ ছয় মাস।  মাসিক দুই হাজার চারশত টাকা বেতনে কর্মরত প্রশিক্ষকদের প্রতি মাসে অর্ধেক টাকা সরকারি কোষাগারে জমা রেখে দেয়ার কথা।  তিন মাস পর মধ্যবর্তী মূল্যায়নের পর শিক্ষার্থী কৃতকার্য সাপেক্ষে একত্রে তিন মাসের বাকি অর্ধেক সম্মানী পাওয়া যাবে। একই ভাবে ছয় মাস পরে চূড়ান্ত মূল্যায়নে শিক্ষার্থী কৃতকার্য সাপেক্ষে একত্রে পরবর্তী তিন মাসের বাকি অর্ধেক সম্মানী পাওয়া যাবে।

কলাপাড়া উপজেলায় এ প্রকল্পটি পরিচালনা করে বেসরকারি সংস্থা কমিউনিটি হেলথ এন্ড ডেভলপমেন্ট প্রোগ্রাম। বেতন দেওয়ার কথা বলে বৃহস্পতিবার কলাপাড়া প্রকল্প অফিসে এনে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত বসিয়ে রেখে বেতন না দিয়ে প্রশিক্ষকদের বাড়ি পঠিয়ে দেয়।  শনিবার সকালে কলাপাড়া প্রেস ক্লাব ও কলাপাড়া রিপোর্টার্স ক্লাবের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শনকালে এমনটাই অভিযোগ করেন শিক্ষক- শিক্ষিকারা।

এব্যাপারে শিক্ষিকা মোসা.রুমা, মোসা.কুলসুম, সাবিরা ইতি বলেন, রমজান মাসে রোজা থেকে সারাদিন দাড়করিয়ে রেখে বিকেলে বলে বেতন দিতে পারবো না। শিখন কেন্দ্রের উপকরন দেয়নি, কয়েকটি কেন্দ্রে নি¤œ মানের উপকরন দিয়েছে।

শিক্ষক মো.ইব্রাহিম,মো.রিয়াজুল ইসলাম, মো.সাহিন বলেন, ৫ মাস যাবৎ আমাদের বেতন দেই দেবো বলে ঘুরিয়ে আসছে। বিদ্রুৎ বিল, কেন্দ্র ভাড়া, শিক্ষা উপকরন কোনটাই আমরা পাইনি। আজ আমাদের বেতন কেন্দ্র ভাড়া দেওয়ার কথা বলে অফিসে ডেকে নিয়ে আসেন। পরে সারা দিন ঘুড়িয়ে বিকেলে বলে ঈদের আগে দিতে পারবোনা।

এব্যাপারে সিএইচডিপি’র নির্বাহী পরিচালক মাকসুদা বেগম বলেন, কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনুমতি দিলে আমি বেতন টাকা দিতে পারি।

কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক বলেন, এ উপজেলায় আঠারো হাজার নিরক্ষর মানুষকে স্বাক্ষর দান করার কথা। এসংক্রান্ত প্রয়োজনী তথ্য উপস্থাপন করলে বেতন দেয়ার ব্যাপারে আমার কোনো আপত্তি নেই।

 

 

এসকেআর/এমআর

 

বাংলাদেশ সময়: ০:১৪:০০ ● ৪১৬ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ